বুধবার, ১৬ জুন, ২০২১ ০০:০০ টা
মন্তব্য কলাম

মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রী এবং জামুকাকে অভিনন্দন

বিচারপতি শামসুদ্দিন চৌধুরী মানিক

মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রী এবং জামুকাকে অভিনন্দন

সম্প্রতি মাননীয় মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রী বীর মুক্তিযোদ্ধা মোজাম্মেল হক সাহেব দেশবাসীকে জানিয়েছেন যে, বঙ্গবন্ধুর চার খুনিকে প্রদান করা মুক্তিযুদ্ধের তকমা তুলে নেওয়া হয়েছে। বহুদিন পর এই দীর্ঘ প্রতীক্ষিত সিদ্ধান্ত মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় বিশ্বাসীদের আনন্দে আপ্লুত করেছে। জাতির পিতার খুনিরা মুক্তিযুদ্ধের খেতাব নিয়ে চলবে, এর চেয়ে জঘন্য ব্যাপার আর কী হতে পারে? এখানে আরও উল্লেখযোগ্য যে, এ চারজনের কজন আসল মুক্তিযোদ্ধা ছিল তা নিয়েও প্রশ্ন রয়েছে। যুদ্ধ ক্ষেত্রে শত্রুপক্ষের দ্বারা অনুপ্রবেশকারী পাঠানোর ইতিহাস নতুন নয়। আমাদের মুক্তিযুদ্ধেও পাকিস্তান এমনি বহু অনুপ্রবেশকারী পাঠিয়েছিল। দুটি প্রমাণিত সত্য হলো এই যে, ১৬ ডিসেম্বর পাকিস্তানি সৈন্যদের আত্মসমর্পণের মাত্র তিন দিন আগে মেজর ফারুক হাজির হয়েছিল মুক্তিযুদ্ধে যোগদানের নাটক সাজিয়ে। একইভাবে তার ভায়রা মেজর রশীদও যোগ দেওয়ার নাটক সাজিয়েছিল নভেম্বরের শেষ দিকে। অর্থাৎ যুদ্ধ শেষের এক মাসের কম সময় আগে। এরা যে পাকিস্তানি অনুপ্রবেশকারী ছিল, তা ভাবা মোটেও অযৌক্তিক হবে না। মেজর ফারুক তার লিখিত জবানবন্দিতে সগৌরবে বলেছিল, সে বাংলা জানে না, বাংলা লিখতে পারে না। মেজর ডালিম মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় কতটুকু বিশ্বাসী ছিল, তা-ও বড় প্রশ্ন বইকি, কেননা, যেখানে মুক্তিযুদ্ধের অন্যতম চেতনা ছিল একটি ধর্মনিরপেক্ষ অসাম্প্রদায়িক রাষ্ট্র সৃষ্টি করা, সেখানে খুনি ডালিম বঙ্গবন্ধুকে হত্যার পরপরই বেতারে গিয়ে ঘোষণা করেছিল বাংলাদেশ আজ থেকে ইসলামিক প্রজাতন্ত্র। তার সুরে সুর মিলিয়ে পাকিস্তানও জানান দিয়েছিল, বাংলাদেশ ইসলামিক প্রজাতন্ত্রে পরিণত হয়েছে, খুব শিগগির এ দেশ পাকিস্তানের সঙ্গে মিলে যাবে। ভুট্টো নিজেও তা-ই বলেছিল।

চারজনের খেতাব বাতিলে আমরা আনন্দিত হলেও জিয়াউর রহমানের খেতাব বাতিলের সিদ্ধান্ত না নেওয়ায় আমাদের আনন্দ অপূর্ণ রয়ে গেছে। আমাদের আশা থাকবে জিয়াউর রহমানের খেতাবও তুলে নেওয়া হবে অত্যন্ত যৌক্তিক কারণে। আমাদের মুক্তিযুদ্ধকালে মুক্তিযুদ্ধের শীর্ষ অবস্থানে থাকাদের মধ্যেও পাকিস্তানি চর ছিল। মোশতাক, মোয়াজ্জেম, ওবায়েদ, চাষী, ঠাকুর তো তার জলজ্যান্ত প্রমাণ। সেই নয়টি মাস জিয়ার পর্দার আড়ালের ভূমিকা কী ছিল, তা-ও অনেক প্রশ্ন সৃষ্টি করেছে। মুক্তিযোদ্ধার নামে সে আসলে পাকিস্তানের চরের ভূমিকায় ছিল বলে এক বিরাট সচেতন মহল মনে করে। বিশিষ্ট কলামিস্ট এবং গবেষক সৈয়দ বোরহান কবীর কদিন আগে ’৭১-এ জিয়ার ভূমিকা রহস্যজনক ছিল বলে যে দাবি করেছেন, ’৭৫-পরবর্তী ঘটনাসমূহ বিশ্লেষণ করলে তা আরও পরিষ্কার হয়ে যায়। যাক, এ লেখনীতে আমি তার ’৭১-এর প্রশ্নবিদ্ধ ভূমিকার আলাপ না করে বরং বঙ্গবন্ধু হত্যায় তার ভূমিকা নিয়ে আলাপ করব। জিয়া মরে বেঁচে গেছে কথাটা যে কত যুক্তিসম্পন্ন তা বঙ্গবন্ধু হত্যা বিষয়ে যারা মোটামুটি জানেন তাদের সবাই ঠিক বলে মনে করেন। বঙ্গবন্ধু মামলার তদন্তে পাওয়া সব সাক্ষ্য-প্রমাণের ভিত্তিতে হলফ করে বলা যায়, জীবিত থাকলে জিয়াও বঙ্গবন্ধু হত্যা মামলার আসামি হতো। একটি অতি গুরুত্বপূর্ণ প্রমাণ হলো লন্ডনের এক টেলিভিশনে ফারুক-রশীদের সাক্ষাৎকার, যেথায় এ দুই খুনি রাখঢাক না রেখেই বলেছে তারা বঙ্গবন্ধু হত্যা পরিকল্পনা নিয়ে জিয়ার সঙ্গে কথা বলেছে, জিয়া তাতে সায় দিয়েছে। ফারুক-রশীদের এ ব্যাপারে অসত্য বলার কোনো প্রয়োজন ছিল না। আর তারা এটি বলেছিল নিরাপদ বিদেশভূমিতে বসে, মামলার বেশ আগে। হত্যায় জিয়ার অংশ নেওয়ার কথা বাদ দিলেও এটা তো নিশ্চিত সত্য যে একজন সরকারি কর্মকর্তা হিসেবে তখন জিয়ার আইনি দায়িত্ব ছিল এ দুজনকে আইন রক্ষাকারীদের হাতে তুলে দেওয়া। যা না করে জিয়া রাষ্ট্রদ্রোহিতার অপরাধ করেছে। জিয়া এদের পুলিশে দিলে ইতিহাস অন্যরকম হতো। ১৯৭৬ সালের ৩০ মে ফারুক লন্ডনের ‘সানডে টাইমস’ পত্রিকায় বিরাট সাক্ষাৎকারে একই কথা বলেছে। মেজর জেনারেল মইনুল ইসলাম চৌধুরী, যিনি মামলার সাক্ষী ছিলেন না, বরং জিয়ার সঙ্গে ঘনিষ্ঠ ছিলেন, তিনি তার স্মৃতিকথা ‘এক জেনারেলের নীরব সাক্ষ্য’-তে লিখেছেন, (পৃষ্ঠা ৭১) একদিন তিনি জিয়ার বাড়িতে ফারুককে দেখে অবাক হয়েছিলেন এবং পরে এ ব্যাপারে জিয়াকে প্রশ্ন করলেও জিয়া কোনো উত্তর দিতে পারেনি। জিয়া যে বঙ্গবন্ধু হত্যার কয়েক ঘণ্টা আগে ডালিম এবং নূরের সঙ্গে একত্রে ছিল, মামলার ৯ নম্বর সাক্ষী কর্নেল হামিদের সাক্ষ্যে তা পরিষ্কার। কর্নেল হামিদ সাক্ষ্যে বলেছেন, ১৪ আগস্ট বিকালে সেনানিবাস এলাকায় ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের টেনিস কোর্টের পাশে ঘোরাফেরা করতে দেখে খুনি ডালিম-নূরকে জিজ্ঞেস করলে খুনিদ্বয় বলেছিল তারা জিয়ার আমন্ত্রণেই সেখানে এসেছে। মামলার ৪৪ নম্বর সাক্ষী কর্নেল শাফায়াত জামিল বলেছেন, বঙ্গবন্ধু হত্যার কথা জানার সঙ্গে সঙ্গে তিনি সেনাপ্রধান জেনারেল শফিউল্লাহর বাড়ি যাওয়ার পথে যখন জিয়ার বাড়ি গেলেন, জিয়া তখন পোশাক পরিহিত। কর্নেল শাফায়াত জামিল বঙ্গবন্ধু হত্যার কথা বলতেই জিয়া ইংরেজিতে বলে উঠেছিল, ‘প্রেসিডেন্টকে হত্যা করা হয়েছে, তাতে কী হয়েছে? ভাইস প্রেসিডেন্ট তো আছে। রাজনীতি আমাদের কাজ নয়।’ বঙ্গবন্ধু হত্যা-পরবর্তী সময়ে জিয়ার স্বপ্রমাণিত কার্যাবলি, যথা ইনডেমনিটি আইন করে খুনিদের দায়মুক্তির চেষ্টা, তাদের পদোন্নতি দিয়ে বিভিন্ন দূতাবাসে সম্মানী চাকরিতে পদায়ন, ৭ মার্চের ভাষণসহ বঙ্গবন্ধুর সব স্মৃতি বিনষ্টের চেষ্টা, জয় বাংলা স্লোগান বাতিল করা ইত্যাদি ঘটনা আইনের দৃষ্টিতে বিশ্লেষণ করলে পরিষ্কার হয়ে যায় যে, বঙ্গবন্ধু হত্যায় জিয়ার মুখ্য ভূমিকা ছিল। আরও উল্লেখযোগ্য যে, ১৯৭৭ সালে জিয়া চীন ভ্রমণে গেলে চীনা নেতারা তাকে এই বলে প্রশংসা করেছিল যে, সে বাংলাদেশের সার্বভৌমত্ব রক্ষা করেছে। সর্বশেষ ধরা পড়া প্রত্যক্ষ খুনি মাজেদ তার ফাঁসিপূর্ব বক্তব্যে একাধিকবার বলেছে বঙ্গবন্ধু হত্যায় জিয়ার মুখ্য ভূমিকার কথা। আইন বলে, মৃত্যুর আগে মৃত্যুর কথা মনে রেখে কোনো ব্যক্তি যদি কোনো বক্তব্য দেয়, আইনের ভাষায় যাকে ‘ডাইয়িং ডিক্লারেশন’ বলে, তা সাক্ষ্য হিসেবে অতীব গুরুত্বপূর্ণ। অন্য সব কথা বাদ দিলেও সম্মুখ খুনিদের রক্ষা এবং পুরস্কৃত করতে জিয়া যা করেছিল, তার জন্যও তার খেতাব তুলে নেওয়া অপরিহার্য। জাতির পিতার খুনিদের রক্ষা ও পুরস্কার দানকারী ব্যক্তি মুক্তিযুদ্ধের খেতাব বহন করতে পারে না। পঞ্চম ও সপ্তম সংশোধনী মামলায় হাই কোর্ট এবং পরে আপিল বিভাগ জিয়াকে শাস্তিযোগ্য রাষ্ট্রদ্রোহ হিসেবে ব্যক্ত করেছে, এ রায়ের আলোকে আইনের দৃষ্টিতে জিয়া, মোশতাক, সায়েম কখনো বাংলাদেশের রাষ্ট্রপতি ছিল না। মুক্তিযুদ্ধে যে ব্যক্তি অত্যন্ত গৌরবজনক ভূমিকা রেখেছিলেন তিনি বাঘা কাদের সিদ্দিকী, যিনি ছিলেন বঙ্গবন্ধুর পুত্রতুল্য। তিনি জিয়ার খেতাব তুলে নেওয়ার বিরুদ্ধে বক্তব্য দিয়েছেন। কিন্তু এই বাঘা সিদ্দিকীই কিন্তু বঙ্গবন্ধু হত্যার প্রতিশোধ নিতে সীমান্ত পেরিয়ে ভারতে পাড়ি দিয়েছিলেন যুদ্ধের মাধ্যমে বঙ্গবন্ধুর ঘাতকদের শেষ করতে। তার কাক্সিক্ষত যুদ্ধ কি জিয়া এবং তার দোসরদের বিরুদ্ধে হতো না, তিনি কি জিয়া গংদের বিরুদ্ধে অস্ত্র হাতে নেওয়ার জন্য সীমান্ত অতিক্রম করেননি? ভারতের রাজনীতিতে তখন পটপরিবর্তন না ঘটলে বাঘা সিদ্দিকী তো জিয়ার বিরুদ্ধেই সম্মুখযুদ্ধ করতেন এবং সম্ভবত তাকে হত্যা অথবা গ্রেফতার করতেন। সেই দিনগুলোয় একসময় তিনি লন্ডন গেলে আমরা বহু সময় তার সঙ্গে কাটিয়েছি, কথা বলেছি। একদিন তিনি আমার আতিথেয়তাও গ্রহণ করেছিলেন। তিনি তখন বহু জনসভায় ভাষণ দিয়ে বলেছেন বঙ্গবন্ধু হত্যায় জিয়া, মোশতাকের ভূমিকার কথা। আমি তখন যুক্তরাজ্যের প্রাচীনতম ‘জনমত’ পত্রিকার একক মালিক হওয়ায় তার সব ভাষণ ওই পত্রিকায় ছাপাতে পেরেছিলাম, সেগুলো এখনো রক্ষিত আছে। লন্ডন থেকে কলকাতা ফিরে তিনি আমাকে যে সুন্দর, মূল্যবান চিঠিটি লিখেছিলেন তা-ও আমি সযতেœ রেখে দিয়েছি। তিনি কিন্তু জিয়ার শাসনকালে দেশে ফেরেননি।

প্রশ্ন উঠেছে আইন নিয়ে। দেশ শত্রুমুক্ত হওয়ার পর প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় জেনারেল ওসমানীর নেতৃত্বে একটি কমিটি গঠন করেছিল যে কমিটির দায়িত্ব ছিল খেতাব পাওয়ার যোগ্য মুক্তিযোদ্ধাদের তালিকা প্রণয়ন। পরে তালিকায় উল্লিখিত মুক্তিযোদ্ধাদের খেতাব আইনের আওতায় আনার জন্য বঙ্গবন্ধু একটি এসআরও প্রণয়ন করেন। পরে খেতাবপ্রাপ্তদের নাম গেজেটে প্রকাশ করা হয়। সংক্ষেপে এসআরওতে যা বলা হয় তা ছিল মুক্তিযুদ্ধে বিশেষ ভূমিকার জন্য তাদের খেতাব দেওয়া। এসআরও অনুযায়ী যে খেতাব প্রদান করা হয় তা ছিল প্রশাসনিক সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, মহামান্য রাষ্ট্রপতির একান্ত ক্ষমতাবলে। আমাদের সংবিধানের ১৫২ অনুচ্ছেদে আইনের যে সংজ্ঞা দেওয়া আছে সেমতে ওই এসআরও আইনের সংজ্ঞাভুক্ত, আর সংবিধানের ১৪৭ অনুচ্ছেদে যেসব আইনকে প্রয়োগ করা হয়েছে বলে উল্লিখিত রয়েছে, সেমতে মহামান্য রাষ্ট্রপতি কর্তৃক প্রণীত সমস্ত ‘পিও’ বা ‘প্রেসিডেন্টস অর্ডার’ অন্তর্ভুক্ত। উল্লিখিত এসআরওর ভাষ্য থেকে পরিষ্কার যে, এটি দ্বারা মহামান্য রাষ্ট্রপতিকে একান্ত ঐচ্ছিক ক্ষমতা (unfettered discretion) দেওয়া হয়েছে। এ ক্ষমতা যুক্তরাজ্যে রানীকে যে প্রিরোগেটিড ক্ষমতা প্রদান করা হয়েছে তার থেকে আলাদা নয়। যুক্তরাজ্যের রানীর প্রিরোগেটিড ক্ষমতাবলে তিনি সমস্ত সম্মাননার উৎস (fountain of honours)। রানী অতীতে প্রদান করা বেশ কিছু সম্মাননা যথা অর্ডার অব দি ব্রিটিশ এম্পায়ার, মেম্বার অব দি ব্রিটিশ এম্পায়ার পরে তুলে নিয়েছিলেন। এমনকি যুক্তরাজ্যের সর্বোচ্চ সম্মাননা যথা প্রিভি কাউন্সিলের সদস্যপদও তিনি জন স্টোন হাউস নামক এক সাবেক মন্ত্রীর থেকে তুলে নিয়েছিলেন। উল্লেখ্য যে, একমাত্র প্রিভি কাউন্সিলররাই ‘রাইট অনারেবল’ হিসেবে সম্বোধন পেতে দাবি করতে পারেন। রানী ‘অর্ডার ইন কাউন্সিল’ নামক এক প্রিরোগেটিড প্রক্রিয়ার মাধ্যমে সম্মান দান করেন এবং একই প্রক্রিয়ায় কয়েকটি ক্ষেত্রে তা তুলে নিয়েছেন। আমাদের সর্বোচ্চ আদালত এ মর্মে রায় দিয়েছে যে, মহামান্য রাষ্ট্রপতির সংবিধানের ৪৯ অনুচ্ছেদে প্রদত্ত ক্ষমা প্রদর্শনের ক্ষমতা আদালতে বিচার্য বিষয় হতে পারে না। তেমনি সম্মাননা প্রদান এবং তা তুলে নেওয়ার ঐচ্ছিক এবং একান্ত ক্ষমতাও আদালতে বিচার্য বিষয় হতে পারে না। তদুপরি আমাদের জেনারেল ক্লজেস অ্যাক্ট, যাকে সংবিধানে সংযোজিত করা হয়েছে, তাতে পরিষ্কার বলা আছে, যে কর্তৃপক্ষ কিছু প্রদান করে, সে কর্তৃপক্ষ প্রদেয় বিষয় তুলেও নিতে পারে। এই অ্যাক্টে প্রদত্ত ক্ষমতাবলে মহামান্য রাষ্ট্রপতি নিশ্চিতভাবে অবাঞ্ছিত লোকদের অতীতে দেওয়া খেতাব তুলে নিতে পারেন। আন্তর্জাতিকভাবেও যে বহু প্রদেয় সম্মাননা তুলে নেওয়া যায়, তার বহু প্রমাণ রয়েছে মিয়ানমারের নেতা অং সান সু চির বিষয়ে। বহু কর্তৃপক্ষ তাকে দেওয়া সম্মাননা তুলে নিয়েছে, যা বিশ্বগণমাধ্যমে প্রকাশিত হয়েছে। সুতরাং এখনো এ বিষয়ে প্রশ্ন তোলা আইনের দৃষ্টিতে অচল। তাই মুক্তিযুদ্ধের চেতনার পক্ষের লোকদের একান্ত দাবি জিয়াকে প্রদত্ত খেতাবও যেন অবিলম্বে তুলে নেওয়া হয়।

লেখক : আপিল বিভাগের অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি।

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর