বুধবার, ১৬ মে, ২০১৮ ০০:০০ টা

দৃশ্যত নির্বাচন ভালো হয়েছে

গোলাম রাব্বানী

দৃশ্যত নির্বাচন ভালো হয়েছে

এম সাখাওয়াত হোসেন

খুলনা সিটি করপোরেশন নির্বাচন দৃশ্যত ভালো হয়েছে বলে মনে করছেন সাবেক নির্বাচন কমিশনার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল এম. সাখাওয়াত হোসেন (অব.)। তিনি বলেন, কমিশন কয়েকটি কেন্দ্রে ভোট গ্রহণ বন্ধ করেছে। তবে যে সব কেন্দ্রে জাল ভোট হয়েছে তাও বন্ধ করা উচিত ছিল এবং যারা ভোট দিতে পারেনি তাদেরও ভোট দেওয়ার সুযোগ দেওয়া দরকার ছিল বলে মনে করেন তিনি। গতকাল খুলনা সিটির ভোটের বিষয়ে বাংলাদেশ প্রতিদিনের সঙ্গে আলাপকালে এসব কথা বলেন সাবেক এই নির্বাচন কমিশনার।

এম. সাখাওয়াত হোসেন বলেন, নির্বাচনের দিন কমিশন কী করেছে তা বলতে পারছি না। তফসিলের পর থেকেই তাদের দেখা উচিত ছিল। গত ১ মাস পুলিশি অ্যাকশন হয়েছে। ভোটের আগে নির্বাচন কমিশনের কাছে (বিএনপির নেতা-কর্মী গ্রেফতারসহ অন্যান্য) যেসব অভিযোগ এসেছিল তা আমলে নিলে আরও ভালো হতো। বিএনপি নির্বাচন কমিশনের কাছে কোনো প্রতিকার পায়নি। আর প্রতিকার না পেয়ে বিএনপিকে আদালতে যেতে হয়েছে। এক্ষেত্রে কমিশন ব্যত্যয় করেছে। তিনি বলেন, (গ্রেফতার বন্ধে আদালতে যাওয়া) এটা একটা ইতিহাস হয়ে থাকল।  খুলনা সিটির ভোটের বিষয়ে তিনি বলেন, মিডিয়ায় দেখেছি ৩০/৩২ কেন্দ্রে বিএনপি এজেন্ট বের করে দেওয়ার অভিযোগ তুলেছে। জাল ভোট হয়েছে। আবার কয়েক জন নারীকে বলতে (মিডিয়ায়) শুনেছি তারা ভোট দিতে পারেননি। কমিশনের উচিত ছিল তাদের ভোট দেওয়ার সুযোগ করে দেওয়া। তিনি বলেন, কোনো কেন্দ্রে যদি দুটি ভোটও জাল পড়ে, তবুও কমিশনের উচিত ছিল ভোট বন্ধ করে দেওয়া। এসব বিষয় তদন্ত করা। বিএনপির এজেন্ট বের করে দেওয়ার অভিযোগের বিষয়ে তিনি বলেন, বিএনপির উচিত হবে, এজেন্ট বের করে দেওয়ার তথ্য-প্রমাণ সংগ্রহ করে আদালতে যাওয়া। কেননা এজেন্টের জন্য অনেক নিয়মকানুন আমরা তৈরি করেছিলাম। এজেন্টদের জন্য নির্দিষ্ট ফরম রয়েছে। ভোটের আগে রিটার্নিং অফিসারের কাজ তদারকি করার জন্য নির্বাচন কমিশনের একজন যুগ্ম-সচিব পর্যায়ের কর্মকর্তা খুলনায় পাঠানোর সমালোচনা করে সাবেক এই নির্বাচন কমিশনার বলেন, এটা নির্বাচন কমিশনে কোনো আইন নেই। রিটার্নিং অফিসারের সমস্যা থাকলে তাকে বাদ দেওয়া যেত। কিন্তু তার উপরে একজনকে তদারকির জন্য দেওয়া ব্যাড অভিজ্ঞতা। তিনি বলেন, একটা সিটি ভোট দিয়ে সংসদ নির্বাচনের মূল্যায়ন করা যায় না। দুটি সিটিতে একসঙ্গে ভোট হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু একটা ঈদের পরে হবে। ভোট না হওয়ার প্রভাব পড়ে বলে মন্তব্য করেন তিনি। গতকাল খুলনা সিটিতে সকাল ৮টা থেকে বিকাল ৪টা পর্যন্ত একটানা ভোটগ্রহণ হয়। ২৮৯টি কেন্দ্রের মধ্যে তিনটি কেন্দ্রের ভোট অনিয়মের কারণে স্থগিত হয়েছে।

সর্বশেষ খবর