রবিবার, ১২ ফেব্রুয়ারি, ২০১৭ ০০:০০ টা

এখনই ভাবতে হবে নির্বাচনকালীন সরকার নিয়ে

নিজস্ব প্রতিবেদক

এখনই ভাবতে হবে নির্বাচনকালীন সরকার নিয়ে

ড. আকবর আলি খান

নির্বাচনকালীন সরকার কী হবে তা নিয়ে এখনই ভাবা উচিত বলে মন্তব্য করেছেন তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সাবেক উপদেষ্টা ড. আকবর আলি খান। তিনি বলেন, এটি শুধু রাজনৈতিক দলের বিষয় নয়। জনগণই এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত গ্রহণ করতে পারে। সে ক্ষেত্রে নির্বাচনকালীন সরকার গঠনে সিদ্ধান্ত গ্রহণে গণভোট একটি উত্তম পদ্ধতি হতে পারে। গতকাল এফডিসিতে অনুষ্ঠিত জাতীয় বিতর্ক প্রতিযোগিতা ইউসিবি পাবলিক পার্লামেন্টের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। ডিবেট ফর ডেমোক্রেসির চেয়ারম্যান হাসান আহমেদ চৌধুরী কিরণের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্য দেন ইউনাইটেড কমার্শিয়াল ব্যাংকের চেয়ারম্যান এম এ সবুর।

ড. আকবর আলি খান বলেন, ইতিপূর্বে বাংলাদেশে কোনো সার্চ কমিটি যোগ্য ব্যক্তি বাছাইয়ের ক্ষেত্রে কাঙ্ক্ষিত সফলতার পরিচয় দেয়নি। সম্প্রতি গঠিত সার্চ কমিটিও নির্বাচন কমিশনার সুপারিশের ক্ষেত্রে সফল হয়নি। যাদের অতীতে রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে সম্পৃক্ততার ইতিহাস রয়েছে এবং প্রয়োজনীয় যোগ্যতা ও অভিজ্ঞতা নেই, সেসব লোককে নির্বাচন কমিশনার বাছাই না করাই শ্রেয়। তিনি বলেন, বাংলাদেশে বিদ্যমান রাজনৈতিক সংস্কৃতির পরিবর্তন হওয়া জরুরি। রাজনৈতিক দলসমূহের মধ্যে বিরাজমান অসহিষ্ণুতা ও অশালীন বাগ্যুদ্ধ গণতন্ত্রের সুষ্ঠু বিকাশের জন্য সহায়ক নয়। তিনি উল্লেখ করেন, ‘সুপ্রিম কোর্টের রায়ে আরও দুই মেয়াদের জন্য তত্ত্বাবধায়ক সরকার রাখা যেতে পারে এ মর্মে অভিমত দেওয়া হয়েছিল। সে বিষয়টিও বিবেচনা করা যেতে পারে। কথায় কথায় আমরা নির্বাচন পদ্ধতি নিয়ে বিদেশি রাষ্ট্রগুলোর সঙ্গে তুলনা করি। কিন্তু আমরা সেই দেশের অন্য ভালো দিকগুলো নিয়ে কথা বলি না।’

হাসান আহমেদ চৌধুরী কিরণ বলেন, দেশের মানুষ একটি সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন দেখতে চায়। ইতিমধ্যে নতুন নির্বাচন কমিশন গঠন নিয়ে সারা দেশে ব্যাপক আলোচনা চলছে। আশা করা যাচ্ছে, নতুন এই নির্বাচন কমিশন সব রাজনৈতিক দলের আস্থা অর্জনের মাধ্যমে একটি গ্রহণযোগ্য জাতীয় নির্বাচনের পরিবেশ তৈরি করবে। সংবিধানে কী বলা আছে, কী বলা নেই, তা নিয়ে বিভেদ তৈরি না করে, রাজনৈতিক দলগুলো আলাপ-আলোচনার মাধ্যমে একটা ঐকমত্যে পৌঁছাতে পারবে বলে আশা করেন কিরণ।

ডিবেট ফর ডেমোক্রেসি ও এটিএন বাংলার যৌথ আয়োজনে বছরব্যাপী এ প্রতিযোগিতায় দেশের ৩২টি বিশ্ববিদ্যালয় অংশগ্রহণ করছে। উদ্বোধনী প্রতিযোগিতায় জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়কে হারিয়ে সাউথইস্ট ইউনিভার্সিটি জয়লাভ করে। প্রতিযোগিতা শেষে অংশগ্রহণকারী বিতার্কিকদের সার্টিফিকেট ও ক্রেস্ট প্রদান করা হয়। প্রতিযোগিতায় বিচারক ছিলেন অধ্যাপক আবু মোহাম্মদ রইস, সহযোগী অধ্যাপক রোবায়েত ফেরদৌস, সাংবাদিক মাইনুল আলম ও ড. এস এম মোর্শেদ।

 

সর্বশেষ খবর