সোমবার, ১৯ নভেম্বর, ২০১৮ ০০:০০ টা

চ্যারিটেবল ট্রাস্ট মামলায় খালাস চেয়ে খালেদার আপিল

নিজস্ব প্রতিবেদক

জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলার রায়ের সত্যায়িত অনুলিপি হাতে পাওয়ার চার দিন পর হাই কোর্টে আপিল করেছেন বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার আইনজীবীরা। গতকাল হাই কোর্টের সংশ্লিষ্ট শাখায় আপিল আবেদন জমা দেওয়ার পর খালেদার অন্যতম আইনজীবী ব্যারিস্টার কায়সার কামাল বলেন, ৬৩৮ পৃষ্ঠার মূল রায়সহ প্রায় ৭০০ পৃষ্ঠার এই আপিলের সঙ্গে জামিনের আবেদনও রয়েছে।

তিনি বলেন, এই মামলায় অবৈধ ও অন্যায়ভাবে বিএনপি চেয়ারপারসনকে জেল-জরিমানা করা হয়েছে। এর বিরুদ্ধে আপিল করে সাজা বাতিল ও খালাস চাওয়া হয়েছে। হাই কোর্টের কোনো একটি বেঞ্চে আপিলটি শুনানির জন্য উপস্থাপন করা হবে। খালেদার আপিল হাই কোর্টে জমা পড়ার পর দুদকের আইনজীবী খুরশীদ আলম খান সাংবাদিকদের জানান, যে আদালতেই শুনানি হোক, আপিল মোকাবিলায় দুদক প্রস্তুত।

ঢাকার ৫ নম্বর বিশেষ জজ আদালতের বিচারক ড. মো. আখতারুজ্জামান গত ২৯ অক্টোবর এ মামলার রায় ঘোষণা করেন। জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্টের নামে আসা প্রায় সোয়া তিন কোটি টাকা আত্মসাতের দায়ে সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়াসহ চার আসামির সবাইকে সাত বছর করে সশ্রম কারাদণ্ড দেন তিনি। পাশাপাশি তাদের ১০ লাখ টাকা করে জরিমানা, অনাদায়ে আরও ছয় মাসের কারাদণ্ড দেওয়া হয় রায়ে। সাত বছর আগে দুদকের করা এই মামলা রায়ের পর্যবেক্ষণে বলা হয়, জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্টের নামে ব্যক্তিগত তহবিলে অর্থ সংগ্রহ ও ব্যয়ের ক্ষেত্রে সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়া সর্বোচ্চ রাষ্ট্রীয় ক্ষমতার অপব্যবহার করেছেন।

চিকিৎসা প্রশ্নে আদেশ আজ : বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় (বিএসএমএমইউ) থেকে বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াকে কারাগারে পাঠানোর বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে দায়ের করা রিটের আদেশ দেওয়ার নির্ধারিত তারিখ পিছিয়ে আজ নির্ধারণ করেছে হাই কোর্ট। গতকাল খালেদা জিয়ার পক্ষে দাখিল করা সম্পূরক আবেদনের শুনানি শেষে বিচারপতি শেখ হাসান আরিফ ও বিচারপতি রাজিক আল জলিলের সমন্বয়ে গঠিত হাই কোর্ট বেঞ্চ আদেশের জন্য এ দিন ঠিক করে। এর আগে গত ১৩ নভেম্বর মূল রিট আবেদনের শুনানি শেষে বৃহস্পতিবার আদেশের জন্য দিন ঠিক করেছিল আদালত। পরে ওই দিন খালেদা জিয়ার আইনজীবীরা সম্পূরক আবেদন করলে সেদিনও আদেশ হয়নি। আবেদনের ওপর শুনানি শেষে গত রবিবার আদেশের জন্য দিন ঠিক করেছিল হাই কোর্ট। খালেদা জিয়া পরিপূর্ণ সুস্থ হয়ে ওঠার আগেই তাকে হাসপাতাল থেকে দ্রুত কারাগারে পাঠানোর বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে গত ১১ নভেম্বর হাই কোর্টে রিট দায়ের করেন আইনজীবী নওশাদ জমির। এ বিষয়ে আইনজীবী কায়সার কামাল জানিয়েছিলেন, বিএসএমএমইউতে খালেদা জিয়ার চিকিৎসা শেষ না করে তাকে কারাগারে পাঠিয়ে দেওয়া হয়, যা মৌলিক অধিকারের পরিপন্থী। এই যুক্তিতে রিটটি করা হয়।

সর্বশেষ খবর