বাণিজ্যমন্ত্রী তোফায়েল আহমেদ বলেছেন, রপ্তানি খাত শুধু তৈরি পোশাক নির্ভরশীল হয়ে চলতে পারে না। সে কারণে আমরা নতুন নতুন শিল্পে সরকারের সহায়তা সম্প্রসারণ করছি।
গতকাল বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে মেট্রোপলিটন চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির (এমসিসিআই) উদ্যোক্তাদের সঙ্গে এক সভায় তিনি এ মন্তব্য করেন। সভার শুরুতে তৈরি পোশাক শিল্প খাতকে ইঙ্গিত করে এমসিসিআইর প্রেসিডেন্ট নিহাদ কবির বলেন, সরকারের সব সুবিধা শুধু একটি শিল্প খাত পাচ্ছে। তারা বন্ডেড ওয়্যার হাউস সুবিধা পাচ্ছে, কর প্রণোদনা পাচ্ছে, এমনকি নগদ সহায়তাও (ক্যাশ ইনসেনটিভ) পাচ্ছে। এভাবে একটি বড় শিল্প খাতকে সব সুবিধা দিয়ে সরকারের রপ্তানি বহুমুখীকরণ কর্মসূচি সফল হবে না। ছোট ছোট শিল্প খাতকেও সহায়তা দিতে হবে। এ বক্তব্যের সঙ্গে ঐকমত্য পোষণ করে বাণিজ্যমন্ত্রী তোফায়েল আহমেদ উপরের মন্তব্য করেন। তিনি বলেন, রপ্তানি বহুমুখীকরণের বিষয়টি আমাদের পঞ্চবার্ষিকীতে অন্তর্ভুক্ত। তৈরি পোশাক ছাড়াও আমরা কিছু কিছু নতুন শিল্পে সহায়তা দেওয়ার নীতিগত সিদ্ধান্ত নিয়েছি। তথ্য-প্রযুক্তি খাতে প্রণোদনা দেওয়ার জন্য প্রধানমন্ত্রীকে প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে। শিপ বিল্ডিং, প্লাস্টিক শিল্পে ১০ শতাংশ হারে প্রণোদনা দেওয়া হচ্ছে।
গতকাল দুপুরে অনুষ্ঠিত এই সভার মাঝখানে উপস্থিত হন ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের মেয়র আনিসুল হক। তবে তিনি কোনো বক্তব্য দেননি। অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব হেদায়েতুল্লাহ আল মামুন। বক্তব্য রাখেন এসিআইর চেয়ারম্যান আনিস উদ দৌলা, কে এন্ড কিউ লি.-এর তাবিথ এম আউয়াল, এইচএসবিসির প্রধান নির্বাহী ফ্রান্সিস দ্যা ম্যারিকোর্ট প্রমুখ। এমসিসিআই নেতারা তাদের বক্তব্যে বিনিয়োগ সুবিধার জন্য গ্যাস, বিদ্যুৎসহ অবকাঠামো সুবিধা নিশ্চিত করার দাবি জানান। এ ছাড়া একটি স্থিতিশীল বিনিয়োগ নীতিরও সুপারিশ জানান। তারা শাহজালাল আন্তর্জাতিক এয়ারপোর্টের অব্যবস্থাপনা চিত্র তুলে ধরে বলেন, বিদেশের বিমানবন্দরে যেখানে এয়ার কার্গো দুই থেকে তিন দিনের মধ্যে ছাড় করা হয়, সেখানে ঢাকায় দুই তিন সপ্তাহেও সেটি ছাড় হয় না। খোলা আকাশের নিচে কার্গো ফেলে রাখা হয়। পণ্যের গুণগত মান নষ্ট হয়ে যায়।বিমানবন্দরের অব্যবস্থাপনার বিষয়টি স্বীকার করে বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, অন্য একটা মন্ত্রণালয় সম্পর্কে আমার বলা ঠিক হবে না। তবে বিমানবন্দর বর্তমানে যেভাবে চলছে, সেটি এ অবস্থায় চলতে পারে না।