শিরোনাম
বৃহস্পতিবার, ২৩ জানুয়ারি, ২০২০ ০০:০০ টা
প্রচারে ঘাম ঝরাচ্ছেন প্রার্থীরা

যত্রতত্র পোস্টার নয় : আতিক

নিজস্ব প্রতিবেদক

যত্রতত্র পোস্টার নয় : আতিক

ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনে আওয়ামী লীগের মেয়র প্রার্থী আতিকুল ইসলাম আতিক বলেছেন, আমরা চাই  সুন্দর নগরী। যেভাবে যত্রতত্র পোস্টার লাগানো হয়, তাতে নগরী আর নগরী থাকে না। তাই নির্বাচন কমিশনকে দৃষ্টি আকর্ষণ করে বলছি আপনারা বলে দেন এভাবে ক্যাম্পেইন করা যাবে না, আপনারা যদি বলেন ডিজিটাল ক্যাম্পেইন করতে অবশ্যই আমরা ডিজিটাল ক্যাম্পেইন করব। আর আমি যদি বিজয়ী হই তাহলে যত্রতত্র পোস্টার লাগাতে দেব না। গতকাল দুপুরে রাজধানীর রায়েরবাজার পুলপাড় এলাকায় নির্বাচনী গণসংযোগের শুরুতেই এক পথসভায় এ কথা বলেন তিনি।  এ সময় তিনি ৩৪ নম্বর ওয়ার্ডে আওয়ামী লীগ সমর্থিত কাউন্সিলর প্রার্থী শেখ মোহাম্মদ হোসেন খোকন ও সংরক্ষিত কাউন্সিলর প্রার্থী রোকসানা আলমকে পরিচিত করিয়ে দিয়ে তাদেরও বিজয়ী করতে ভোটারদের প্রতি অনুরোধ জানান। এর পর ৩০, ৩২, ৩৩ ও ৩৪ নম্বর ওয়ার্ডের মুক্তি সিনেমা, সাদেক খান রোড, বটতলা হয়ে কাটাসুর, বাঁশবাড়ি, শিয়া মসজিদ, মোহাম্মদী হাউজিং ও বেড়িবাঁধ এলাকায় গণসংযোগ করেন। এ সময় নৌকার পক্ষে ভোট চান। মানুষের হাতে তুলে দেন লিফলেট। এ ছাড়া সন্ধ্যা ৭টায় মহাখালী বাসস্ট্যান্ড মালিক সমিতির সদস্যদের সঙ্গে মতবিনিময় করেন আতিকুল ইসলাম।

এর আগে পথসভায় আওয়ামী লীগের মেয়র প্রার্থী আতিক বলেন, আমি একজন প্রার্থী হিসেবে বলতে চাই, ইসি যদি আমাদের বলেন, যে ভবিষতে আপনারা এ ধরনের পোস্টার ব্যবহার থেকে বিরত থাকবেন। তাহলে অবশ্যই সেটা করব। আসুন আমরা সবাই ডিজিটাল ক্যাম্পেইন করি, এভাবে কাগজের পোস্টার যেন আর না লাগাই। কথা দিচ্ছি আমি যদি নির্বাচিত হই তাহলে নগরের আর যত্রতত্র পোস্টার-ব্যানার লাগানো থাকবে না। আমি নির্দিষ্ট কিছু দেয়াল করে দেব সেখানেই শুধু পোস্টার লাগানো যাবে। এর বাইরে শহরে কোথাও পোস্টার লাগানো যাবে না। আতিক বলেন, নির্বাচিত হলে এডিশ মশা নিয়ন্ত্রণে সর্বাধিক গুরুত্ব থাকবে। আমাদের চ্যালেঞ্জ হচ্ছে এডিস মশা, যানজট, জলজট। নির্বাচিত হলে সে চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করতে পারব। তিনি বলেন, আকাশের যত তারা, সিটি করপোরেশনের তত ধারা। এখানে কাজ করতে গেলে অনেক সমস্যারই মোকাবিলা করতে হয়। আমরা কাজ করে যাব। দুর্নীতিমুক্ত করে গড়ে তোলা হবে সিটি করপোরেশনকে। যদি আপনারা আমাকে এবং আমাদের কাউন্সিলরদের নির্বাচিত করেন তবে সবার জবাবদিহিতা নিশ্চিত করা হবে টাউন হল মিটিংয়ের মাধ্যমে। নৌকা প্রতীকের এই প্রার্থী বলেন, যদি আমাকে ভোট দিয়ে নির্বাচিত করেন তবে হোল্ডিং ট্যাক্স দেওয়ার জন্য আঞ্চলিক কর্মকর্তার কার্যালয়ে যেতে হবে না। ঘরে বসেই হোল্ডিং ট্যাক্স দিতে পারবেন। প্রচারণাকালে আতিকের সঙ্গে ছিলেন ঢাকা মহানগর উত্তর আওয়ামী লীগের সভাপতি শেখ বজলুর রহমান, কেন্দ্রীয় যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক মাঈনুল হোসেন খান নিখিলসহ অন্য নেতারা।

এই রকম আরও টপিক

সর্বশেষ খবর