বুধবার, ২২ জানুয়ারি, ২০২০ ০০:০০ টা

উপনির্বাচনে ভোট দিয়েছে মৃত ও প্রবাসীরাও

নিজস্ব প্রতিবেদক

উপনির্বাচনে ভোট দিয়েছে মৃত ও প্রবাসীরাও

চট্টগ্রাম-৮ আসনে ব্যালটের মাধ্যমে পুনর্নির্বাচনের দাবি জানিয়েছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী। এক্ষেত্রে তিনি ইভিএমের মাধ্যমে পুনঃ ভোট গ্রহণের বিরোধিতা করেন। গতকাল নির্বাচন ভবনে প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কে এম নূরুল হুদার সঙ্গে সাক্ষাৎ করে তিনি এ দাবি জানান। চট্টগ্রাম-৮ আসনের সব কেন্দ্রে ইভিএমের মাধ্যমে ভোট গ্রহণ করা হয়। বৈঠক শেষে আমীর খসরু সাংবাদিকদের বলেন, চট্টগ্রাম-৮ আসনের নির্বাচনে কী ঘটেছে গণমাধ্যমে তা প্রকাশ হয়েছে। সেটি নিয়ে কথা বলেছি। ৩০ ডিসেম্বরের নির্বাচনের চেয়েও অনেক বেশি খারাপ হয়েছে এই নির্বাচন। নির্বাচন ব্যবস্থা অধিকতর খারাপের দিকে যাচ্ছে। উন্নতি তো দূরের কথা অবনতির দিকে যাচ্ছে, ফলে আস্থাহীনতা বাড়ছে। চট্টগ্রামের উপনির্বাচনে সব কেন্দ্র দখলের অভিযোগ করে আমীর খসরু বলেন, ১৭০ পোলিং স্টেশনের মধ্যে সবগুলোই দখল করে নিয়েছিল ক্ষমতাসীনরা। নির্বাচন কমিশনের ঘোষণা অনুযায়ী কেন্দ্রে বাইরের কেউ থাকতে পারবে না, গাড়ি-মোটরসাইকেল চলবে না। কিন্তু সেখানে চট্টগ্রাম বিভাগের যত মেয়র, কাউন্সিলর এবং আওয়ামী লীগের নেতাদের অবস্থান দৃশ্যমান ছিল- সবাই সরাসরি কেন্দ্র দখল করেছেন, মিছিল করেছেন। তিনি বলেন, মৃত মানুষের ভোট, প্রবাসীদের ভোট, জেলে থাকাদের ভোটও দেওয়া হয়েছে। ইভিএমে যে ভোট ডাকাতি হয় তা চট্টগ্রামের ভোটে প্রমাণিত হয়েছে। ভোটারদের কেন্দ্রে যেতে দেয়নি। যারা যেতে পেরেছে তারা আঙ্গুলের ছাপ দিয়েছে, ভোটের ব্যালট ইউনিটে ভোটের কাজ তারা সেরে ফেলেছে। ৩০ ডিসেম্বরের নির্বাচনেও যেখানে ইভিএমে ভোট হয়েছে সেখানেও এমন হয়েছে, চট্টগ্রামে তার চেয়েও খারাপ হয়েছে।

তিনি বলেন, কমিশনকে অনুরোধ করেছি চট্টগ্রামের নির্বাচনটি বাতিল করে দিন। ব্যালটের মাধ্যমে পুনর্নির্বাচন দিন। ইভিএমে ভোট জালিয়াতি হলেও চ্যালেঞ্জের কোনো সুযোগ নেই। ভারতের চেয়ে ১১ গুণ বেশি টাকায় ইভিএম মেশিন কেনা হয়েছে। কিন্তু সেখানে অডিট ট্রেইল ও পেপার ট্রেইল নেই। ভারতের মেশিনে তা আছে। পাঁচ-ছয়টি দেশে ইভিএম ব্যবহার হচ্ছে। সেখানে কমিশন বা সরকার প্রশ্নবিদ্ধ নয়। কিন্তু বাংলাদেশের কমিশন এবং সরকার প্রশ্নবিদ্ধ।

জাসদ নেতা মঈন উদ্দীন খান বাদলের মৃত্যুতে শূন্য হওয়া চট্টগ্রাম-৮ আসনে গত ১৩ জানুয়ারি অনুষ্ঠিত উপনির্বাচনে আওয়ামী লীগের মোছলেম উদ্দিন আহমেদ ৮৭ হাজার ৩৪৬ ভোট পেয়ে জয়ী হন। তার প্রতিদ্বন্দ্বী বিএনপির আবু সুফিয়ান পান ১৭ হাজার ৯৩৫ ভোট। এই উপনির্বাচনে ২২ দশমিক ৯৪ শতাংশ ভোট পড়েছে বলে নির্বাচন কমিশন দাবি করলেও বিএনপি প্রার্থী বলছেন, মাত্র পাঁচ শতাংশ ভোট পড়েছে। ভোটের দিন ভোটারদের কেন্দ্রে যেতে বাধা দেওয়া, কেন্দ্র দখলের অভিযোগও ক্ষমতাসীন দলের কর্মীদের বিরুদ্ধে তোলেন তিনি।

সর্বশেষ খবর