সোমবার, ১ মার্চ, ২০২১ ০০:০০ টা

সুইস ব্যাংকে টাকা জমাকারী বাংলাদেশিদের তালিকা চায় হাই কোর্ট

দিতে হবে ১৪ হাজার দ্বৈত নাগরিকের তথ্য

নিজস্ব প্রতিবেদক

সুইজারল্যান্ডের বিভিন্ন ব্যাংকে (সুইস ব্যাংক) সঞ্চয়কারী বাংলাদেশিদের নামের তালিকা চেয়েছে হাই কোর্ট। একই সঙ্গে এসব ব্যাংকে টাকা জমাকারীদের বিরুদ্ধে কী ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে, তাও জানাতে বলা হয়েছে। এ ছাড়া ১৪ হাজার দ্বৈত নাগরিকের তথ্যও দাখিল করতে বলেছে আদালত। এ সংক্রান্ত এক রিট আবেদনের শুনানি নিয়ে গতকাল বিচারপতি মো. নজরুল ইসলাম তালুকদার ও বিচারপতি মহি উদ্দিন শামীমের সমন্বয়ে গঠিত ভার্চুয়াল হাই কোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেয়।

পাশাপাশি পানামা পেপারস ও প্যারাডাইস পেপারসে যাদের নাম এসেছে, তাদের বিরুদ্ধে তদন্তের কেন নির্দেশ দেওয়া হবে না, তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেছে আদালত। অর্থ পাচারের ঘটনাগুলো তদন্তের জন্য কেন আলাদা তদন্ত টিম গঠন করা হবে না, তাও জানতে চাওয়া হয়েছে রুলে। আদালতে রিটের পক্ষে শুনানি করেন অ্যাডভোকেট আবদুল কাইয়ুম খান ও সুবীর নন্দী দাস। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন অ্যাটর্নি জেনারেল এ এম আমিন উদ্দিন ও ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল এ কে এম আমিনউদ্দিন মানিক। দুদকের পক্ষে ছিলেন আইনজীবী মো. খুরশীদ আলম খান। পরে ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল আমিন উদ্দিন মানিক বলেন, আদেশে আদালত সুইস ব্যাংকে জব্দকৃত টাকা ফেরত আনার বিষয়ে সংশ্লিষ্টদের ব্যর্থতা কেন অবৈধ হবে না, তাও জানতে চেয়ে রুল জারি করেছেন। তিনি বলেন, যাদের টাকা সুইস ব্যাংকে রয়েছে, তাদের তালিকা এবং তাদের বিরুদ্ধে কী ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে, তা জানাতে আদালত সংশ্লিষ্টদের প্রতি নির্দেশনা দিয়েছে। পাশাপাশি পানামা পেপারস ও প্যারাডাইস পেপারসে যাদের নাম এসেছে, তাদের বিরুদ্ধে কেন তদন্ত করা হবে না, রুলে তা জানাতে বলা হয়েছে। আগামী চার সপ্তাহের মধ্যে অর্থ মন্ত্রণালয়ের সচিব, প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের সচিব, অ্যাটর্নি জেনারেল, বাণিজ্য, পররাষ্ট্র, স্বরাষ্ট্র ও আইন মন্ত্রণালয়ের সচিব, দুর্নীতি দমন কমিশন, বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর এবং পুলিশের মহাপরিদর্শকসহ ১৪ বিবাদীকে রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে। রিটের পরবর্তী শুনানির জন্য ৩০ মার্চ দিন ঠিক করেছে হাই কোর্ট। ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল এ কে এম আমিন উদ্দিন বলেন, দ্বৈত নাগরিকের তালিকা দেওয়ার বিষয়ে আমরা সময় চেয়েছিলাম। তবে আমরা যতটুকু জানতে পেরেছি তা হচ্ছে, কমবেশি মিলিয়ে প্রায় ১৪ হাজারের মতো দ্বৈত নাগরিক আছেন। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে পাসপোর্ট জমা দিয়ে তারা ঘোষণা দিয়েছেন। সে তালিকা এখনো আমরা হাতে পাইনি। আমরা আদালতকে জানিয়েছি, তালিকা তৈরি হচ্ছে। পরে আদালত ওই তালিকা দ্রুত দাখিল করতে নির্দেশ দিয়েছে। দেশ বিদেশের বিভিন্ন ব্যাংক, বিশেষ করে সুইস ব্যাংকে পাচার হওয়া অর্থ ফিরিয়ে আনার নির্দেশনা চেয়ে গত ১ ফেব্রুয়ারি আইনজীবী আবদুল কাইয়ুম খান ও সুবীর নন্দী দাস রিট করেন। এ বিষয়ে গণমাধ্যমে প্রকাশিত প্রতিবেদন আমলে নিয়ে ইতিপূর্বে স্বতঃপ্রণোদিত রুলসহ আদেশ দেয় হাই কোর্ট।

সর্বশেষ খবর