সোমবার, ৭ জুন, ২০২১ ০০:০০ টা

সংকট কাটছে না বৃহৎ শিল্প বিনিয়োগে

দীর্ঘমেয়াদি ঋণ দিতে চাচ্ছে না বেশির ভাগ বেসরকারি ব্যাংক

আলী রিয়াজ

সংকট কাটছে না বৃহৎ শিল্প বিনিয়োগে

দেশের বৃহৎ শিল্প খাতে দীর্ঘমেয়াদি ঋণ দিতে অনাগ্রহ বেসরকারি ব্যাংকগুলোর। আর চাহিদা মতো ঋণ না পেয়ে ব্যাহত হচ্ছে শিল্প খাতে বিনিয়োগ। এতে সরকার বিনিয়োগ বাড়াতে ঋণের সুদ হার কমালেও তার সুফল পাচ্ছেন না উদ্যোক্তারা। যার ফলে বাধাগ্রস্ত হচ্ছে কর্মসংস্থান ও অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি।

সরকারের কাছ থেকে আমানতসহ বিভিন্ন সুবিধা নিয়েও শিল্প খাতে বিনিয়োগে কোনো আগ্রহ দেখাচ্ছে না বেসরকারি ব্যাংকগুলো। দেশের ৬৭টি তফসিলি ও বিশেষায়িত ব্যাংকের মধ্যে ৬/৭টি সরকারি ব্যাংক ছাড়া বাকিগুলো বেসরকারি। দেশে শিল্প স্থাপনসহ জাতীয় অর্থনীতিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখার জন্য সরকার দফায় দফায় বেসরকারি ব্যাংকের অনুমতি দিয়েছে। একই সঙ্গে এসব ব্যাংককে সুযোগ-সুবিধা দিয়ে কমিয়েছে ঋণের সুদ হার, যা মূলত ঋণ প্রবাহ বাড়িয়ে বিনিয়োগ ও কর্মসংস্থান বাড়ানোর কৌশল হিসেবে বেছে নিয়েছিল বাংলাদেশ ব্যাংক। কিন্তু ব্যাংকগুলো প্রয়োজনীয় ঋণ বিতরণ না করায় বাংলাদেশ ব্যাংকের নেওয়া ওই কৌশল কাজে আসছে না। এতে সংকটে পড়েছেন শিল্প খাত সংশ্লিষ্টরা। জানা গেছে, বর্তমান করোনা মহমারীর মধ্যে উদ্যোক্তাদের এই সংকট আরও বেড়েছে। করোনাকালীন সংকট মোকাবিলায় সরকারের দেওয়া প্রণোদনা প্যাকেজের আওতায়ও মেয়াদি ঋণ দিতে চাচ্ছে না অধিকাংশ বেসরকারি ব্যাংক। ফলে শিল্প উদ্যোক্তারা চলে যাচ্ছেন রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাংকে। কিন্তু রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাংকগুলো উদ্যোক্তাদের অতিরিক্ত ঋণ চাহিদা মেটাতে চাপে পড়ে গেছে। কেননা ৬৭টি ব্যাংকের ঋণ বিতরণ সক্ষমতা এবং গ্রাহকদের এই অতিরিক্ত চাহিদা শুধুমাত্র চার বা ছয়টি ব্যাংকের পক্ষে মেটানো মোটেও সম্ভব নয়। ফলে হয়রানির শিকার হচ্ছেন শিল্প উদ্যোক্তারা। এতে সরকারের নেওয়া বিনিয়োগ বৃদ্ধির পরিকল্পনাও ব্যাহত হচ্ছে। জানা গেছে, করোনাকালীন অর্থনৈতিক সংকট মোকাবিলায় প্রধানমন্ত্রী ঘোষিত খাতভিত্তিক ২৩টি আর্থিক প্যাকেজের আওতায় প্রায় ১ লাখ ২৮ হাজার ৪৪১ কোটি টাকার প্রণোদনা প্যাকেজ বাস্তবায়ন করছে। এসব প্যাকেজ বাস্তবায়নের অধিকাংশ ক্ষেত্রেই দেশের তফসিলি ব্যাংকগুলো এবং কেন্দ্রীয় ব্যাংক সম্পৃক্ত। যার ৯টি প্যাকেজ সরাসরি বাংলাদেশ ব্যাংক নিয়ন্ত্রণ ও বাস্তবায়নে ভূমিকা রেখেছে। এখানেও বড় শিল্প খাতে উদ্যোক্তাদের জন্য ছিল প্যাকেজভিত্তিক সুবিধা। এর মধ্যে দুই শতাংশ ডাউন পেমেন্ট দিয়ে খেলাপি ঋণ নিয়মিতকরণ, শিল্প উৎপাদন চালু রাখতে নতুন করে মেয়াদি ঋণ সুবিধার কথাও ঘোষণা করা হয়। শিল্প উদ্যোক্তারা করোনাকালীন সংকটের মধ্যে উৎপাদন চালু রাখতে বিভিন্নভাবে বিনিয়োগ করছেন। কিন্তু নতুন বিনিয়োগের জন্য উদ্যোক্তারা বিভিন্ন ব্যাংকের দ্বারস্থ হয়েও সে সুবিধা পাচ্ছেন না। ফলে ভয়াবহ সংকটে পড়তে হচ্ছে বৃহৎ শিল্প উদ্যোক্তাদের। শিল্প বিনিয়োগের জন্য জরুরি মেয়াদি ঋণ পাওয়া এখন সবার জন্য কঠিন হয়ে পড়েছে। রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাংকগুলো ছাড়া কোনো বেসরকারি ব্যাংক মেয়াদি ঋণ দিতে আগ্রহী নয়। রাষ্ট্রায়ত্ত বাণিজ্যিক ব্যাংকের সংখ্যা মাত্র চারটি। এই চার ব্যাংকের ওপর সব ব্যবসায়ী উদ্যোক্তাদের ভরসা করতে হয় মেয়াদি ঋণের জন্য। আর মেয়াদি ঋণ ছাড়া কোনো শিল্প কারখানা গড়ে তোলা প্রায় অসম্ভব। মাত্র চারটি রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাংকের ওপর চাপ যেমন বেশি, তেমনি তাদের সক্ষমতায় নেই। বিপরীতে বেসরকারি খাতে ৪৩টি ব্যাংকের সবগুলোই সহজ ব্যবসায়িক ঋণ দিতে বেশি আগ্রহী। এর মধ্যে এমএসএমই ঋণ, এসএমই ঋণ, ব্যক্তিগত ঋণ, কনজুম্যার ঋণ। এ ছাড়া বিভিন্ন ধরনের কার্ড ভিত্তিক বাণিজ্যে মুনাফা তুলছে বেসরকারি ব্যাংকগুলো। শিল্প ঋণের ক্ষেত্রে বেসরকারি ব্যাংকগুলো ওয়ার্কিং ক্যাপিটাল বা চলতি মূলধন দিতে আপত্তি করে না। স্বল্পমেয়াদি এসব চলতি মূলধন দিয়ে দেশের শিল্প বিনিয়োগের ক্ষেত্রে মূলত কোনো ভূমিকা রাখে না। চলতি মূলধন দিয়ে সাধারণত বেতন ভাতা বা খুচরা যন্ত্রাংশ ক্রয়ের কাজ চলে।

গত মার্চ পর্যন্ত বাংলাদেশ ব্যাংকের পরিসংখ্যানে দেখা গেছে, দেশে মোট ব্যাংক ঋণের পরিমাণ হচ্ছে ১১ লাখ কোটি টাকার কিছু বেশি। এর মধ্যে বেসরকারি শিল্প খাতে দীর্ঘমেয়াদি ঋণের পরিমাণ ৩ লাখ কোটি টাকার মতো। এই ৩ লাখ কোটি টাকার মধ্যে বেশির ভাগ অংশ রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাংকগুলোর। দীর্ঘমেয়াদি শিল্প ঋণ ৪৩টি বেসরকারি বাণিজ্যিক ব্যাংকের সম্মিলিত পরিমাণ তার চেয়ে কম। দেশের শিল্প বিনিয়োগ বাড়ানোর উদ্দেশ্য নিয়ে বেসরকারি খাতে ব্যাংকের অনুমতি দিলেও সরকারের সেই উদ্দেশ্য পূরণ হচ্ছে না। এসব বেসরকারি ব্যাংক কিছু মালিকদের সুবিধার প্রতিষ্ঠানে পরিণত হয়েছে। অনেক ব্যাংকের বিরুদ্ধে এনজিওর মতো ক্ষুদ্র ঋণ দিয়ে অধিক মুনাফা আদায়ের অভিযোগ রয়েছে। যেখানে বড় ব্যবসায়ী শিল্প উদ্যোক্তাদের সুবিধা দিতে সরকারি আমানতের ৫০ শতাংশ বেসরকারি ব্যাংকে রাখছে, যা আগে ছিল শুধুমাত্র রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাংকে। সেই টাকায় ব্যাংকগুলো অধিক মুনাফার ব্যবসায় লগ্নি করছে, যা দেশের শিল্প বিনিয়োগ উন্নয়নে কোনো ভূমিকা রাখতে পারছে না।

দীর্ঘমেয়াদি ঋণ ছাড়া শিল্প বিনিয়োগ বাড়বে না : জসিম উদ্দিন- এফবিসিসিআইর সভাপতি মো. জসিম উদ্দিন বলেছেন, দীর্ঘমেয়াদি ঋণ ছাড়া শিল্প বিনিয়োগ বাড়বে না। এ জন্য সব ব্যাংকের উচিত শিল্প খাতের দীর্ঘমেয়াদি ঋণ দেওয়া। দীর্ঘমেয়াদি ঋণ দেশের শিল্প বিনিয়োগ ও কর্মসংস্থান বৃদ্ধির জন্য খুুবই গুরুত্বপূর্ণ। ব্যাংকের ঋণ নিয়েই শিল্প খাত তৈরি হয়। এখন কোনো ব্যাংক যদি দীর্ঘমেয়াদি ঋণ দিতে না চায় তাহলে সেটা শুধু শিল্প উদ্যোক্তাদেরই নয় ব্যাংকেরও ক্ষতি। দীর্ঘমেয়াদি ঋণ বিনিয়োগ হিসেবে বা ব্যবসা হিসেবে ঝুঁকিমুক্ত। স্বল্পমেয়াদি ঋণের ক্ষেত্রে নানা রকম ঝুঁকি থাকে। যারা দীর্ঘমেয়াদি ঋণ না দিয়ে শুধুমাত্র স্বল্পমেয়াদি ঋণ দিয়ে ব্যাংকিং ব্যবসা করতে চান সেটা বরং আরও বেশি ঝুঁকিপূর্ণ। তিনি বলেন, করোনা মহামারীর কারণে দেশের অর্থনীতি বিপর্যস্ত। লাখ লাখ মানুষ কর্মহীন। এ অবস্থায় দেশে এখন প্রচুর বিনিয়োগ হওয়া প্রয়োজন। অন্যথায় কর্মসংস্থান বাড়বে না। যার বড় নেতিবাচক প্রভাব পড়বে অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধিতে। ফলে কর্মসংস্থান বৃদ্ধির মাধ্যমে অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি অর্জনের জন্য শিল্পের নানা খাতে উদ্যোক্তারা এগিয়ে আসছেন। অথচ বেসরকারি ব্যাংকগুলোকে সে হারে এগিয়ে আসছেন না। এটা খুবই দুঃখজনক ও হতাসাব্যঞ্জক। বাংলাদেশ ব্যাংকের উচিত সমস্যা সমাধানে দ্রুত পদক্ষেপ নেওয়া।

এই ব্যবসায়ী নেতা আরও বলেন, দেশি-বিদেশি উদ্যোক্তারা ব্যাংকিং সুবিধা নিয়েই শিল্প কারখানা গড়ে তুলবে এটাই স্বাভাবিক নিয়ম। তাই সব ব্যাংকের উচিত উদ্যোক্তাদের সহায়তা করা। কিছু ব্যাংক আছে যারা শুধুমাত্র স্বল্পমেয়াদি, ব্যক্তিগত, কনজুমার ঋণ দিয়ে ব্যবসা করতে চায়। তারা শিল্প উদ্যোক্তাদের ঋণ দিতে চায় না। তাদেরকে শিল্প বিনিয়োগে এগিয়ে আসতে হবে। দেশের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি, কর্মসংস্থান বৃদ্ধির জন্য যদি ব্যাংক কাজ করতে না পারে তাহলে তো দেশের অর্থনীতিই থমকে যাবে। ব্যবসায়ীরা উপকৃত না হলে দেশের অর্থনীতিও উপকৃত হবে না।

শিল্প বিনিয়োগের জন্য দীর্ঘমেয়াদি ঋণ জরুরি : আবদুল মাতলুব আহমাদ- এফবিসিসিআইর সাবেক সভাপতি বিশিষ্ট ব্যবসায়ী আবদুল মাতলুব আহমাদ বাংলাদেশ প্রতিদিনকে বলেন, শিল্প বিনিয়োগের জন্য দীর্ঘমেয়াদি ঋণ খুবই জরুরি। দীর্ঘমেয়াদি অর্থায়ন ছাড়া শিল্প কারখানা গড়ে তোলা কঠিন। ব্যবসা করাও কঠিন। আমাদের দেশের ব্যাংকগুলো স্বল্প সময়ে ব্যবসা করার জন্য প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। তারা দীর্ঘমেয়াদি ঋণ দিতে চায় না। এখানে বাংলাদেশ ব্যাংককে আরও জোড়ালো ভূমিকা পালন করতে হবে। সর্বোপরি দীর্ঘমেয়াদি ঋণের জন্য পৃথক ইন্ডাস্ট্রিয়াল ব্যাংকও গঠন করার সময় চলে এসেছে বলে তিনি মনে করেন।

নিটল নীলয় গ্রুপের প্রতিষ্ঠাতা এই ব্যবসায়ী বলেন, স্বল্প সময়ের জন্য ঋণ নিয়ে কখনো দেশের বিনিয়োগ বাড়ানো সম্ভব নয়। আর বর্তমান অর্থনীতির প্রধান চালিকা শিল্প খাতে পর্যাপ্ত বিনিয়োগ ছাড়া কোনো ভাবেই প্রবৃদ্ধি ধরে রাখা সম্ভব নয়। দেশের প্রচুর কর্মসংস্থান সৃষ্টি করতে হবে। এমনিতেই করোনার কারণে বহু মানুষ কর্মহীন হয়ে পড়েছে। উপরন্ত ব্যাংকগুলো যদি শিল্পায়নে ঋণ না দেয় তাহলে অদূর ভবিষ্যতে দেশের শিল্প খাতের আরও বড় সংকটের মুখে পড়বে। এ জন্য ব্যাংকগুলোকে এটা বুঝতে হবে যে, শিল্পায়নের জন্য দীর্ঘমেয়াদি অর্থায়নের ভূমিকা দরকার। প্রয়োজনে ব্যাংকগুলোর মধ্যে পলিসিগত পরিবর্তনও আনতে হবে। অন্যথায় কর্মসংস্থানও বাড়বে না। যার চূড়ান্ত নেতিবাচক প্রভাব পড়বে সামষ্টিক অর্থনীতির ওপর। এতে কাক্সিক্ষত অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি অর্জন করা অসম্ভব হয়ে পড়বে বলে তিনি মনে করেন।

বেসরকারি ব্যাংকগুলো সহজে ব্যবসা করতে চায় : রিজওয়ান রাহমান- ঢাকা চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রিজের (ডিসিসিআই) সভাপতি রিজওয়ান রাহমান বাংলাদেশ প্রতিদিনকে বলেছেন, ব্যাংকগুলো সব সময় সহজে ব্যবসা নিশ্চিত করতে চায়। কিন্তু অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি বা শিল্প বিনিয়োগের ক্ষেত্রে কিছুটা ঝুঁকি থাকবে। এই ঝুঁকি নিয়েই ঋণ দিতে হবে। বাংলাদেশ ব্যাংকের নীতি সহায়ক পদ্ধতির ক্ষেত্রে বিষয়টি নজর দেওয়া উচিত। দীর্ঘমেয়াদি হোক বা স্বল্পমেয়াদি হোক বিনিয়োগ বাড়াতে হলে, কর্মসংস্থান বাড়াতে হলে উদ্যোক্তাদের সুবিধায় গুরুত্ব দিতে হবে। কেউ যদি এক বছরের জন্য ঋণ নিয়ে কারখানা চালু করে তাহলে তো ঋণ ফেরত দিতে পারবে না। তার জন্য সময় দিতে হবে। ব্যাংক তার ব্যবসা আগে নিশ্চিত করবে, সেটা ঠিক আছে, কিন্তু শিল্প-কারখানার জন্য একই পদ্ধতি গ্রহণযোগ্য হবে না। এক্ষেত্রে ব্যাংকগুলো আরও সহনশীল হলে অর্থনীতির জন্য ভালো হবে।

রিজওয়ান রাহমান বলেন, বাংলাদেশে ব্যাংকের নীতিমালায় ব্যাংকগুলোকে বলে দেওয়া উচিত কোন খাতে কত টাকা ঋণ দেবে। বড় একটি এসএমই প্রতিষ্ঠানকে ঋণ দিয়ে লক্ষ্যমাত্রা অর্জন করলে ছোট প্রতিষ্ঠান ঋণ পায় না। নীতিমালায় যেন সুনির্দিষ্টভাবে উল্লেখ থাকে কোন খাতে কত টাকা প্রতিষ্ঠানকে সর্বোচ্চ কী পরিমাণ ঋণ দিতে হবে। এভাবে ভাগ করে দিলে সবাই ঋণ পাবে। তিনি আরও বলেন, বিশ্ববাজার মন্দা, প্রচুর পরিমাণ অতিরিক্ত তারল্য আছে ব্যাংকগুলোতে। এই টাকা বসিয়ে রেখে তো লাভ নেই। বিনিয়োগে নিয়ে আসা উচিত। আমি মনে করি এখন আমাদের বৃহৎ শিল্পপ্রতিষ্ঠানে দীর্ঘমেয়াদে বিনিয়োগ করার উপযুক্ত সময়। আমাকেও অনেক ব্যাংকে ঋণ নিতে হয়রানির শিকার হতে হয়। একটি সুষ্ঠু ব্যাংকিং আমাদের সবার জন্য কাক্সিক্ষত।

সর্বশেষ খবর