মঙ্গলবার, ২৮ জানুয়ারি, ২০২০ ০০:০০ টা
দুই প্রার্থীর থানায় অভিযোগ

জয়ের নিশ্চয়তা দিয়ে হাতিয়ে নেওয়া হলো ১২ লাখ টাকা

নিজস্ব প্রতিবেদক

ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন (ডিএনসিসি) নির্বাচনে ৩০ নং ওয়ার্ডে ভোটে নিশ্চিত জয়ের লোভে পড়ে ১২ লাখ টাকা খোয়ালেন দুই কাউন্সিলর প্রার্থী। ২২ জানুয়ারি ফোনে ম্যাজিস্ট্রেট পরিচয় দেওয়া এক ব্যক্তির কাছে এভাবেই প্রতারণার শিকার হন লাটিম প্রতীকের ইয়াসিন মোল্লা ও টিফিন ক্যারিয়ার প্রতীকের আবুল কাশেম। তাদের মধ্যে ইয়াসিন মোল্লা আদাবর থানা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি। সেখানে দলসমর্থিত প্রার্থী থাকলেও ভোটের মাঠে আছেন তিনি। এ প্রতারণার ঘটনায় ২৪ জানুয়ারি অজ্ঞাতনামাদের আসামি করে একটি মামলা ও একটি জিডি করা হয়েছে বলে জানিয়েছে পুলিশ। ইয়াছিন মোল্লার ছেলে কাওসার মোল্লা বাদী হয়ে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলা করেছেন। এজাহারে বলা হয়েছে, ২২ জানুয়ারি সকালে আদাবর থানার ওসির (ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা) পরিচয়ে ০১৭১৩-৩৭৩১৮৩ নম্বর থেকে ফোন করে বলা হয়, ‘আমি ওসি (আদাবর থানা), আমি আপনার জন্য নির্বাচনে কিছু করতে পারলাম না। কিন্তু আপনার জন্য একটি পথ তৈরি করে দেই। আপনি সিটি করপোরেশন নির্বাচনে আদাবর থানা ৩০ নং ওয়ার্ড এলাকায় দায়িত্বপ্রাপ্ত ম্যাজিস্ট্রেটের সঙ্গে কথা বলেন।’ তারপর ওসি পরিচয়দাতা ০১৯০৬-৬৬৩০৯৬ নম্বরটি দিয়ে বলে, এটি ম্যাজিস্ট্রেটের নম্বর। খানিক বাদে ম্যাজিস্ট্রেট পরিচয়ধারীর নম্বর থেকে ফোন করে ইয়াসিন মোল্লাকে বলা হয়, ‘আপনি কি সিটি করপোরেশন নির্বাচনে জয়ী হতে চান? যদি হতে চান, তাহলে ১৫ লাখ টাকা দিতে হবে। নির্বাচনের আগে ৫ লাখ টাকা এবং পাস করার পরে ১০ লাখ টাকা দিতে হবে।’ এতে ইয়াসিন মোল্লা রাজি হয়ে ১২ দফায় পাঁচ লাখ টাকা বিকাশের মাধ্যমে পাঠান সেই ম্যাজিস্ট্রেট পরিচয়ধারীর দেওয়া নম্বরে। এরপর সন্ধ্যায় ম্যাজিস্ট্রেট পরিচয়ধারী প্রতারক আবারও ফোন করে তিন লাখ ৩০ হাজার টাকা চাইলে ইয়াসিন মোল্লার সন্দেহ হয়। তখন তিনি বিষয়টি ফোন করে ওসিকে জানান। একই ওয়ার্ডের টিফিন ক্যারিয়ার প্রতীকে কাউন্সিলর প্রার্থী আবুল কাশেমের কাছ থেকেও একইভাবে ৭ লাখ টাকা হাতিয়ে নিয়েছে চক্রটি। কাশেমের ম্যানেজার ফরহাদ থানায় জিডি করেছেন। পুলিশের তেজগাঁও বিভাগের উপ-কমিশনার (ডিসি) বিপ্লব বিজয় তালুকদার বলেন, দুজন প্রার্থীর কাছ থেকে ১২ লাখ টাকা হাতিয়ে নিয়েছে একটি চক্র। আমাদের ধারণা, তারা ওসির নম্বর ক্লোন করে প্রতারণা করেছে। এ ঘটনায় মোহাম্মদপুর থানা ও আদাবর থানায় মামলা হয়েছে। বিষয়টি আমরা তদন্ত করছি। আশা করছি প্রতারক চক্রকে ধরা সম্ভব হবে।

সর্বশেষ খবর