সোমবার, ১৩ জানুয়ারি, ২০২০ ০০:০০ টা

সংক্ষিপ্ত সফরে পাকিস্তান যাচ্ছে বাংলাদেশ

ক্রীড়া প্রতিবেদক

পাকিস্তান সফর নিয়ে আগের অবস্থানেই স্থির থেকেছে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি)। এক চুল পরিমাণ নড়চড় করেনি পূর্ব সিদ্ধান্তের। গতকাল সাড়ে ৪ ঘণ্টার ম্যারাথন বৈঠকে পরিচালনা পর্ষদ সফরের শুরুতে টি-২০ সিরিজ খেলার বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেয়। টি-২০ সিরিজ খেলা চলাকালীন নিরাপত্তা ব্যবস্থা দেখে পরবর্তীতে টেস্ট খেলার বিষয়ে বিবেচনা করবে বিসিবি। অবশ্য সিদ্ধান্তটি গতকাল পর্যন্ত পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ডকে (পিসিবি) জানায়নি ক্রিকেট বোর্ড। গতকাল মিরপুর স্টেডিয়ামে মিডিয়ার মুখোমুখিতে বিসিবি সভাপতি নাজমুল হাসান পাপন পাকিস্তান সফর নিয়ে বলেন, ‘মধ্যপ্রাচ্যের বর্তমান সংকটের জন্য সরকার স্বল্প সময় সফর করার অনুমতি দিয়েছে।’

এফটিপি অনুযায়ী আইসিসি টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপ খেলতে চলতি মাসের শেষ সপ্তাহে পাকিস্তান সফরে যাওয়ার কথা বাংলাদেশের। সফরে দুটি টেস্ট ও তিনটি টি-২০ ম্যাচ খেলার কথা টাইগারদের। কিন্তু নিরাপত্তাজনিত কারণেই বিসিবি চাইছিল না টেস্ট সিরিজ খেলতে। তবে না খেলার কথাও বলেনি। শুরুতেই শুধু টি-২০ সিরিজ খেলার প্রস্তাব দিয়েছিল পিসিবিকে। এরপর দেশে ফিরে টেস্ট সিরিজ খেলার কথা ভাববে বলে জানিয়েছিল। কিন্তু পিসিবি চেয়েছে টেস্ট সিরিজ খেলতে। বিসিবিকে প্রস্তাব দেয় টি-২০ সিরিজ বাদ দিয়ে যেন শুধু টেস্ট সিরিজ খেলে। বিসিবি বিষয়টি নিয়ে ভাবার সময় নিয়েছিল। কিন্তু ইরান ও আমেরিকার মধ্যে ঘোর সংকট শুরু হয়। পাকিস্তানের কোয়েটায় মসজিদে বোমা হামলায় ১৫ জনের মৃত্যুর পর সফর নিয়ে নতুন করে ভাবতে শুরু করে বিসিবি। সরকারও বিষয়টি গুরুত্বের সঙ্গে নিয়ে স্বল্প সময়ের জন্য সফরের নির্দেশনা দেয় বলে বিসিবি সভাপতি জানান- ‘মধ্যপ্রাচ্যে ইরান-আমেরিকা সংকটের ফলে পরিস্থিতি এখন অনেক জটিল আকার ধারণ করেছে। এর ফলে সরকার আমাদের একটি নির্দেশনা দিয়েছে স্বল্প সময় অবস্থানের।’ সরকারি নির্দেশনা পেয়েই বিসিবি গতকাল প্রথমে টি-২০ সিরিজ খেলার সিদ্ধান্ত নেয়। এফটিপি অনুযায়ী প্রতিটি টেস্ট খেলুড়ে দেশই হোম অ্যান্ড অ্যাওয়ে ভিত্তিতে টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপ খেলবে। শুরুতে পাকিস্তানের হোম ভেন্যু ছিল দুবাই। কিন্তু শ্রীলঙ্কা পূর্ণাঙ্গ সিরিজ খেলার পর বিষয়টি আলাদা রূপ নেয়। এর ফলে নতুন করে সমস্যা সৃষ্টি হয়। নিয়ম মেনে প্রতিটি দেশকে এখন পাকিস্তান সফর করতে হবে। কিন্তু নিরাপত্তাজনিত কারণে দেশগুলো সফর করতে চাইছে না। বাংলাদেশও রাজি নয় টেস্ট সিরিজ খেলতে। কিন্তু টি-২০ সিরিজ খেলবে। এর ব্যাখ্যায় বিসিবি সভাপতি বলেন, ‘আমরা চাই পাকিস্তানে ক্রিকেট ফিরুক। কিন্তু নিরাপত্তার বিষয়টিও মাথায় রাখতে হয়। টেস্ট ও টি-২০ ম্যাচের মধ্যে বিস্তর পার্থক্য। একটি টেস্টে ৪৫০ ওভার খেলতে হয়। তিনটি টি-২০ ম্যাচে খেলতে হয় ১২০ ওভার।’ বাংলাদেশ সর্বশেষ পাকিস্তান সফর করেছিল ২০০৮ সালে। অবশ্য মহিলা ক্রিকেট দল ও অনূর্ধ্ব-১৬ দল খেলে এসেছে পাকিস্তানে। তারপরও মধ্যপ্রাচ্য পরিস্থিতি বাধা হয়ে দাঁড়িয়েছে সফরে। গতকালের সভায় ক্রিকেটে ম্যাচ ফি বাড়ানোর সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়েছে। টি-২০ ক্রিকেটের ম্যাচ ফি সোয়া লাখ থেকে ২ লাখ, ওয়ানডেতে ২ লাখের জায়গায় ৩ লাখ এবং টেস্টে সাড়ে তিন লাখের জায়গায় ৬ লাখ টাকা করেছে বিসিবি। এ ছাড়া বিসিবির কেন্দ্রীয় চুক্তিতে মাশরাফি বিন মর্তুজা থাকছেন না। ওয়ানডে অধিনায়ক নিজেই সরে দাঁড়ানোর অনুরোধ করেন বিসিবিকে। নিষেধাজ্ঞার জন্য কেন্দ্রীয় চুক্তিতে থাকছেন না সাকিব আল হাসানও। এদিকে বিপিএলের স্থায়ী নাম বঙ্গবন্ধু বিপিএল করা হয়েছে।

সর্বশেষ খবর