মঙ্গলবার, ৭ জানুয়ারি, ২০২০ ০০:০০ টা

সেই ক্যাসিনো সাঈদ কাউন্সিলর প্রার্থী

প্রভাবশালীদের ছত্রচ্ছায়ায় ঘুরে বেড়াচ্ছেন

নিজস্ব প্রতিবেদক

সেই ক্যাসিনো সাঈদ কাউন্সিলর প্রার্থী

আবারও ঢাকা দক্ষিণ সিটি নির্বাচনে কাউন্সিলরপ্রার্থী মমিনুল হক সাঈদ। ক্যাসিনোকান্ডে র অন্যতম পুরোধা সাঈদ ২৭ ডিসেম্বর দেশে ফিরেছেন। প্রভাবশালীদের ছত্রছায়ায় কয়েকটি মামলার আসামি হয়েও নির্বিঘ্নে ঘুরে বেড়াচ্ছেন তিনি। পাশাপাশি কাউন্সিলরপ্রার্থী হিসেবে নির্বাচনের জন্য মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন। তবে আওয়ামী লীগের সমর্থন না পেলে স্বতন্ত্র কাউন্সিলর প্রার্থী হিসেবে নির্বাচনে অংশ নেবেন বহিষ্কৃত এই সাবেক যুবলীগ নেতা। এমনকি কোনো কারণে তার প্রার্থিতা বাতিল হলে স্ত্রী ফারহানা আহম্মেদ বৈশাখীকে প্রার্থী করা হবে বলে জানিয়েছেন রাজধানীর মতিঝিল এলাকার সাবেক কাউন্সিলর মমিনুল হক ওরফে সাঈদ। ঢাকা মহানগর (দক্ষিণ) যুবলীগের সাবেক এই যুগ্ম সম্পাদক সেপ্টেম্বরের শুরুতে হকি টিম নিয়ে মালয়েশিয়ায়  যান। এর কিছুদিন পর ১৮ সেপ্টেম্বর র?্যাব ক্যাসিনোবিরোধী অভিযান শুরু করলে সাঈদ আর দেশে ফেরেননি। তিন মাস পর আবারও ঢাকায় ফেরেন। তিনি বিদেশে থাকার সময়ই পুলিশের বিশেষ শাখা তার বিদেশ যাত্রার ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর কর্মকর্তারা জানান, মতিঝিল এলাকায় ক্যাসিনো পরিচালনার অন্যতম রূপকার এই সাঈদকে তারা খুঁজে পাচ্ছে না। তবে সাঈদ বলেছেন, তিনি নির্বিঘ্নে বিদেশ থেকে ঢাকায় ফিরেছেন। দলের সঙ্গে তার যোগাযোগ রয়েছে। তার দাবি, তিনি নিজের বা পরিবারের জন্য অর্থ-সম্পদ কিছু করেননি। যা কিছু করেছেন, সবই খেলাধুলা ও দলের জন্য। তার সঙ্গে যা হয়েছে, সেটা ‘মিডিয়া ট্রায়াল’ বলে আখ্যা দিয়েছেন। এমনকি দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) তার বিরুদ্ধে যে মামলা করেছে, সেটাও ‘গাঁজাখোরী’ মামলা। তিনি আশা করেন, স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে নির্বাচন করলেও পরে দলে ফিরতে পারবেন। কারণ, তিনি বহিরাগত নন। তার পরিবারের সবাই আওয়ামী লীগের রাজনীতিতে জড়িত। এর আগে দুদকের সহকারী পরিচালক আতাউর রহমান সংস্থার ঢাকা-১ সমন্বিত জেলা কার্যালয়ে মমিনুল হক সাঈদের বিরুদ্ধে মামলা করে। তার বিরুদ্ধে অভিযোগ, তিনি অসৎ উদ্দেশ্যে নিজ ক্ষমতার অপব্যবহার করে ক্যাসিনোসহ বিভিন্ন অবৈধ ব্যবসা ও কার্যক্রমের মাধ্যমে ৪ কোটি ৪৭ লাখ ৬৬ হাজার ২৬১ টাকা অর্জন করেছেন। এদিকে ২০১৫ সালে সিটি নির্বাচনের সময় নির্বাচন কমিশনে দেওয়া হলফনামায় সাঈদ উল্লেখ করেছিলেন, মেসার্স বৈশাখী এন্টারপ্রাইজ নামে তার ঠিকাদারি ও সরবরাহকারী প্রতিষ্ঠান রয়েছে। এখান থেকে তার বার্ষিক আয় ১৮ লাখ ৬৮ হাজার ৯৭৬ টাকা। এর বাইরে তার নগদ ৫ লাখ ৫ হাজার ৬৯৭ টাকা আছে। এছাড়া ইলেকট্রনিক্স পণ্য, আসবাব ও প্রাইজবন্ড রয়েছে ৫ লাখ টাকার। আর মূলধন ১ কোটি ২ লাখ ৯৭ হাজার ৯০১ টাকা। এবারের হলফনামা এখনো পাওয়া যায়নি। ক্যাসিনোবিরোধী অভিযান শুরু হলে জানা যায়, মোহামেডান স্পোর্টিং ক্লাব ও আরামবাগ ক্লাবে তিনি ক্যাসিনো চালু করে প্রচুর টাকা অবৈধভাবে অর্জন করেছেন।

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর