রবিবার, ৮ নভেম্বর, ২০২০ ০০:০০ টা

বাইডেনের জয়ে ভিন্ন আমেজে প্রবাসীরা

যুক্তরাষ্ট্র প্রতিনিধি

ইলেকটোরাল ভোটে বাইডেনের বিজয়বার্তায় উল্লাস করছেন প্রবাসীরাও। এমন প্রত্যাশায় তারা প্রহর গুনছিলেন বছরখানেক আগে থেকেই। প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের কিছু অমানবিক পদক্ষেপ এবং লাগাতার মিথ্যাচার, বিশেষ করে করোনা নিয়ে তামাশায় প্রবাসীরাও অতিষ্ঠ হয়ে উঠেছিলেন। ব্যালট বিপ্লবে এহেন অপশাসনে বদ্ধপরিকর ছিলেন বলেই বিজয়বার্তায় উল্লসিত তারা। বাংলাদেশি অধ্যুষিত প্রতিটি জনপদেই গত ৪৮টি ঘণ্টা উদ্বেগ-উৎকণ্ঠা ছিল। সর্বত্র একই আলোচনা ছিল- বাইডেনের কি জয় হবে? ট্রাম্পের কূটচালে বাইডেনও কি হেরে যাবেন? ইত্যাদি প্রশ্নবাণে জর্জরিত প্রবাসীরা বিজয়বার্তায় অভিভূত। নিউইয়র্ক সিটির জ্যাকসন হাইটসের আলম খান বললেন, মনটা নাচতে চাইছে। ঘনিষ্ঠরা অভিবাসনের ভিসার অপেক্ষায় প্রহর গুনছিলেন। ট্রাম্পের বিদায় বার্তায় সে অনিশ্চয়তা কেটে যাবে নিশ্চয়ই। মিয়ামির কালাম আকন্দ বললেন, অসহনীয় এক যন্ত্রণায় ছিলাম। মনে হয়েছে পাগলের রাজত্বে নিপতিত হয়েছি আমরা। আজ তার পরিসমাপ্তি ঘটল। বাইডেনের বিজয়ে স্বস্তির পাশাপাশি গভীর সন্তোষের সঙ্গে প্রবাসীসহ বিবেকসম্পন্ন আমেরিকানদের অভিবাদন জানান ‘সাউথ এশিয়ান্স ফর বাইডেন’-এর চিফ অ্যাডভাইজার রাষ্ট্রদূত ওসমান সিদ্দিক। এ ছাড়া নিউইয়র্কে ডেমোক্র্যাটিক পার্টির ডিস্ট্রিক্ট লিডার অ্যাটর্নি মঈন চৌধুরী বললেন, অভিশাপমুক্ত হলো যুক্তরাষ্ট্র।

ডেমোক্র্যাট খোরশেদ খন্দকার ও ফাহাদ সোলায়মান সবাইকে অভিনন্দন জানিয়েছেন বাইডেনের বিজয়ে সর্বাত্মক সহায়তার জন্য। বিজয়ের এ ধারা অব্যাহত রাখতে সবাইকে ডেমোক্র্যাটিক পার্টির পতাকাতলে জড়ো হওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন তারা। রিপাবলিকান গিয়াস আহমেদ সবচেয়ে বেশি আনন্দিত বাইডেনের বিজয়ে নয়, ট্রাম্প-যুগের অবসানে। ট্রাম্পের আচরণে গোটা সভ্য বিশ্বই ক্ষুব্ধ আমেরিকার ওপর। বাংলাদেশ সোসাইটির বোর্ড অব ট্রাস্টির অন্যতম সদস্য অধ্যাপক দেলোয়ার হোসেন পরম করুণাময়ের শুকরিয়া আদায় করেছেন আমেরিকানদের অবিস্মরণীয় বিজয় ঘটায়। তবে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প কর্তৃক বাইডেনের বিজয়কে অভিনন্দিত করার ঘটনা এখনো ঘটেনি। অধিকন্তু তিনি আইনি লড়াইয়ের শেষ দেখার হুমকি অব্যাহত রেখেছেন, যা রিপাবলিকান নীতিনির্ধারকদের খেপিয়ে তুলেছে।

সর্বশেষ খবর