মঙ্গলবার, ৯ নভেম্বর, ২০২১ ০০:০০ টা

নোয়াখালীর মন্দিরে হামলায় চারজন গ্রেফতার

নিজস্ব প্রতিবেদক

নোয়াখালীর বেগমগঞ্জ থানার চৌমুহনীতে মন্দিরে হামলা ও পূজার সামগ্রী লুট করার অভিযোগে চারজনকে গ্রেফতার করেছেন র‌্যাব-১১ এর সদস্যরা। তারা হলেন- মনির হোসেন ওরফে রুবেল, জাকের হোসেন ওরফে রাব্বি, মো. রিপন এবং নজরুল ইসলাম ওরফে সোহাগ। রবিবার রাজধানীর ডেমরা, নারায়ণগঞ্জের বন্দর এবং নোয়াখালীর বেগমগঞ্জ থেকে তাদের গ্রেফতার করা হয়।

তাদের কাছ থেকে সাতটি পিতলের তৈরি প্রতিমা, তিনটি সিঁদুর কৌটা, ২০টি বাতির কৌটা, দুটি ধূপতি, পাঁচটি পঞ্চবাতির দানি, দুটি হাত ঘণ্টা, ১০টি স্ট্যান্ডসহ মুছি বাতি, একটি কুলা, পাঁচটি পঞ্চ পাতার পল্লব, এক টাকা মূল্যের ৫৫০টি বাংলাদেশি মুদ্রার কয়েন, ১১টি গ্লাস, পাঁচটি বাসন, সাতটি ঘটি, চারটি ইমিটিশনের গলার হার ও দুটি মালা, ছয়টি ইমিটিশনের হাতের বালা, ছয় জোড়া ইমিটিশনের কানের দুল, একটি ইমিটিশনের চেইন, ১২টি বিভিন্ন রকমের চুল বাঁধার কাঁকড়াসহ বিভিন্ন মালামাল জব্দ করা হয়।

গতকাল রাজধানীর কারওয়ান বাজার র‌্যাব মিডিয়া সেন্টারে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানান সংস্থাটির আইন ও গণমাধ্যম শাখার পরিচালক কমান্ডার খন্দকার আল মঈন। তিনি বলেন, সাম্প্রতিক সময়ে কুমিল্লায় ঘটে যাওয়া ঘটনাকে কেন্দ্র করে একটি স্বার্থান্বেষী মহল বিভিন্ন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে বিভ্রান্তিকর ও উসকানিমূলক তথ্য প্রচার করে জনসাধারণের মধ্যে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি বিনষ্ট করার চেষ্টা চালায়।

এরই ধারাবাহিকতায় গত ১৫ অক্টোবর নোয়াখালীর বেগমগঞ্জ থানার চৌমুহনী এলাকায় কিছু দুষ্কৃতকারী শ্রীশ্রী রাধামাধব জিউর মন্দিরে হামলা ও লুটপাট চালায়। ঘটনার ভিডিও ফুটেজ বিভিন্ন মিডিয়া ও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হয়। বেগমগঞ্জ থানায় একাধিক মামলা হয়। ঘটনার পর হামলা ও লুটকারীদের শনাক্ত এবং গ্রেফতারে র‌্যাব গোয়েন্দা নজরদারি বাড়ায়। এরই ধারাবাহিকতায় চারজনকে গ্রেফতার করা হয়। র‌্যাব কর্মকর্তা আল মঈন বলেন, গ্রেফতারকৃতদের জিজ্ঞাসাবাদে জানা গেছে, গ্রেফতার রুবেল, রাব্বি এবং রিপন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে উসকানিমূলক বক্তব্যের মাধ্যমে প্ররোচিত হয়ে প্রত্যক্ষভাবে হামলায় অংশগ্রহণ করে। হামলা পরবর্তী গ্রেফতার রুরেল, রাব্বি এবং রিপন দুটি বস্তায় করে মন্দিরের পিতলের বিভিন্ন পূজার সামগ্রীসহ অন্যান্য মূল্যবান সামগ্রী লুট করে নিয়ে যায়। সোহাগের সহযোগিতায় ধাতব জিনিসগুলো রূপান্তর করে বিক্রির পরিকল্পনা করেছিল তারা। মন্দিরে মালামাল লুট করার সময় রুবেলের ভিডিও ফুটেজ বিভিন্ন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ও মিডিয়ায় ভাইরাল হয়। গ্রেফতার রুবেল, রাকিব, রিপন এবং সোহাগ বিভিন্ন পেশায় জড়িত। রুবেলের বিরুদ্ধে বেগমগঞ্জ থানায় চুরি ও ছিনতাইয়ের একটি মামলা রয়েছে।

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর