বৃহস্পতিবার, ২৭ আগস্ট, ২০২০ ০০:০০ টা

২০২২ সালেই শেষ হবে পদ্মা সেতুর কাজ

নিজস্ব প্রতিবেদক

২০২২ সালেই শেষ হবে পদ্মা সেতুর কাজ

আগামী বছরের জুন মাসে পদ্মা সেতুর নির্মাণ কাজ শেষ হবে এমনটাই ঠিক করা ছিল। কিন্তু বৈশ্বিক করোনাভাইরাস মহামারী আর অতিরিক্ত বন্যা এ সেতু নির্মাণ কাজে বাধা সৃষ্টি করেছে। তাই আগামী জুনে এটা সম্ভব হচ্ছে না। তবে আগামী ২০২২ সালের মধ্যেই পদ্মা সেতুর কাজ  শেষ হবে বলে জানিয়েছেন অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল। গতকাল সচিবালয়ে সরকারি ক্রয়সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটির বৈঠক শেষে এক ভার্চুয়াল ব্রিফিংয়ে তিনি এসব কথা বলেন। সেতু নির্মাণ কাজ শেষ হতে সময় বেশি লাগার জন্য পদ্মা বহুমুখী সেতু নির্মাণ প্রকল্পের মূল  সেতু ও নদী শাসন কাজ তদারকির জন্য পরামর্শক সংস্থার মেয়াদ আরও ৩৪ মাস বাড়ানোর প্রস্তাব বৈঠকে অনুমোদন দেওয়া হয়েছে বলেও জানান অর্থমন্ত্রী। এতে সরকারের ব্যয় হবে ৩৪৮ কোটি ১ লাখ ৩২ হাজার টাকা। অর্থমন্ত্রী বলেন, বর্তমানে করোনা সংক্রমণের কারণে পদ্মা সেতুর কাজ সময়মতো করতে পারিনি। এ ছাড়া এ বছর যে ভয়াবহ বন্যা, যা কখনো কল্পনা করিনি, এ বন্যার কারণেও কাজ বন্ধ রয়ে গেছে।

তিনি বলেন, ‘প্রকল্প ব্যয় যা ছিল তাই থাকবে। প্রকল্প ব্যয়ে এটা অলরেডি ধরা ছিল, সেখান থেকেই অ্যাডজাস্ট করা হবে।’ অর্থমন্ত্রী বলেন, ‘করোনার মতো কোনো ভাইরাস নিয়ে আমরা কখনো চিন্তা করিনি। তাই ২০২১ সালের মধ্যে কাজ শেষ করব বলা হয়েছিল। এটা আমাদের সবারই প্রত্যাশা ছিল এবং সেভাবেই কাজটা এগোচ্ছিল। কিন্তু এ করোনাভাইরাস সবকিছু উলটপালট করে দিয়েছে। তাই এ প্রকল্পটিও  সেখানে বাধাগ্রস্ত হয়েছে। তাই ২০২২ সাল পর্যন্ত এ প্রকল্পের মেয়াদ বাড়িয়েছি। আমরা আশা করি এর মধ্যেই এ প্রকল্পের কাজ শেষ হবে।’ 

সূত্র জানায়, বিশ্বজুড়ে করোনাভাইরাস সংক্রমিত হওয়ার কারণে সব ধরনের কর্মকান্ড প্রায় স্থবির হয়ে পড়ে। এতে দেশের বৃহত্তম প্রকল্প পদ্মা সেতু নির্মাণ প্রকল্পের ওপর মারাত্মক প্রভাব ফেলে। অনেক বিদেশি প্রকল্প এলাকা ছেড়ে চলে যান। এ ছাড়াও সাম্প্রতিক বন্যায় পদ্মা নদী ভয়াল রূপ ধারণ করে। প্রকল্প এলাকায় ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। এসব কারণে প্রকল্প বাস্তবায়নের গতি শ্লথ হয়ে পড়ে। ফলে প্রকল্পের মেয়াদ বাড়াতে হয়েছে। এ অবস্থায় পদ্মা সেতু প্রকল্পের কনস্ট্রাকশন সুপারভিশন কনসালট্যান্ট (সিএইসি) নিয়োগের লক্ষ্যে  কোরিয়া এক্সপ্রেসওয়ে করপোরেশন (কেইসি) অ্যান্ড এএমপি অ্যাসেসিয়েটসের মেয়াদ ২০২০ সালের সেপ্টেম্বর থেকে ২০২২ সালের জুন পর্যন্ত ২২ মাস নির্মাণ কাজ তদারকি এবং ডিফেক্ট লায়াবিলিটি পিরিয়ড (ডিএলপি) ১২ মাসসহ মোট ৩৪ মাস বাড়ানো হচ্ছে।

সর্বশেষ খবর