মাননীয় মন্ত্রীরা অতিকথন বন্ধ করুন। সমন্বয় তৈরি করুন নিজ দলের মধ্যে। আপনাদের সমন্বয়হীনতা ও অতিকথন সর্বনাশ ডেকে আনতে পারে। দায়িত্বশীল মানুষকে কথা বলতে হয় সতর্কতার সঙ্গে। অথচ দেখা যায়, দেশে সংকট তৈরি হলে সরকারি দলের কিছু নেতা-মন্ত্রী এমন সব বক্তব্য রাখেন যা আগুনে ঘি ঢেলে দেয়। সমস্যা নিরসনের পরিবর্তে সবকিছু হয়ে ওঠে উত্তপ্ত। তাদের ভাবখানা এমন, তারা সমস্যা বাড়াবেন আর সমাধান করবেন প্রধানমন্ত্রী নিজে। গত নয় বছরের বেশি সময় কিছু মানুষের বাড়াবাড়ি অতিকথন বারবার ক্ষতিগ্রস্ত করেছে সরকারকে। তবুও থামছে না কিছু মন্ত্রী ও নেতার লাগামহীন বক্তব্য-বিবৃতি। দূর হচ্ছে না দল ও সরকারের সমন্বয়হীনতা। সর্বশেষ কোটা সংকট নিয়ে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদকের সঙ্গে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের বৈঠকের পর অন্য কারও কোনো বক্তব্য-বিবৃতির দরকার ছিল না। এরপর চূড়ান্ত সমাধান নিয়ে শুধু প্রধানমন্ত্রীরই বক্তব্য দেওয়ার কথা। অথচ সচিবালয়ের বৈঠকের পর কিছু প্রবীণ মন্ত্রীর বক্তব্য অনাকাঙ্ক্ষিত পরিবেশের সৃষ্টি করেছে। বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে ভ্যাট-ট্যাক্স বাড়ানো প্রসঙ্গে এই মুহূর্তে অর্থমন্ত্রীর কোনো বক্তব্য জরুরি ছিল না। কিন্তু তিনি তাই করলেন। অন্যদিকে সংসদে আগুনঝরা বক্তব্য রেখে পরিস্থিতিকে আরও উত্তপ্ত করলেন কৃষিমন্ত্রী মতিয়া চৌধুরী। তিনি আওয়ামী লীগের প্রবীণ নেত্রী। বাস্তবতা বোঝার দরকার ছিল তার। অস্থির সময়ে এমন জ্বালাময়ী বক্তব্য দিয়ে তারুণ্যের অন্তরে নতুন করে ক্ষোভ তৈরির দরকার ছিল না। সব সময় জ্বালাময়ী বক্তৃতা ও হুকমি-ধমকিতে কাজ হয় না। সবার মনে রাখা দরকার, এই তারুণ্য আমাদের অহংকার। ২০০৯ সালে আওয়ামী লীগের ক্ষমতায় আসার ক্ষেত্রে সবচেয়ে বড় ভূমিকা ও অবদান তরুণরাই রেখেছিল। এখনো তারা দেশের অগ্রগতিতে ইতিবাচক ভূমিকা রাখছে। সুন্দর আগামী তাদের হাতেই নির্মাণ হবে। তাই তারুণ্যকে কটাক্ষ করার অধিকার কোনো মন্ত্রী বা নেতার নেই। আরও বুঝতে হবে আন্দোলন চলাকালীন সময় অহেতুক সংশ্লিষ্ট খাতের ভ্যাট-ট্যাক্স বাড়ানো নিয়েও বক্তব্য রাখা স্পর্শকাতর। এতে সমস্যা কমে না, বাড়ে। অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিতের বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের ভ্যাট-ট্যাক্স বাড়ানোর ঘোষণা আগুনে ঘি ঢেলেছে। আমাদের প্রবীণ নেতাদের বুঝতে হবে কখন কোন কাজটি করতে হবে। অন্যথায় সমস্যা বাড়বে। দিন বদল হচ্ছে। অবস্থা সব সময় এক রকম যায় না। কবি নজরুল বলেছেন, চিরদিন কাহারো সমান নাহি যায়। ইতিহাস বড়ই নিষ্ঠুর। বুঝতে হবে বর্তমান বছর ভোটের। এখন যে তারুণ্যকে সামনে দেখছেন তারাই আগামী ভোটে মূল্যবান ভূমিকা রাখবে। কোনো অহংকার বা দম্ভের মূল্য তাদের কাছে নেই। সংকট দেখলে সমাধান করতে হবে বাস্তবতার আলোকে। গায়ের জোরে নয়। আগামী নির্বাচনকে ঘিরে তারুণ্যকে জয় করুন। দূর করুন দলের ও সরকারের ভিতরের সমন্বয়হীনতা। বক্তব্য উপস্থাপন আর ক্রাইসিস ম্যানেজমেন্টের মোকাবিলার জন্য দায়িত্ব দিন দক্ষ, বিজ্ঞ ও অভিজ্ঞদের। অন্যথায় অতিকথন ও দায়িত্বহীন অবস্থান সর্বনাশ ডেকে আনবে যা সামাল দেওয়া হবে কঠিন।
শিরোনাম
- রোনালদোকে ছাড়াই আল নাসরের গোলের ইতিহাস
- মাগুরায় শিশু আছিয়া ধর্ষণ ও হত্যা মামলার রায় ১৭ মে
- সারাদেশে এনআইডি সেবা সাময়িকভাবে বন্ধ
- প্রথম সফরে ট্রাম্প মধ্যপ্রাচ্যের ৩ দেশে গেলেও যাবেন না ইসরায়েল
- ট্রাম্পের বাণিজ্য বন্ধের হুমকিতে যুদ্ধবিরতিতে রাজি হয় ভারত-পাকিস্তান
- পাইলটের সাহস না থাকলে রাফাল যুদ্ধবিমান দিয়েও কিছু হবে না: পাকিস্তান
- খালেদা জিয়ার সুস্থতা কামনায় নাসিরনগরে দোয়া মাহফিল
- কুমিল্লায় সেবা মূল্য ৫ গুণ বৃদ্ধির সিদ্ধান্ত স্থগিত
- ‘অস্ট্রেলিয়া-বাংলাদেশ বিজনেস এক্সপো’ আগামী অক্টোবরে
- জামায়াতে ইসলামীর আপিল শুনানি বুধবার পর্যন্ত মুলতবি
- গরমে ত্বকের যত্নে মুলতানি মাটি
- বিশ্বকে পথ দেখাল সশস্ত্র বাহিনী
- গরমে তালের শাঁস খাওয়া কেন উপকারী
- শেষ মার্কিন জিম্মিকে মুক্তি দিয়ে ট্রাম্পের প্রতি যে আহ্বান জানাল হামাস
- ইরানের ওপর নতুন নিষেধাজ্ঞা জারি করল যুক্তরাষ্ট্র
- ভবিষ্যৎ বাংলাদেশের পথরেখা বাস্তবায়নই আমাদের লক্ষ্য : আলী রীয়াজ
- আজ ঢাকার বাতাস ‘অস্বাস্থ্যকর’
- লর্ডস ফাইনালের জন্য অস্ট্রেলিয়ার শক্তিশালী দল ঘোষণা
- গ্রেফতার মমতাজ; এতদিন লুকিয়ে ছিলেন কোথায়?
- নিষিদ্ধ ছাত্রলীগের সঙ্গে সংশ্লিষ্টতার অভিযোগে রাবি শিক্ষার্থীকে থানায় সোপর্দ
মন্ত্রী ও দায়িত্ববানরা অতিকথন বন্ধ করুন
নঈম নিজাম
প্রিন্ট ভার্সন

এই বিভাগের আরও খবর
সর্বশেষ খবর