সাতক্ষীরায় বজ্রপাতে একই পরিবারের তিনজনসহ ৫ জনের মৃত্যু হয়েছে। নড়াইলের কালিয়ায় নিহত হয় ২ জন। এছাড়া রংপুরে দুই বন্ধু ও গাইবান্ধায় ১ যুবক মারা গেছেন। এ সংক্রান্ত নিজস্ব প্রতিবেদক ও প্রতিনিধিদের পাঠানো রিপোর্ট- সাতক্ষীরা : সাতক্ষীরায় পৃথক বজ্রপাতের ঘটনায় একই পরিবারের তিনজনসহ পাঁচজনের মৃত্যু হয়েছে। গতকাল বেলা ১১টার দিকে কালীগঞ্জ উপজেলার রতনপুর এবং আশাশুনি উপজেলার বুধহাটায় এ ঘটনা ঘটে। এলাকাবাসী জানায়, সকাল সাড়ে ১০টার দিকে গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টি হয়। এ সময় কালীগঞ্জ উপজেলার রতনপুর ইউনিয়নের গড়ইখালী গ্রামের আদম আলীর পরিবারের সদস্যরা বাড়ির বারান্দায় বসে ছিলেন। বেলা ১১টার দিকে বজ্রপাত ঘটে। এতে তার বড় ছেলে আলামিন হোসেন (২৮), আলামিনের স্ত্রী সাবিনা খাতুন (২৫) ও ছোট ছেলে রবিউল ইসলাম (২২) মারা
যান। বজ্রপাতে আহত হয়েছে আলামিনের ছেলে আমিনুর রহমান বাবু (৮)। আশঙ্কাজনক অবস্থায় তাকে কালীগঞ্জ স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে। এ সময় একই ইউনিয়নের বাগমারী গ্রামের বিজয়নগর এলাকায় মনসুর আলী (৪৮) নামে এক ব্যক্তির বজ্রপাতে মৃত্যু হয়। অপরদিকে, আশাশুনি উপজেলার বুধহাটা গ্রামের মাদ্রা এলাকায় বজ্রপাতে জুয়েল হোসেন (২৪) নামের এক শ্রমিকের মৃত্যু হয়েছে। নড়াইল : নড়াইলের কালিয়ায় বজ্রপাতে দুই ব্যক্তি নিহত হয়েছেন। গতকাল বেলা সাড়ে ১১টার দিকে এ ঘটনা ঘটে। নিহত ব্যক্তিরা হলেন পৌর এলাকার ছোট কালিয়া গ্রামের প্রল্লভ বর্মণের ছেলে নয়ন বর্মণ (২৫) ও সাতক্ষীরার কোরবান সরদারের ছেলে ফারুক সরদার (৪০)। রংপুর : রংপুরের তারাগঞ্জে বজ্রপাতে দুই বন্ধুর মৃত্যু হয়েছে। এ ঘটনায় নারীসহ সাতজন আহতের ঘটনা ঘটেছে।
তারাগঞ্জ থানার ওসি জিন্নাত আলী জানান, বৃহস্পতিবার রাতে উপজেলার সয়ার ইউনিয়নের তিন বন্ধু বালাপুর গ্রামের হাসান আলীর ছেলে আশেক রহমান (২০), পার্শ্ববর্তী শাইলপুকুর গ্রামের অহিদুল ইসলাম (২৮) ও চরকডাঙ্গা গ্রামের হাসেম আলীর ছেলে আতাউর রহমান (১৮) ওই এলাকার একটি আমবাগান পাহারা দিচ্ছিল। এ সময় বজ্রপাত ঘটলে আশেক রহমান ঘটনাস্থলে মারা যান। অপর দুই বন্ধু অহিদুল ও আতাউর রহমানকে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। অহিদুল চিকিৎসাধীন অবস্থায় রাত ১২টার দিকে মারা যান।
গাইবান্ধা : গাইবান্ধার গোবিন্দগঞ্জ উপজেলায় কাটাবাড়ী ইউনিয়নের পলুপাড়া গ্রামে গতকাল বিকাল সাড়ে ৪টার দিকে বজ্রপাতে রজ্জব আলী (২৮) নামে এক যুবকের মৃত্যু হয়েছে।
