রবিবার, ১১ জুলাই, ২০২১ ০০:০০ টা

শ্রমিক বিক্ষোভের সঙ্গে আগুনের যোগসূত্র খুঁজছে তদন্ত টিম

নিজস্ব প্রতিবেদক

নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জে হাশেম ফুড বেভারেজের সেজান জুস কারখানায় অগ্নিকান্ড নিয়ে নানা প্রশ্ন তৈরি হয়েছে। আগুনের সূত্রপাত কোথা থেকে ও কীভাবে হয়েছে তা এখনো জানা যায়নি। এদিকে বকেয়া বেতন ও ভাতার দাবিতে এক সপ্তাহ আগে বিক্ষোভ করেন শ্রমিকরা। এর সঙ্গে কারখানায় অগ্নিকান্ডের কোনো সম্পর্ক আছে কি না তা নিয়েও চলছে তদন্ত।

অগ্নিকান্ডের কারণ অনুসন্ধানে ফায়ার সার্ভিসের পাশাপাশি বিভিন্ন গোয়েন্দা সংস্থাসহ পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই) ও র‌্যাব কাজ করছে। তাদের টিম ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে বিভিন্ন আলামত জব্দ করেছে। কারখানায় কর্মরত শ্রমিক থেকে শুরু করে ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের জিজ্ঞাসাবাদ করা শুরু করেছেন।

জানা গেছে, করোনা সংক্রমণ রোধে কঠোর লকডাইন শুরুর প্রথম দিন গত ১ জুলাই বকেয়া বেতন ও ভাতার দাবিতে সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ মিছিল করেন সেজান জুস কারখানার শ্রমিকরা।

কারখানার একাধিক শ্রমিক জানিয়েছেন, সেজান জুস কারখানায় শ্রমিকদের এক মাসের বেতন বকেয়া রেখে চলতি মাসের বেতন পরিশোধ করা হয়। অর্থাৎ সব সময়ই এক মাসের বেতন বকেয়া থাকে। যে কারণে বেতন পরিশোধের দাবি জানিয়ে আসছিলেন তারা। কিন্তু মালিকপক্ষ তাতে কর্ণপাত করেনি। এতে শ্রমিকরা ক্ষুব্ধ হয়ে বকেয়া বেতন ও ওভারটাইমের টাকার দাবিতে গত ১ জুলাই শ্রমিকরা ঢাকা-সিলেট মহাসড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করেন।

নারায়ণগঞ্জের পুলিশ সুপার মো. জায়েদুল আলম জানান, অগ্নিকান্ডটি শুধু দুর্ঘটনা নাকি অন্য কিছু, কারখানা নির্মাণে ত্রুটি ছিল কি-না ও মালিকপক্ষের গাফিলতি কতটুকু- সব বিষয় মাথায় রেখেই তদন্ত করা হচ্ছে।

বৃহস্পতিবার বিকাল সাড়ে ৫টায় রূপগঞ্জে সজীব গ্রুপের অঙ্গপ্রতিষ্ঠান হাসেম ফুড অ্যান্ড বেভারেজের সেজান জুস কারখানায় আগুনের সূত্রপাত হয়।

সর্বশেষ খবর