গত ৭ জানুয়ারি পূর্ণ হয়েছে আওয়ামী লীগের নেতৃত্বাধীন সরকারের তৃতীয় মেয়াদের এক বছর। এই এক বছরে সিলেট-১ আসনভুক্ত (সিটি করপোরেশন ও সদর উপজেলা) এলাকায় করা উন্নয়ন কাজের ফিরিস্তি দিয়েছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ও ওই আসনের সংসদ সদস্য ড. এ কে আবদুল মোমেন। গতকাল বিকালে সার্কিট হাউসে সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময়ের সময় তিনি বাস্তবায়িত ও চলমান উন্নয়ন কাজগুলো তুলে ধরেন। একই সঙ্গে তিনি সিলেটের উন্নয়নে গৃহীত কিছু মেগা প্রকল্পের বর্ণনাও দেন। গৃহীত এসব প্রকল্প বাস্তবায়নের মধ্য দিয়ে তিনি ‘উন্নত-আলোকিত’ সিলেট গড়ার মাধ্যমে নির্বাচনী প্রতিশ্রুতি বাস্তবায়নের অঙ্গীকার ব্যক্ত করেন। মন্ত্রী জানান, বাংলাদেশের মধ্যে সর্বপ্রথম সিলেটে তারবিহীন নগরী গড়ার কাজ শুরু হয়েছে। এরই মধ্যে পাইলট প্রকল্পের একাংশের কাজ সফলভাবে সম্পন্ন করে ভূগর্ভ দিয়ে বিদ্যুৎ সঞ্চালন শুরু হয়েছে। নির্বাচনী প্রতিশ্রুতির অংশ হিসেবে দেশের মধ্যে প্রথম ডিজিটাল শহরও হতে যাচ্ছে সিলেট। নাগরিক সেবার মান বৃদ্ধি করতে চালু করা হয়েছে ‘৩৩৩’ হেল্পলাইন সার্ভিস। সিলেট নগরীকে সিসি ক্যামেরার আওতায় আনা হয়েছে। এতে নগরবাসীর নিরাপত্তা বৃদ্ধি পেয়েছে। কমেছে অপরাধপ্রবণতা। সিলেটের চিকিৎসা সেবার উন্নয়নে ব্যাপক কর্মযজ্ঞ হাতে নেওয়া হয়েছে উল্লেখ করে মন্ত্রী বলেন, ৩১ শয্যাবিশিষ্ট খাদিমপাড়া হাসপাতালের আউটডোর চালু করা হয়েছে। পূর্ণাঙ্গ চিকিৎসাসেবা নিশ্চিত করতে জনবল নিয়োগ দেওয়া হচ্ছে। ওসমানী হাসপাতালে রোগীর চাপ কমাতে নগরীর চৌহাট্টায় ২৫০ শয্যার হাসপাতাল নির্মাণ কাজ এগিয়ে চলছে।
ওসমানী হাসপাতালে সেবার মান বাড়াতে বহুতল নতুন ভবন নির্মাণ, নতুন আইসিইউ ইউনিট চালু ও শিশুদের জন্য এনআইসিইউ চালুসহ বিপুল পরিমাণ যন্ত্রপাতি সরবরাহ করা হয়েছে। এ ছাড়া সিলেট মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের জায়গা নির্ধারণ করে অধিগ্রহণ কাজও প্রক্রিয়াধীন রয়েছে। এ ছাড়া মন্ত্রী সিলেটকে পর্যটন নগরী হিসেবে গড়ে তোলা, শিক্ষার উন্নয়নে অনেকগুলো প্রকল্প, যোগাযোগ ব্যবস্থার উন্নয়নে মেগা প্রকল্প, ওসমানী বিমানবন্দর থেকে শিগগিরই সরাসরি আন্তর্জাতিক ফ্লাইট চালু করার বিষয় তুলে ধরেন।
