বিকৃত যৌনাচারে ব্যবহার করা হয় ফরেন বডি। এতেই অতিরিক্ত রক্তক্ষরণে মৃত্যু হয় ‘ও’ লেভেলের ছাত্রী আনুশকার। সিআইডির অনুসন্ধানে উঠে এসেছে এমন তথ্য। রাজধানীর মালিবাগে সিআইডি কার্যালয়ে গতকাল দুপুরে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে সংস্থার সাইবার ক্রাইম কমান্ড অ্যান্ড কন্ট্রোল সেন্টারের অতিরিক্ত ডিআইজি মো. কামরুল আহসান এ তথ্য জানান। তিনি বলেন, গত ৭ জানুয়ারি রাজধানীর মাস্টারমাইন্ড স্কুলের ‘ও’ লেভেলের ছাত্রী আনুশকার ধর্ষণের ফলে মৃত্যু হয়। ময়নাতদন্তে জানা যায়- বিকৃত যৌনাচারের ফলে অতিরিক্ত রক্তক্ষরণে মারা যায় সে। বিশেষজ্ঞদের মতামত অনুসারে আনুশকাকে নির্যাতনের সময় এক ধরনের ফরেন বডি ব্যবহার করা হয়েছিল। সংবাদ সম্মেলনে আরও জানানো হয়, রাজধানীতে একটি সংঘবদ্ধ চক্র নিষিদ্ধ যৌনাচারের সামগ্রী ও উদ্দীপক দ্রব্য বিজ্ঞাপন দিয়ে বিক্রি করছে। এ চক্রের ছয় সদস্যকে আটক করেছে সিআইডি। আনুশকার মৃত্যুর পর তার ময়নাতদন্ত করেছিলেন ঢাকা মেডিকেল কলেজের (ঢামেক) ফরেনসিক মেডিসিন বিভাগের প্রধান ডা. সোহেল মাহমুদ। সে সময় গণমাধ্যমকে তিনি জানিয়েছিলেন, স্বাভাবিক শারীরিক সম্পর্কে এতটা ভয়াবহ পরিণতি হওয়ার কথা নয়। শরীরের নিম্নাঙ্গে কোনো ‘ফরেন বডি’ ব্যবহার করা হয়েছে। বিকৃত যৌনাচার করা হয়েছে। আনুশকার ঘটনায় করা মামলায় প্রধান আসামি দিহান গত ৮ জানুয়ারি ঢাকা মহানগর হাকিম মামুনুর রশীদের আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেন। ওই দিনই নিহত ছাত্রীর ময়নাতদন্ত সম্পন্ন হয়। ময়নাতদন্তে ধর্ষণের আলামত পাওয়া যায়। সিআইডি গতকাল জানায়, আনুশকাকে হত্যা ও ধর্ষণ মামলার সূত্র ধরে কৃত্রিম যৌনাঙ্গ বা ফরেন বডি সম্পর্কে জানতে পারেন তারা। তদন্ত করতে গিয়ে দেখা যায়- বিভিন্ন সামাজিক মাধ্যম ও ওয়েবসাইট ব্যবহার করে নিষিদ্ধ কৃত্রিম যৌন উদ্দীপক পণ্য অনলাইনে বিক্রি করা হচ্ছে। বৈধ পণ্য আমদানির নামে নিষিদ্ধ এসব পণ্য আমদানি করছিল বেশ কয়েকটি চক্র। চিহ্নিত করা হয় ৩২টির মতো ওয়েবসাইট। রাজধানীর বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালিয়ে গ্রেফতার করা হয় এই চক্রের ছয় সদস্যকে। এ ঘটনায় কাস্টমসের কেউ জড়িত আছেন কি না, তাও খতিয়ে দেখা হচ্ছে বলে জানান সাইবার ক্রাইম কমান্ড অ্যান্ড কন্ট্রোল সেন্টারের অতিরিক্ত ডিআইজি মো. কামরুল আহসান। তিনি জানান, শনিবার রাজধানীর পল্লবীতে অলিভিয়া ক্যাফে অ্যান্ড রেস্টুরেন্ট থেকে রেজাউল আমিন হৃদয়, মীর হিসামউদ্দিন বায়েজিদ, সিয়াম আহমেদ ওরফে রবিন, ইউনুস আলী এবং আরজুল ইসলাম জিম নামে পাঁচজনকে আটক করা হয়। তাদের কাছে পাওয়া নিষিদ্ধ পণ্যগুলোর আনুমানিক বাজারমূল্য ১২ লাখ টাকা। তাদের দেওয়া তথ্য মতে একইদিন পল্লবীর একটি ভাড়া বাসা থেকে চক্রের হোতা মেহেদী হাসান ভূইয়া ওরফে সানিকে গ্রেফতার করা হয়। তিনি একাই ফরেন বডি বিক্রির ১০টি ওয়েব সাইট পরিচালনা করতেন। জিজ্ঞাসাবাদে সানি জানিয়েছেন, ২০১০ সাল থেকে এশিয়ান স্কাই শপে ডেলিভারিম্যান হিসেবে চাকরি করতেন। ২০১৩ সালে চাকরি ছেড়ে নিজেই ব্যবসা শুরু করেন। তিনি অনলাইনে পণ্য কেনার জন্য ভারত ও চীনেও যান। ২০১৭ সালে নিজস্ব ওয়েবসাইট খুলে ব্যাপক পরিসরে আমদানি নিষিদ্ধ সেক্স টয় ও যৌন উদ্দীপক ওষুধ আমদানি ও বিক্রি শুরু করেন। কর ফাঁকি দিয়ে কৌশলে বৈধ পণ্যের আড়ালে এসব আমদানি করা হতো। তার কাজে সহায়তা করত কিছু সিএন্ডএফ এজেন্ট। এসব পণ্য বিভিন্ন ডিলারের মাধ্যমে নির্দিষ্ট ক্রেতার কাছে পৌঁছে দিত।
শিরোনাম
- ভারতে পালানোর সময় শামীম ওসমানের সহযোগী আজিজ গ্রেফতার
- শাহজালালে অগ্নিকাণ্ড তদন্তে সহায়তায় ঢাকায় তুরস্কের বিশেষজ্ঞ দল
- মৌসুমের প্রথম এল ক্ল্যাসিকো জিতল রিয়াল
- ড্যাফোডিল ও সিটি ইউনিভার্সিটির শিক্ষার্থীদের মধ্যে সংঘর্ষ, গাড়িতে আগুন
- আবারও প্রেসিডেন্ট পদে প্রার্থী হওয়ার ইঙ্গিত দিলেন কমলা হ্যারিস
- ২৫ দিনে রেমিট্যান্স এলো ২৫ হাজার কোটি টাকা
- সোমবার ভোটকেন্দ্রের চূড়ান্ত তালিকা প্রকাশ : ইসি সচিব
- অবশেষে চীন-ভারত সরাসরি ফ্লাইট চালু
- মালয়েশিয়ায় ট্রাম্পবিরোধী বিক্ষোভ
- সৌদিতে সাত দিনে ২২ হাজারের বেশি প্রবাসী গ্রেফতার
- শ্রীলঙ্কার দুই বিমানবালাকে মারধরের অভিযোগে সৌদি যুবক গ্রেফতার
- অ্যাঞ্জেলিক এয়ার ফ্রেশনারের নতুন দুই ভ্যারিয়েন্ট উন্মোচন
- যুবকদের কর্মসংস্থান সৃষ্টির লক্ষ্যে সৎ ও যোগ্য নেতৃত্ব নির্বাচিত করতে হবে : মাসুদ সাঈদী
- যুক্তরাষ্ট্র ও মালয়েশিয়ার নতুন বাণিজ্যচুক্তি সই
- আবারও পাকিস্তান প্রধানমন্ত্রী-সেনাপ্রধানের ভূয়সী প্রশংসা করলেন ট্রাম্প
- নতুন কমিটিকে অভিনন্দন জানিয়ে লক্ষ্মীপুরে ছাত্রদলের আনন্দ মিছিল
- বাগেরহাটে বিএনপির ৩১ দফা বাস্তবায়নে লিফলেট বিতরণ
- বাকসু নির্বাচনের দাবিতে অনশনে এক শিক্ষার্থী
- গৃহশিক্ষকসহ স্কুলছাত্রকে এসিড নিক্ষেপ: দুই যুবকের যাবজ্জীবন
- ঝিনাইদহে পানিতে ডুবে শিশুর মৃত্যু
বিকৃত যৌনাচারে আনুশকার মৃত্যু
সিআইডির অনুসন্ধানে তথ্য
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রিন্ট ভার্সন
এই বিভাগের আরও খবর