রাজশাহী সিটি করপোরেশনের মেয়র মোসাদ্দেক হোসেন বুলবুলকে দ্বিতীয় এবং হবিগঞ্জ পৌরসভার মেয়র জি কে গউছকে তৃতীয়বারের মতো সাময়িক বরখাস্ত করে সরকারের আদেশ স্থগিত হয়ে গেছে। বরখাস্তের বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে বুলবুল ও গউছের করা দুটি রিট আবেদনের প্রাথমিক শুনানি করে গতকাল বিচারপতি সৈয়দ মোহাম্মদ দস্তগীর হোসেন ও বিচারপতি মো. আতাউর রহমান খানের সমন্বয়ে গঠিত হাই কোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেয়। এ ছাড়া বুলবুল ও গউছকে সাময়িকভাবে বরখাস্ত করার ওই আদেশ কেন আইনগত কর্তৃত্ববহির্ভূত হবে না, তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেছে আদালত। স্থানীয় সরকার সচিব, উপসচিব; রাজশাহীর বিভাগীয় কমিশনার, জেলা প্রশাসক, পুলিশ কমিশনার ও পুলিশ সুপার; রাজশাহী সিটি করপোরেশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা এবং হবিগঞ্জের জেলা প্রশাসককে রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে। ৯ এপ্রিল পরবর্তী শুনানির দিন ধার্য হয়েছে। আদালতে বুলবুলের পক্ষে আইনজীবী আমিনুল হক হেলাল, গউছের পক্ষে খন্দকার মাহবুব হোসেন ও রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল অমিত তালুকদার। এর আগে ৩ মে হাই কোর্টের এই বেঞ্চ সিলেট সিটি করপোরেশনের মেয়র আরিফুল হক চৌধুরীকে সরকারের করা বরখাস্তের আদেশ স্থগিত করে। দীর্ঘদিন পর উচ্চ আদালতের ছাড়পত্রে ২ এপ্রিল মেয়রের দায়িত্বে ফেরার পরপরই ফৌজদারি মামলার অভিযোগপত্র আদালতে গৃহীত হওয়ায় স্থানীয় সরকার (সিটি করপোরেশন) আইন অনুযায়ী এই তিন মেয়রকে সাময়িকভাবে বরখাস্ত করে স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়। এর বিরুদ্ধে বিএনপির এই তিন মেয়র হাই কোর্টে আবেদন করেন। রাজশাহীর বোয়ালিয়া থানায় বুলবুলের বিরুদ্ধে নাশকতার অভিযোগে ২০১৫ সালের ৮ ফেব্রুয়ারি মামলা হয়। এ মামলায় গত ফেব্রুয়ারিতে পুলিশ অভিযোগপত্র দেওয়ার পর রাজশাহীর মহানগর বিশেষ ট্রাইব্যুনাল তা আমলে নেয়। ২০০৪ সালের ২১ জুন সুনামগঞ্জে আওয়ামী লীগ নেতা সুরঞ্জিত সেনগুপ্তের জনসভায় বোমা হামলার এক মামলায় গত বছর গউছকে গ্রেফতার দেখানো হয়। ওই মামলায় পুলিশ সম্পূরক অভিযোগপত্র দিলে তাতে গউছের নাম আসে। ২২ মার্চ সুনামগঞ্জের বিশেষ ট্রাইব্যুনালে সেই অভিযোগপত্র গৃহীত হয়। নাশকতার চার মামলায় অভিযোগপত্রে নাম এলে ২০১৫ সালের ৭ মে রাজশাহীর মেয়র বুলবুলকে সাময়িক বরখাস্ত করে স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়। উচ্চ আদালত তার বরখাস্তের আদেশ অবৈধ ঘোষণা করলে ২ এপ্রিল সিটি করপোরেশন কার্যালয়ে গিয়ে দায়িত্ব গ্রহণের পরই নতুন করে বরখাস্তের আদেশ পান। এদিকে শাহ এ এম এস কিবরিয়া হত্যা মামলায় ২০১৪ সালের ২৮ ডিসেম্বর হবিগঞ্জের একটি আদালত পৌর মেয়র গউছকে কারাগারে পাঠায়। এরপর স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয় তাকে সাময়িক বরখাস্ত করে। কারাগারে থেকে ২০১৫ সালের ৩০ ডিসেম্বর পৌর নির্বাচনে নির্বাচিত হন গউছ। ২০১৬ সালের ২৭ জানুয়ারি প্যারোলে মুক্ত হয়ে তিনি শপথ গ্রহণের পর ওই বছরের ২০ মার্চ আবার সাময়িক বরখাস্ত হন। উচ্চ আদালতের ছাড়পত্র নিয়ে মেয়র হিসেবে পদে ফিরে আবার তিনি বরখাস্তের আদেশ পান।
শিরোনাম
- তারেক রহমানের জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে বুড়িচংয়ে দোয়া মাহফিল
- ধর্মের দোহাই দিয়ে টিকেট বিক্রি করে কাজ হবে না: তানিয়া রব
- জবিতেও ক্লাস-পরীক্ষা বন্ধ থাকবে রবিবার
- সোনারগাঁয়ে বিএনপির মনোনীত প্রার্থী মান্নানের সম্প্রীতি সমাবেশ
- ভূমিকম্প: ঢাবিতে রবিবারের ক্লাস-পরীক্ষা স্থগিত
- নোয়াখালীতে প্রয়াত ১০৯ বিএনপি নেতাকর্মীর পরিবারকে ক্রেস্ট ও সংবর্ধনা
- তারেক রহমানের নেতৃত্বে বাংলাদেশ বিনির্মাণে ধানের শীষের বিকল্প নেই: দুলু
- ভূমিকম্পে নিহত শিশুর শেষ বিদায়ে পাশে থাকতে পারেননি বাবা-মা
- বিএনপি ক্ষমতায় থাকলে নারীরা সুরক্ষিত থাকে: শামা ওবায়েদ
- নরসিংদীর মাধবদী কীভাবে শক্তিশালী ভূমিকম্পের কেন্দ্রে পরিণত হলো?
- 'তারেক রহমান প্রধানমন্ত্রী হলে প্রতিটি পরিবারের হাতে ফ্যামিলি কার্ড দেওয়া হবে'
- মুস্তাফিজকে আবারও দলে নিলো ক্যাপিটালস
- বাগেরহাটে কবি হিমেল বরকতের পঞ্চম মৃত্যুবার্ষিকী পালিত
- ঢাকায় ভূমিকম্পে নিহত বগুড়ার রাফিউলের দাফন সম্পন্ন
- ‘নির্বাচনকে নানাভাবে বাধাগ্রস্ত করার চেষ্টা চলছে’
- বিমান বাহিনীর খেতাবপ্রাপ্ত মুক্তিযোদ্ধা ও তাদের উত্তরাধিকারীদের সংবর্ধনা
- বিক্রি হয়ে গেল দ্য টেলিগ্রাফ
- নারায়ণগঞ্জে বিএনপি প্রার্থীর উদ্যোগে ফ্রি মেডিক্যাল ক্যাম্প অনুষ্ঠিত
- মিরসরাইয়ে বিজিবির অভিযানে ভারতীয় ৩১ গরু আটক
- শততম টেস্টে মুশফিকের বিরল রেকর্ড
তিন মেয়রেরই বরখাস্তের আদেশ আদালতে স্থগিত
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রিন্ট ভার্সন
এই বিভাগের আরও খবর
সর্বশেষ খবর