বৃহস্পতিবার, ২ এপ্রিল, ২০২০ ০০:০০ টা

সামাজিক দূরত্ব ও কোয়ারেন্টাইন না মানলে কঠোর ব্যবস্থা

কড়া নির্দেশ সারা দেশে, সচেতনতা ও সেবায় তৎপর সেনা পুলিশ র‌্যাব

নিজস্ব প্রতিবেদক

সামাজিক দূরত্ব ও কোয়ারেন্টাইন না মানলে কঠোর ব্যবস্থা

চট্টগ্রামে জনসচেতনতায় সেনাবাহিনীর মাইকিং

সেনাবাহিনী আজ থেকে স্থানীয় প্রশাসনকে সহায়তার অংশ হিসেবে দেশের সকল স্থানে সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখা এবং হোম কোয়ারেন্টাইনের বিষয়টি কঠোরভাবে নিশ্চিত করবে। সরকার প্রদত্ত নির্দেশাবলি অমান্যকারীদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। আইএসপিআর গতকাল এক বিবৃতিতে এ তথ্য জানায়। এদিকে ঢাকা মেট্রোপলিটন (ডিএমপি) পুলিশকেও কড়া নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।

করোনাভাইরাস সংক্রমণ যাতে সর্বত্র ছড়িয়ে না পড়ে সেজন্য সচেতনতা সৃষ্টিতে নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে সেনাবাহিনী, পুলিশ, র‌্যাব ও স্থানীয় প্রশাসন। সরেজমিনে দেখা গেছে, প্রখর রোদে রাস্তায় দাঁড়িয়ে জনসচেতনতামূলক কর্মকান্ড পরিচালনা, জীবাণুনাশক ওষুধ ছিটানো, সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখাসহ পথচারীদের সচেতনতায় তারা কাজ করছেন। এ সময় হ্যান্ডমাইকে বলা হচ্ছিল, ‘আতঙ্কিত নয়, সচেতন হোন, ঘরে থাকুন জীবন বাঁচান।’

বেপরোয়া চলাচল  ঠেকাতে কঠোর হওয়ার নির্দেশ ডিএমপির : রাজধানীর মোড়ে মোড়ে জনসমাগম এবং রাস্তায় অনাহূত মানুষ নিয়ে উদ্বিগ্ন পুলিশ। করোনার বিস্তার রোধে প্রয়োজনে অ্যাকশনে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে ঢাকা মহানগর পুলিশ (ডিএমপি)। গতকাল ডিএমপি সদর দফতরে ডিএমপি কমিশনার মো. শফিকুল ইসলামের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত বিশেষ বৈঠকে এমন সিদ্ধান্ত নেওয়া হয় বলে নিশ্চিত করেছে সূত্র। অন্যান্য বিষয়ের মধ্যে বৈঠকে উঠে আসে, ফাঁকা ঢাকা শহরের নিরাপত্তা এবং নিম্নআয়ের মানুষদের সাহায্য দেওয়ার ক্ষেত্রে সামাজিক দূরত্ব নিশ্চিতের বিষয়টি। গতকাল সকাল সোয়া ১০টা থেকে বেলা সাড়ে ১২টা পর্যন্ত ওই বিশেষ বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন সব অতিরিক্ত কমিশনার, যুগ্ম কমিশনার এবং ক্রাইম ডিভিশনের ডিসিগণ।

কয়েকজন পুলিশ কর্মকর্তা বাংলাদেশ প্রতিদিনকে বলেন, যেভাবে মানুষ রাস্তায় নেমে আসছে তাতে করোনা পরিস্থিতি ভয়ঙ্কর রূপ নিতে বেশি সময় লাগবে না। তাই পুলিশ প্রয়োজনে অ্যাকশনে যাবে। অকারণে কাউকে রাস্তায় বের হতে দেওয়া হবে না। খাবার এবং ওষুধের দোকানের সামনে সামাজিক দূরত্ব নিশ্চিতের বিষয়ে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। বৈঠক সূত্র বলছে, সম্প্রতি রাস্তায় মানুষ ঠেকাতে পুলিশি অ্যাকশনের সমালোচনা হয়। এতে পিছু হটে পুলিশ। কিন্তু সরকারি নির্দেশনা অমান্য করে মানুষজন কোনো কারণ ছাড়াই রাস্তায় নেমে আসছে। মোড়ে মোড়ে দাঁড়িয়ে আড্ডা দিচ্ছে। হুমকিতে পড়ছে জনস্বাস্থ্য। অনেক সামাজিক সংগঠন ও ব্যক্তি উদ্যোগে অসহায় মানুষদের মাঝে খাদ্যসহ বিভিন্ন উপকরণ বিতরণের ক্ষেত্রে পুলিশের সহায়তা নেওয়ার কথা বলেছেন ডিএমপি কমিশনার। অতীতে দেশের বিভিন্ন এলাকায় জাকাত এবং ত্রাণ বিতরণে পদদলিত হয়ে মানুষ মারা যাওয়ার বিষয়টিও তুলে ধরেন অনেক কর্মকর্তা। আশঙ্কা করে তারা বলেন, নিম্ন আয়ের মানুষের মাঝে কিছুদিন পর খাদ্যের জন্য হাহাকার সৃষ্টি হতে পারে। এতে করে বাড়তে পারে চুরি- ডাকাতি, রাহাজানির মতো অপরাধ। গতকাল বিকালে সরেজমিন রাজধানীর বিভিন্ন এলাকায় ঘুরে দেখা গেছে, মোড়ে মোড়ে চেকপোস্ট বসিয়ে যানবাহনে থাকা মানুষদের থামিয়ে বাইরে আসার কারণ জিজ্ঞাসাবাদ করছে পুলিশ। সন্তোষজনক উত্তর না পেলে তাদের ফিরিয়ে দেওয়া হচ্ছে। নিরুৎসাহিত করা হচ্ছে মোটরবাইক রাইড শেয়ারিং। রিকশা সিএনজিতে অধিক যাত্রী উঠলেই তাদের থামিয়ে দিচ্ছে পুলিশ। এদিকে ঝুঁকিপূর্ণ ব্যাটারিচালিত রিকশা অবাধে চলাচল করছে রাজপথে।            

সারা দেশে চলছে সচেতনতামূলক কার্যক্রম : আমাদের নিজস্ব প্রতিবেদক ও প্রতিনিধিরা বিবরণ পাঠিয়েছেন- চট্টগ্রাম : চট্টগ্রাম নগরসহ জেলায় পৃথকভাবে সেনাবাহিনীর ১৮টি টিম জীবাণুনাশক ছিটানো ও সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখার পাশাপাশি জনসচেতনতামূলক কর্মকান্ড চালাচ্ছে। প্রধান সড়কগুলোর পাশাপাশি মাইকিং করা হচ্ছে অলিগতিতেও। টিমের সমস্যরা ক্যান্টনমেন্ট এলাকা ছাড়াও নগরের বিভিন্ন স্থানে থাকা দিনমজুর, গরিব ও অসহায় মানুষের পাশে দাঁড়িয়েছেন চাল, ডালসহ নানাবিধ খাদ্যসামগ্রী নিয়ে। গতকাল নগরে ১১ ও জেলায় ৭- মোট ১৮টি পৃথক প্যাট্রল টিম এসব কর্মকান্ডে প্রতিনিয়ত কাজ করছে বলে জানান মেজর আবু সাঈদ। তিনি বলেন, পৃথকভাবে প্রতিদিন সকাল ৮টা থেকে রাত পর্যন্ত নগরে ১১টি টিম কাজ করছে। নগর ছাড়াও জেলার সীতাকু-, মিরসরাই, রাউজান, হাটহাজারী, রাঙ্গুনিয়া, আনোয়ারা, বোয়ালখালীতে পৃথক সাতটি টিম কাজ করছে জনসচেতনতায়। দিনমজুর, গরিব ও অসহায় সাধারণ মানুষকে দেওয়া হচ্ছে চাল, ডালসহ বিভিন্ন খাদ্যসামগ্রীও। চট্টগ্রামের ৩৪ ইঞ্জিনিয়ার কনস্ট্রাকশন ব্রিগেডের দায়িত্বশীল মেজর তৌহিদ বলেন, জীবাণুনাশক ছিটানোর কার্যক্রম ও সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখার পাশাপাশি নানাবিধ কর্মকান্ডও পরিচালনা করা হচ্ছে। করোনা সংক্রমণ ঠেকাতে হোম কোয়ারেন্টাইন নিশ্চিত করতে চট্টগ্রামে বাড়ি বাড়ি অভিযান চালাচ্ছে সেনাবাহিনী। এ সময় নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটদের নেতৃত্বে বিদেশফেরতদের বাড়িতে গিয়ে হোম কোয়ারেন্টাইন মানছেন কিনা তার খোঁজ নেওয়া হচ্ছে। অপ্রয়োজনীয় কোনো দোকানপাট খোলা রাখলে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে। টহলরত সেনা সদস্যরা গাড়ি থেকে এবং রাস্তায় নেমে হ্যান্ডমাইকযোগে জনসাধারণকে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ থেকে সুরক্ষিত থাকতে বিনা প্রয়োজনে মানুষকে ঘরের বাইরে বের না হওয়া, সাবান দিয়ে বারবার হাত ধোয়া, জীবাণুনাশক বা স্যানিটাইজার ব্যবহারসহ নানা ধরনের সচেতনতামূলক প্রচার চালাচ্ছেন। সেনাবাহিনীর পাশাপাশি জেলা ও পুলিশ প্রশাসন সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখতে শহরে মাইকিং করছে। স্বাস্থ্যসেবায় নিয়োজিত চিকিৎসক ও স্বাস্থ্যকর্মীদের পরিবহন সুবিধা দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে চট্টগ্রাম মহানগর পুলিশ (সিএমপি)। এরই মধ্যে চিকিৎসক ও স্বাস্থ্যকর্মীদের পরিবহন সুবিধা দিতে প্রতি থানার ওসিদের নির্দেশনা দিয়েছেন ্িসএমপি কমিশনার মাহাবুবর রহমান। তিনি বলেন, সাধারণ ছুটির কারণে গণপরিবহন বন্ধ থাকায় কর্মস্থলে যাতায়াত করতে বিপাকে পড়তে হচ্ছে চিকিৎসক ও স্বাস্থ্যকর্মীদের। এতে চিকিৎসাসেবায় ব্যাঘাত ঘটতে পারে। তাই যেসব চিকিৎসক ও স্বাস্থ্যকর্মী আমাদের সুবিধা নিতে চান তাদের গাড়ির সুবিধা দেবে পুলিশ। ২৪ ঘণ্টা এ সুবিধা গ্রহণ করতে পারবেন তারা। সেবা নিতে সিএমপির হট নম্বরে (০১৪০০৪০০৪০০) ফোন করতে বলা হয়েছে। সিলেট : বিভাগে সেনাবাহিনীর ২০টি টিমের কার্যক্রম অব্যাহত রয়েছে। করোনাভাইরাস সংক্রমণ ঠেকাতে লোকজনকে ঘরে থাকার আহ্বান জানিয়ে গতকালও মাইকিং করেছেন টিমের সদস্যরা। সড়ক ও গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনায় জীবাণুনাশক ছিটানো, ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানের সামনে সামাজিক দূরত্বের দাগ আঁকাসহ সচেতনতামূলক বিভিন্ন কর্মকান্ড চালিয়েছেন। প্রশাসনের উদ্যোগে ত্রাণ বিতরণ কার্যক্রমেও সেনা সদস্যদের সহযোগিতা করতে দেখা গেছে। এখনো যেসব প্রবাসী হোম কোয়ারেন্টাইনে আছেন, বাড়ি বাড়ি গিয়ে তাদের খোঁজ নেন সেনা সদস্যরা। এ সময় নিজের, পরিবারের ও আশপাশের মানুষের নিরাপত্তায় প্রবাসীদের নিয়ম মেনে কোয়ারেন্টাইনে থাকার অনুরোধ জানান তারা। এদিকে, গতকাল সিটি করপোরেশনের মেয়র আরিফুল হক চৌধুরী নগর ভবনে গঠিত ‘খাদ্য ফান্ড’ থেকে বিভিন্ন ওয়ার্ডে খাদ্যসামগ্রী বিতরণ করেন। সাবেক মেয়র বদর উদ্দিন আহমদ কামরান, বাফুফের কার্যনির্বাহী সদস্য মাহি উদ্দিন আহমদ সেলিম, সিসিক কাউন্সিলর আজাদুর রহমান আজাদ নগরের বিভিন্ন স্থানে দুস্থদের মধ্যে খাদ্যসামগ্রী বিতরণ করেন। চিকিৎসক ও স্বাস্থ্যকর্মীদের জন্য পিপিই প্রদান করেন আটাব সিলেট জোনের সাবেক সভাপতি আবদুল জব্বার জলিল ও বারাকা গ্রুপ। দ্বিতীয় দফায় সিলেট জেলা প্রশাসন ত্রাণ মন্ত্রণালয় থেকে বরাদ্দ পেয়েছে ২০০ টন চাল ও নগদ ৬ লাখ ৬০ হাজার টাকা। গতকাল জেলার বিভিন্ন স্থানে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও প্রশাসনের লোকজন এ বরাদ্দ বিতরণ করেছেন।

বগুড়া : র‌্যাব-১২ করোনাভাইরাস সংক্রমণের বিস্তার রোধে জনসাধারণের মধ্যে বিভিন্ন সচেতনতামূলক কার্যক্রম পরিচালনার পাশাপাশি কর্মহীন দিনমজুরদের মাঝে খাদ্যসামগ্রী বিতরণ করে আসছে। এরই অংশ হিসেবে গতকাল দুপুরে র‌্যাব-১২ বগুড়া ক্যাম্পের ভারপ্রাপ্ত কোম্পানি কমান্ডার রওশন আলী র‌্যাব ক্যাম্পের মাঠে কর্মহীন, দিনমজুর, অসহায় ও দুস্থদের মধ্যে ১০০ ব্যাগ ত্রাণসামগ্রী (চাল, ডাল, তেল, আটা, আলুসহ নিত্যপণ্য) বিতরণ করেন। বিতরণকালে তিনি সবাইকে আতঙ্কিত নয়, সচেতন হওয়ার আহ্বান জানান।

কুড়িগ্রাম : জেলা প্রশাসন, স্বাস্থ্য বিভাগ, পুলিশ প্রশাসন ও সাংবাদিকদের সঙ্গে সার্কিট হাউস মিলনায়তনে সেনাবাহিনীর ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের করোনা মোকাবিলায় করণীয় শীর্ষক এক মতবিনিময় অনুষ্ঠিত হয়েছে। গতকাল বেলা ১১টায় অনুষ্ঠানে রংপুর এরিয়া কমান্ডার মেজর জেনারেল নজরুল ইসলাম প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য দেন। এ সময় অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন রংপুর ৭২ পদাতিক ব্রিগেডিয়ার কমান্ডার, ব্রিগেডিয়ার জেনারেল জাহাঙ্গীর হারুন, রংপুর ৬৬ পদাতিক ডিভিশনের কর্নেল স্টাফ কর্নেল মোহাম্মদ রাইসুল ইসলাম, লে. কর্নেল মোহাম্মদ হেদায়েতুল ইসলাম, কুড়িগ্রামের দায়িত্বপ্রাপ্ত অধিনায়ক লে. কর্নেল হেদায়েতুল ইসলাম, জেলা প্রশাসক রেজাউল করিম, পুলিশ সুপার মহিবুল ইসলাম খান, সিভিল সার্জন হাবিবুর রহমান, হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক ডা. জিকরুল, প্রেস ক্লাব সভাপতি আহসান হাবীব নীলু প্রমুখ। মতবিনিময় শেষে সেনাবাহিনীর রংপুর এরিয়া কমান্ডার মেজর জেনারেল নজরুল ইসলাম তার অধস্তন কর্মকর্তাদের সঙ্গে নিয়ে শহরের কেন্দ্রীয় বাস টার্মিনাল ও ত্রিমোহনি এলাকায় শতাধিক দুস্থ মানুষের মধ্যে চাল, ডাল, আলু, লবণ ও তেল বিতরণ করেন।

ফেনী : করোনাভাইরাসের বিস্তার রোধে ফেনীতে চলছে অঘোষিত লকডাউন। লোকসমাগম না থাকায় অনেক খেটে খাওয়া মানুষ হয়ে পড়েছে বেকার। এমন পরিস্থিতিতে বিপন্ন মানুষের পাশে দাঁড়িয়েছে র‌্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র‌্যাব)। র‌্যাব সদস্যরা খুঁজে খুঁজে প্রকৃত খেটে খাওয়া দিনমজুর অসহায়দের হাতে খাদ্যসামগ্রী তুলে দিয়েছেন। র‌্যাব ফেনী ক্যাম্পের সদস্যরা গতকাল সকাল থেকে ফেনী শহর ও গ্রামের বেশ কয়েকটি স্থানে দিনমজুর, ভাসমান হকার, রিকশাচালকদের মধ্যে এসব সামগ্রী বিতরণ করেন। কিশোরগঞ্জ : কটিয়াদীতে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট আশরাফুল আলমের নেতৃত্বে সেনাবাহিনীর সদস্যরা গতকাল দিনব্যাপী করোনা প্রতিরোধে সচেতনতামূলক কার্যক্রমসহ বিভিন্ন কার্যক্রম পরিচালনা করেন। পরে লোহাজুরি ইউনিয়নের বিভিন্ন এলাকায় ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করা হয়। এ সময় বেআইনিভাবে খোলা রাখায় হাদী স্টেশনারি অ্যান্ড পেপার হাউসকে ৫ হাজার, বনগ্রাম আনন্দবাজারে মা স্বর্ণ শিল্পালয়কে ৫ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়। ক্যাপ্টেন সাজ্জাদের নেতৃত্বে সেনা সদস্যরা বিভিন্ন স্থানে হ্যান্ডমাইকে প্রচার ও লিফলেট বিতরণ করেন। সেনা সদস্যরা বনগ্রামে শতাধিক লোকের একটি সমাবেশ ছত্রভঙ্গ করে দেন। মানিকগঞ্জ : ৭১ ব্রিগেড কমান্ডার এম ইমরান হামিদ গতকাল দুপুরে শহরের বিভিন্ন সড়কে জীবাণুনাশক ছিটানো, পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা ও সাধারণের মাস্ক ব্যবহারে সচেতনতা দেখে সন্তোষ প্রকাশ করেন। এ সময় জেলা প্রশাসক এস এম ফেরদৌস, পুলিশ সুপার রিফাত রহমান শামীম, পৌর মেয়র গাজী কামরুল হুদা সেলিম উপস্থিত ছিলেন।

 কুষ্টিয়া : দিনমজুর, ভ্যানচালক ও নিম্ন আয়ের ২ হাজার পরিবারকে খাদ্যসহায়তা দিয়েছেন কুষ্টিয়ার পুলিশ সুপার এস এম তানভীর আরাফাত। গতকাল সকালে পুলিশ লাইনসে দুস্থদের মধ্যে চাল, ডাল, আলু, পিয়াজ, শুকনা মরিচ ও লবণের প্যাকেট তুলে দেন পুলিশ সুপার। এরপর পুলিশের কর্মকর্তরা সাত থানার অন্তর্গত বিভিন্ন গ্রামের দুস্থদের বাড়ি বাড়ি গিয়ে ত্রাণ পৌঁছে দেওয়ার জন্য খাদ্যসামগ্রী নিয়ে যান। এ ছাড়া পুলিশ সুপারের পক্ষ থেকে জেলার চিকিৎসকদের জন্য ৪০০ পিপিই দেওয়া হবে। পুলিশ সুপারের কার্যালয়ের মধ্যে নিজস্ব কারখানায় এসব পিপিই তৈরি করা হচ্ছে। সিভিল সার্জনের হাতে উন্নতমানের এসব পিপিই হস্তান্তর করা হবে বলেও পুলিশের পক্ষ থেকে জানানো হয়।

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর