বুধবার, ১৫ জুন, ২০১৬ ০০:০০ টা
সংসদে আবারও তথ্যমন্ত্রী

বাংলাদেশ প্রতিদিনই প্রচার সংখ্যায় শীর্ষে

নিজস্ব প্রতিবেদক

তথ্যমন্ত্রী হাসানুল হক ইনু বাংলাদেশে মিডিয়া তালিকাভুক্ত পত্রিকা কত কপি ছাপা হয় তার একটি পরিসংখ্যান তুলে ধরেছেন। তাতে এবারও বাংলাদেশ প্রতিদিনের অবস্থান শীর্ষে রয়েছে। ৫ লাখ ৫৩ হাজার ৩০০ প্রচার সংখ্যা নিয়ে বাংলাদেশ প্রতিদিন প্রচার সংখ্যার শীর্ষে এবং দ্বিতীয় স্থান ধরে রেখেছে প্রথম আলো। প্রথম আলো ছাপা সংখ্যা ৫ লাখ ১ হাজার ৮০০। ২ লাখ ৫০ হাজার ৮২০ প্রচার সংখ্যা নিয়ে  তৃতীয় স্থানে রয়েছে কালের কণ্ঠ। ডেপুটি স্পিকার ফজলে রাব্বি মিয়ার সভাপতিত্বে সংসদ অধিবেশনে গতকাল এম আবদুল লতিফের (চট্টগ্রাম-১১) উত্থাপিত প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী এ তথ্য জানান। তিনি আরও জানান, দেশে বর্তমানে ১ হাজার ৭৮টি পত্রিকার মধ্যে মিডিয়াভুক্ত ৪৩৪টি ও মিডিয়া-বহির্ভূত ৬৪৪টি পত্রিকা রয়েছে। কেবল মিডিয়াভুক্ত পত্রিকা কোন প্রেস থেকে প্রতিদিন কত সংখ্যা ছাপানো হয় চলচ্চিত্র ও প্রকাশনা অধিদফতরের মাধ্যমে সরকার এ কাজটি মনিটরিং করে। তিনি সংসদকে আরও জানান, দেশে বর্তমানে ১ হাজার ৭৮টি দৈনিক পত্রিকা রয়েছে। অধিকাংশ পত্রিকার প্রকাশক বা মালিকই সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করেন। একই ব্যক্তি পত্রিকার প্রকাশক ও সম্পাদক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন এমন পত্রিকার সংখ্যা ১ হাজার ৫টি। ৭৩টি পত্রিকায় মালিক নিজেই সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করলেও প্রকাশক ভিন্নজন। স্বল্পসংখ্যক পত্রিকার প্রকাশক পেশাদার সম্পাদক নিয়োগ করে থাকেন। নিজামউদ্দিন হাজারীর অন্য এক প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী জানান, পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে কেবল টিভি নেটওয়ার্কের মাধ্যমে বিটিভি, বিটিভি ওয়ার্ল্ড ও বেসরকারি টেলিভিশন চ্যানেলগুলোর অনুষ্ঠান সম্প্রচার হচ্ছে। তবে ভারতের দর্শকদের বিটিভি চ্যানেলের বিষয়ে আগ্রহ থাকলেও সে দেশে বিদেশি চ্যানেল প্রদর্শনের ক্ষেত্রে ডাউনলিংকিং বেশি হওয়ায় ভারতীয় ক্যাবল অপারেটররা এ বিষয়ে আগ্রহ দেখাচ্ছেন না। মন্ত্রী জানান, সম্প্রতি ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির বাংলাদেশ সফরকালে দূরদর্শনের একটি চ্যানেল ডিটিএইচ প্রযুক্তির মাধ্যমে বিটিভির অনুষ্ঠান প্রচারের বিষয়ে সম্মতি পাওয়া গেছে। সে অনুযায়ী দূরদর্শন ও বিটিভির মধ্যে একটি সমঝোতা স্মারক (এমওইউ) স্বাক্ষরের প্রক্রিয়া চলছে।

হলুদ সাংবাদিকতা রোধে আইন সংশোধন : তথ্যমন্ত্রী হাসানুল হক ইনু বলেছেন, হলুদ সাংবাদিকতা রোধে ‘বাংলাদেশ প্রেস কাউন্সিল আইন, ১৯৭৪’ সংশোধন কার্যক্রম হাতে নেওয়া হয়েছে। হলুদ সাংবাদিকতায় জড়িত সাংবাদিকদের অ্যাক্রিডিটেশন কার্ড বাতিল করে তথ্য অধিদফতর। মোহাম্মদ ইলিয়াছের (কক্সবাজার-১) উত্থাপিত প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী এ তথ্য জানান। তিনি বলেন, বর্তমান সরকারের সময়ে সংবাদপত্র ও ইলেকট্রনিক মিডিয়া অবাধ স্বাধীনতা ভোগ করছে। তবে অবাধ স্বাধীনতা ভোগের সুযোগে কোনো কোনো পত্রিকা জনহিতকর ও বস্তুনিষ্ঠ সংবাদ ও প্রতিবেদন প্রকাশের পরিবর্তে অসত্য সংবাদ প্রকাশ করে, যা হলুদ সাংবাদিকতার নামান্তর। তথ্য অধিদফতর, বাংলাদেশ প্রেস কাউন্সিল, বাংলাদেশ প্রেস ইনস্টিটিউট ও জাতীয় গণমাধ্যম ইনস্টিটিউট হলুদ সাংবাদিকতা রোধের ক্ষেত্রে কাজ করে যাচ্ছে। জনগণ যাতে বস্তুনিষ্ঠ এবং নিরপেক্ষ সংবাদ পায় সে লক্ষ্যে তথ্য অধিদফতর কর্মরত সাংবাদিকদের প্রশিক্ষণ প্রদানসহ অনলাইনভিত্তিক গণমাধ্যমকে নিবন্ধন কার্যক্রমের আওতায় আনার উদ্যোগ গ্রহণ করেছে।

সর্বশেষ খবর