সোমবার, ২৯ নভেম্বর, ২০২১ ০০:০০ টা
তৃতীয় ধাপের ইউপি নির্বাচন

জাল ভোট ব্যালট ছিনতাই গুলি সহিংসতা

বিজিবি সদস্যসহ প্রাণ গেল আরও ১১ জনের । ৩০০ গুলি ছুড়ে উদ্ধার ম্যাজিস্ট্রেটসহ পাঁচজন । ইসি বলল মডেল নির্বাচন । আওয়ামী লীগ ও বিদ্রোহীদের জয়জয়কার

গোলাম রাব্বানী

জাল ভোট ব্যালট ছিনতাই গুলি সহিংসতা

নরসিংদীতে সংঘর্ষের পর আহত একজনকে নেওয়া হচ্ছে -বাংলাদেশ প্রতিদিন

নির্বাচনী সংঘাত, সহিংসতায় বিজিবি সদস্যসহ ১১ জন নিহত হয়েছেন। জাল ভোট ব্যালট ছিনতাই ও বর্জনের মধ্য দিয়ে গতকাল শেষ হয়েছে তৃতীয় ধাপে ৯৮৬টি ইউনিয়ন পরিষদ ও অষ্টম ধাপের ৯টি পৌরসভায় নির্বাচন। কেন্দ্র দখল, ব্যালট পেপার ছিনতাই ও প্রকাশ্যে সিল মারার ঘটনা ঘটেছে নীলফামারী, লক্ষ্মীপুর, কুমিল্লা, নেত্রকোনা, সাতক্ষীরা, ফেনীসহ অনেক এলাকায়। ভোট কেন্দ্র দখলসহ নানা অনিয়মের কারণে ২১টি কেন্দ্রে ভোট স্থগিত করা হয়েছে। নীলফামারীর কিশোরগঞ্জে বিজিবি সদস্য, লক্ষ্মীপুরের রামগঞ্জে এক ছাত্রলীগ নেতা, নরসিংদীতে ৩ জন, মুন্সীগঞ্জে ২ জন, ঠাকুরগাঁওয়ের পীরগঞ্জে ২ জন নিহত হয়েছেন। এছাড়া ভোটের আগের রাতে সহিংসতায় আহত দুজনের মৃত্যু            হয়েছে। রাত দেড়টায় এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত বেসরকারি ফলাফলে আওয়ামী লীগ ও দলের বিদ্রোহীদের জয়জয়কারের খবর পাওয়া গেছে।

নির্বাচনী সহিংসতায় প্রথম ধাপের ভোটে প্রাণ হারিয়েছিলেন পাঁচজন। দ্বিতীয় ধাপের ভোটের দিন মারা গেছেন সাতজন। তৃতীয় ধাপের ভোটে নিহত হন ১১ জন। তিন ধাপের ভোটের আগে-পরে মিলে মোট প্রাণহানি ঘটেছে ৬৫ জনের।

কুমিল্লার বরুড়া উপজেলায় প্রিসাইডিং কর্মকর্তা গোলাম সারোয়ার ভূঁইয়াকে ছুরিকাঘাত ও দায়িত্বরত পুলিশ কর্মকর্তা এসআই আবু হানিফকে কুপিয়ে কেন্দ্র দখলের ঘটনা ঘটেছে। বগুড়ার শাজাহানপুর উপজেলার ডোমনপুকুর এলাকায় ম্যাজিস্ট্রেটের ওপর হামলার ঘটনা ঘটেছে। ঢাকার কেরানীগঞ্জের হজরতপুর ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগের ‘বিদ্রোহী’ চেয়ারম্যান প্রার্থীর সমর্থকদের আটকাবস্থা থেকে দুই ম্যাজিস্ট্রেটসহ পাঁচজনকে গতকাল রাতে উদ্ধার করা হয়েছে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে পুলিশ ও র‌্যাব ৩০০টি গুলি ছুড়েছে।

তৃতীয় ধাপের ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনকে ‘সহিংসতাহীন নির্বাচনের মডেল’ হিসেবে দাবি করেছেন নির্বাচন কমিশন সচিব মো. হুমায়ুন কবীর খোন্দকার। গতকাল ভোট শেষে নির্বাচন কমিশন ভবনে গণমাধ্যমকে ব্রিফিংয়ের সময় তিনি এ দাবি করেন। এদিন প্রায় হাজার ইউপিতে ভোট গ্রহণের দিন আগের ধাপের চেয়ে গোলযোগ-সহিংসতা তুলনামূলক কম হলেও লক্ষ্মীপুর, কুমিল্লা, নেত্রকোনা, সাতক্ষীরা, ফেনীসহ অনেক এলাকায় অনিয়ম, দখলসহ নানা অভিযোগের ঘটনা ঘটেছে। সচিব জানান, কিছু বিচ্ছিন্ন ঘটনা ছাড়া এ ধাপের ভোট গ্রহণ শান্তিপূর্ণ হয়েছে এবং ভোটাররাও উৎসবমুখর পরিবেশে ভোট দিতে পেরেছেন। গত ধাপে কিছু প্রাণহানির ঘটনা ঘটেছে; রবিবার সহিংসতায় প্রাণহানির ঘটনা ঘটেনি।

নির্বাচন কমিশন সচিব বলেন, ‘আমরা মনে করি নির্বাচন কমিশনের ল অ্যান্ড ফোর্সিং এজেন্সি, নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট, জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেটরা ভালো কাজ করেছেন। প্রার্থী ও তাদের ফলোয়ার যারা তারা কিছুটা হলেও সহনশীল ছিলেন। আমি তো মনে করি আজকে যে নির্বাচন হয়েছে, এটি একটি মডেল হতে পারে।’ এদিন ১ হাজার ইউপিতে ভোট হওয়ার কথা থাকলেও ১৪টি ইউপিতে সব পদে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় প্রার্থীরা নির্বাচিত হওয়ায় ৯৮৬টি ইউপিতে ও ৯টি পৌরসভায় নির্বাচন হয়। এর মধ্যে ভোট কেন্দ্র প্রিসাইডিং অফিসারদের নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যাওয়ায় ২১টি কেন্দ্রে নির্বাচন স্থগিত করা হয়েছে। ইভিএমের মাধ্যমে পৌরসভায় ৫৮ শতাংশ এবং ইউনিয়ন পরিষদে ৭০ শতাংশের ওপরে ভোট পড়তে পারে বলে ধারণা দেন তিনি। বলেন, ‘বিচ্ছিন্ন কিছু ঘটনা ঘটেছে। আমাদের কাছে যে তথ্য রয়েছে তাতে ২৪ জন আহত হয়েছেন।’

নির্বাচন কমিশন জানিয়েছে, তৃতীয় ধাপে ১০০৭ ইউপি ভোটের তফসিল ঘোষণা করা হলেও গতকাল ভোট গ্রহণ হয় ৯৮৬ ইউপিতে। এর মধ্যে ১৪টি ইউপিতে সব পদে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় প্রার্থীরা নির্বাচিত হন এবং সাতটি ইউপির ভোট স্থগিত হওয়ায় ৯৮৬টি ইউপিতে ভোট হয়। এ ছাড়া তৃতীয় ধাপের ভোটের আগেই বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হন ৫৬৯ জন। তাদের মধ্যে চেয়ারম্যান ১০০ জন, সংরক্ষিত সদস্য ১৩২ জন ও সাধারণ সদস্য ৩৩৭ জন। বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিতদের বাদ দিলে ভোটের লড়াইয়ে ছিলেন ৫০ হাজার ১৪৬ জন প্রার্থী। এ নির্বাচনে আওয়ামী লীগ-জাতীয় পার্টিসহ বেশ কয়েকটি রাজনৈতিক দল অংশ নিয়েছে। তবে বিএনপি আনুষ্ঠানিকভাবে ভোটে না থাকলেও স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে দলের নেতা-কর্মীরা অংশ নেন।

আমাদের নিজস্ব প্রতিবেদক ও প্রতিনিধিদের পাঠানো খবর-

নীলফামারীর কিশোরগঞ্জ উপজেলায় ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে সহিংসতায় এক বিজিবি সদস্য নিহত হয়েছেন। ভোট শেষে রাত সাড়ে ৯টার দিকে গাড়াগ্রাম ইউনিয়নের পশ্চিম দলিরাম মাঝাপাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রে এই ঘটনা ঘটে। নিহত রুবেল হোসেন (৩০/৩৫) বিজিবির নায়েক হিসেবে কর্মরত ছিলেন। ওই ভোট কেন্দ্রের প্রিজাইডিং কর্মকর্তা ললিত চন্দ্র রায় বিজিবি সদস্য রুবেল হোসেনের নিহতের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। এলাকাবাসী জানান, কেন্দ্রটিতে ভোট গ্রহণ ও গণনা শেষে ফলাফল ঘোষণা করা হয়। সে ফলাফল এক পরাজিত চেয়ারম্যান প্রার্থীর সমর্থকরা প্রত্যাখান করে। তারা কেন্দ্র থেকে নির্বাচনের কাজে কর্মরতদের ব্যালটসহ নির্বাচনী সরঞ্জাম নিয়ে উপজেলা সদরে রিটার্নিং কর্মকর্তার দপ্তরে আসার সময় লাঠিসোঁটা দিয়ে হামলা চালায়। আত্মরক্ষায় এক বিজিবি সদস্য কেন্দ্রের একটি কক্ষে আশ্রয় নিলে ওই হামলাকারীরা তাকে পিটিয়ে হত্যা করে পালিয়ে যায় বলে স্থানীয়রা জানান। এ সময় হামলাকারীরা পুলিশের গাড়ি ও ভোট কেন্দ্রে অগ্নিসংযোগেরও চেষ্টা চালায়। আক্রমণ থেকে রক্ষায় আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী কয়েক রাউন্ড গুলি ছোড়ে।

নরসিংদীতে ভোটের সহিংসতায় তিনজন নিহত হয়েছেন। পুলিশ ও আনসার সদস্যসহ অন্তত ১০ জন আহত হন। গতকাল রাতে রায়পুরা উপজেলার চান্দেরকান্দি ইউনিয়নের দাইরের পার এবং সন্ধ্যার আগে উত্তর বাখরনগর প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রে এই দুটি ঘটনা ঘটে। চান্দেরকান্দি ইউনিয়নে নিহতরা হলেন সিএনজিচালিত অটোরিনকশা চালক আরিফ (২৪) এবং শরিফ (৩০)। উত্তর বাখরনগরে নিহত হন ফরিদ মিয়া (৩০)। রায়পুরা থানার ওসি আজিজুর রহমান জানান, চান্দেরকান্দি ইউনিয়নের দাইরের পার সরকারি প্রাথীমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রে ভোট গণনার পর পরাজিত এক সদস্য প্রার্থীর অর্ধশতাধিক লোক দেশীয় অস্ত্র-শস্ত্র নিয়ে পুলিশের গাড়িতে হামলা চালায়। ওই সময় নিরাপত্তায় থাকা পুলিশ সরকারি মালামাল ও ব্যালট বাক্স রক্ষায় ১৬ রাউন্ড ফাঁকা গুলি চালায় বলে তিনি জানান। ওসি আজিজুর রহমান বলেন, এ সময় ধওয়া-পাল্টা ধাওয়া ও এলোপাতাড়ি গুলিতে পুলিশের রিকুইজিশন করা অটোরিকশার ড্রাইভার আরিফ নিহত হন। এছাড়া উপজেলার উত্তর বাখরনগর প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রে সহিংসতায় মাথায় গুলিবিদ্ধ হন ফরিদ মিয়া। ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় গতকাল সন্ধ্যায় তিনি মারা যান।

মুন্সিগঞ্জ সদর উপজেলায় নির্বাচনী সহিংসতায় দুজন নিহত হয়েছেন। গতকাল রাত আটটার দিকে উপজেলার পঞ্চসার ইউনিয়নে একজন এবং সন্ধ্যা সাড়ে ছয়টার দিকে বাংলাবাজার ইউনিয়নে একজনকে হত্যা করা হয়। নিহত ব্যক্তিদের পরিবারের অভিযোগ, প্রতিপক্ষের লোকজনই তাদের হত্যা করেছে। পঞ্চসার ইউনিয়নে নিহত ব্যক্তির নাম মো. রিয়াজুল শেখ (৫৮)। রিয়াজুল মুক্তারপুর গোসাইবাগ এলাকার বাসিন্দা। বাংলাবাজার ইউনিয়নে নিহত ব্যক্তির নাম মো. শাকিল মোল্লা (২৭)। নিহত শাকিল শরীয়তপুরের মোহাম্মদ হারুন মোল্লার ছেলে। শাকিল ওই ইউনিয়নের ৭, ৮ ও ৯ নম্বর ওয়ার্ডের সংরক্ষিত নারী সদস্য রাবেয়া বেগমের ভাগনে ছিলেন।

লক্ষ্মীপুরের রামগঞ্জে নির্বাচনী সহিংসতায় সাজ্জাদুর রহমান সজীব নামে এক ছাত্রলীগ নেতা নিহত হয়েছেন। গতকাল বিকাল ৫টার দিকে চাঁদপুর হাসপাতালে নেওয়ার পথে তার মৃত্যু হয়। এর আগে বিকালে রামগঞ্জ উপজেলার ইছাপুর ইউনিয়নের নয়নপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ভোট কেন্দ্রের বাইরে আওয়ামী লীগ ও স্বতন্ত্র প্রার্থীর সমর্থকদের সংঘর্ষের ঘটনায় গুরুতর আহত হন সজীব। নিহত সজীব রামগঞ্জ উপজেলার ইছাপুর ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সভাপতি। এদিকে উপজেলার নির্বাচনী এলাকা পৃথক স্থান থেকে বিপুল পরিমাণ অস্ত্রসহ ৪০ জনকে আটক করেছে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী। পিস্তলসহ বিপুল পরিমাণ অস্ত্র উদ্ধার করা হয়। রামগঞ্জে বেশ কয়েকটি কেন্দ্রে একটি বিশেষ দল ও প্রতীকের পক্ষে প্রকাশ্যে ভোট প্রদানের অভিযোগ ও এক স্বতন্ত্র প্রার্থীর গাড়ি ভাঙচুর করা হয়েছে। একই সঙ্গে ব্যালট পেপার ছিনিয়ে নেওয়ার চেষ্টা চালানোর অভিযোগও পাওয়া গেছে একাধিক কেন্দ্রে। এসব কেন্দ্রের বাইরে কিছুক্ষণ পর পর ককটেল বিস্ফোরণ ঘটিয়ে আতঙ্ক সৃষ্টি করা হয়েছে।

খুলনার তেরখাদায় নির্বাচনী সহিংসতায় বাবুল শিকদার (৩৮) নামে এক ব্যক্তিকে কুপিয়ে ও পিটিয়ে হত্যা করা হয়েছে। তিনি আওয়ামী লীগ সমর্থিত মধুপুর ইউনিয়নে চেয়ারম্যান প্রার্থী মো. মহসিনের সমর্থক ছিলেন। স্থানীয়রা জানান, তেরখাদার কুলাপাটগা?তি গ্রামের একই এলাকার দুজন প্রার্থী ইউপি সদস্য পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করায় তাদের মধ্যে সমঝোতার চেষ্টা করছিলেন বাবুল শিকদার। শনিবার রাতে এ সংক্রান্ত একটি ঘরোয়া বৈঠক থেকে ফেরার পথে তার ওপর হামলা করা হয়। প্রতিপক্ষরা ধারালো অস্ত্র দিয়ে বাবুলকে কুপিয়ে জখম করে। গুরুতর অবস্থায় তাকে উদ্ধার করে খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। পরে অবস্থার অবনতিতে ঢাকায় নেওয়ার পথে গতকাল ভোর রাতে তার মৃত্যু হয়।

যশোরের শার্শা উপজেলার কায়বা ইউনিয়নে সহিংসতায় কুতুব উদ্দিন (৪৫) নামে একজন নিহত হয়েছেন। এ ঘটনায় আহত হয়েছেন আরও ৯ জন। শনিবার রাতে ইউনিয়নের রুদ্রপুর গ্রামে এ হামলার ঘটনা ঘটে। হতাহতরা সবাই বিদ্রোহী প্রার্থী আলতাব হোসেনের কর্মী। নিহতের ছোট ভাই শাহাবুদ্দিন জানান, আনারস প্রতীকের পক্ষে কাজ করায় তাদের ওপর হামলা চালায় নৌকার সমর্থকরা। এতে তিনিসহ ৯ জন আহত হন। হাসপাতালে আনার পর তার বড় ভাই মারা যান।

এ ছাড়া যশোরের শার্শা উপজেলার ডিহি ইউনিয়নের ৮ নম্বর ওয়ার্ডের শালকোনায় ইউপি সদস্য প্রার্থী তরিকুল ইসলাম তোতা ও তার সমর্থকরা প্রতিপক্ষ শহিদুল ইসলামের তিন সমর্থককে ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে গুরুতর জখম করেছে। ভোট শুরুর কিছু পর সকাল সাড়ে ৯টার দিকে শালকোনা প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রে এ ঘটনা ঘটে। এই উপজেলার নিজামপুর ইউনিয়নের ২ নম্বর ওয়ার্ডের গোড়পাড়া মাধ্যমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রের পাশে ভোটার স্লিপ বিতরণকালে প্রতিপক্ষ চেয়ারম্যান প্রার্থী আশরাফুল আলমের সমর্থকরা ছুরিকাঘাত করে আলিমুর রহমান ও তার ছেলে রাব্বীকে আহত করে বলে অভিযোগ উঠেছে। বাঘারপাড়া উপজেলার নারিকেলবাড়িয়া ইউনিয়নের দৌলতপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রে দুই ইউপি সদস্য প্রার্থীর সমর্থকদের মধ্যে সংঘর্ষে ৫ জন আহত হয়েছে। বাঘারপাড়ায় চাকু নিয়ে ভোট কেন্দ্রে প্রবেশের সময় দুই যুবককে আটক করেছে পুলিশ।

ময়মনসিংহের ত্রিশালের হরিরামপুর ইউনিয়নের সাউথকান্দা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে নিজের ভোট দিয়ে ফেরার পথে মৃত্যু হয় নূরজাহান বেগম নামে এক বৃদ্ধার। জানা গেছে, ত্রিশালের হরিরামপুর ইউনিয়নের সাউথকান্দা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রে সকাল সাড়ে ৮টার দিকে নারীদের লাইনে দাঁড়িয়ে ভোট দিতে যান নূরজাহান বেগম। নিজের ভোট দিয়ে ভোট কেন্দ্র থেকে বের হওয়ার সময় হঠাৎ ঢলে পড়েন তিনি। পরে স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেওয়ার পথে তার মৃত্যু হয়। এদিকে ত্রিশালের বর্মা কাকচর মাদরাসা ভোট কেন্দ্রে ব্যালট পেপার ছিনিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করে দুর্বৃত্তরা। পরে পুলিশের সঙ্গে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটে। উপজেলার বৈলর ইউনিয়নের বৈলর চরপাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে নৌকার সমর্থকরা অন্য প্রার্থীর ভোটারদের কেন্দ্রে ঢুকতে না দেওয়াকে কেন্দ্র করে পুলিশের সঙ্গে ধাওয়া-পাল্টা হয়েছে। কেন্দ্রে নৌকার এজেন্টের বিরুদ্ধে একাধিক ভোট দেওয়ার অভিযোগও উঠেছে। ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বাঞ্ছারামপুর উপজেলার তেজখালী ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে দুটি পক্ষের সমর্থকদের সংঘর্ষে অন্তত ১০ জন আহত হয়েছেন, যাদের একজনের কপালে একটি তীরবিদ্ধ হয়েছে। ভোট গ্রহণের শেষ পর্যায়ে ওই ইউনিয়নের ইমামনগর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ভোট কেন্দ্রের সামনে এ সংঘর্ষ হয় বলে পুলিশ জানিয়েছে।  কারচুপির অভিযোগ এনে ভোট বর্জন করেছেন ঠাকুরগাঁও বালিয়াডাঙ্গী উপজেলার দুওসুও ইউনিয়নের নৌকা প্রতীকের প্রার্থী সোহেল রানা। চট্টগ্রামের হাটহাজারীতে গোলাগুলি, ছেঁড়া ব্যালট পেপার উদ্ধারসহ বিচ্ছিন্ন কিছু ঘটনা ঘটেছে। হাটহাজারীর মেখল ইউপি নির্বাচনের একটি ভোট কেন্দ্র দখল করতে গিয়ে দুই ইউপি সদস্য প্রার্থীর সমর্থকদের মধ্যে সংঘর্ষ হয়েছে। এতে এক প্রার্থীর তিন সমর্থক গুলিবিদ্ধ হয়েছেন। বগুড়ার ধুনট উপজেলার গোসাইবাড়ী ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনের ভোট কেন্দ্র দখল করে ব্যালট পেপার ও বাক্স ছিনতাই, ভাঙচুর, ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া, ইটপাটকেল নিক্ষেপ ও গুলিবর্ষণের ঘটনা ঘটেছে। বগুড়ার শাজাহানপুর উপজেলার ডোমনপুকুর আমিনিয়া কামিল মাদরাসা কেন্দ্রে ম্যাজিস্ট্রেটের ওপর হামলার ঘটনা ঘটেছে। নেত্রকোনার কলমাকান্দা উপজেলার খারনৈ ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) নির্বাচনে একটি কেন্দ্রে ব্যালট ছিনতাইয়ের ঘটনা ঘটেছে। নড়াইলের কালিয়া উপজেলার ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) নির্বাচনে নৌকার সমর্থকরা দুটি ভোট কেন্দ্র দখলের চেষ্টা করলে পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে নেয়। কুমিল্লার দাউদকান্দিতে এক ইউপি সদস্য প্রার্থীকে ভোট না দেওয়ায় পাঁচ ভোটারকে হাতুড়ি দিয়ে পেটানোর অভিযোগ উঠেছে। বরুড়া উপজেলায় প্রিসাইডিং কর্মকর্তা গোলাম সারোয়ার ভূঁইয়াকে ছুরিকাঘাত ও দায়িত্বরত পুলিশ কর্মকর্তা এসআই আবু হানিফকে কুপিয়ে কেন্দ্র দখলের ঘটনা ঘটেছে। ঠাকুরগাঁওয়ে ইউপি নির্বাচনে বড় ভাইয়ের ভোট দিতে গিয়ে দুই কিশোর আটক হয়েছে। নীলফামারীর কিশোরগঞ্জ উপজেলার ইউপি নির্বাচনে দুটি ইউনিয়নের ছয়টি ভোট কেন্দ্রের ভোট গ্রহণ স্থগিত হয়েছে। ব্যালট ছিনতাই, কেন্দ্র দখলের চেষ্টা ও প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীদের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনায় গতকাল দুপুরে ওই ছয় ভোট কেন্দ্রের ভোট গ্রহণ স্থগিত হয়। কিশোরগঞ্জে নির্বাচনী সহিংসতার কারণে একটি কেন্দ্রের ভোট গ্রহণ বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। অপর একটি কেন্দ্রে সহিংসতা ঠেকাতে পুলিশ ফাঁকা গুলি করেছে। কেন্দ্রের গোপন কক্ষে প্রবেশের কারণে ফেনীর পরশুরাম ও ছাগলনাইয়ায় দুই পোলিং অফিসার, কেন্দ্রের ভিতর বিশৃঙ্খলার অভিযোগে ছাগলনাইয়ার শুভপুর ইউনিয়নের ৪ মেম্বার প্রার্থীসহ মোট ১৩ জনকে আটক করেছে পুলিশ। ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় জাল ভোট দিতে গিয়ে দুই যুবক আটক হয়েছে। পরে তাদের ভ্রাম্যমাণ আদালতে ৬ মাস করে কারাদন্ড প্রদান করা হয়। মেহেরপুরের সদর উপজেলার দুটি ইউনিয়নে প্রকাশ্যে নৌকা প্রতীকে সিল প্রদান ও ভোট বর্জনের মধ্য দিয়ে ইউপি নির্বাচন শেষ হয়েছে। গাইবান্ধার সুন্দরগঞ্জ উপজেলার শ্রীপুর ইউনিয়নের বৌলজান সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ভোট কেন্দ্রে গতকাল দুপুর ১২টার দিকে ব্যালট পেপার ছিনতাইয়ের ঘটনা ঘটে। পরিস্থিতি সামাল দিতে পুলিশ ১২ রাউন্ড ফাঁকা গুলি ছোড়ে। পরে জড়িত সন্দেহে ৩ জনকে আটক করে পুলিশ। নরসিংদীতে ইউপি নির্বাচনে বেশ কয়েকটি কেন্দ্রে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া ও সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এ সময় প্রতিপক্ষের কমপক্ষে ২০ জন গুলিবিদ্ধসহ ৫০ জন আহত হয়েছে। কেন্দ্র দখলের কারণে কালাইগোবিন্দপুর কেন্দ্রে ৩০ মিনিট ভোট গ্রহণ বন্ধ হয়ে যায়। গতকাল নরসিংদীর চরাঞ্চল করিমপুর, নজরপুরের দিলারপুর, কালাই গোবিন্দপুর, শীলমান্দি ও আমদিয়ায় এসব ঘটনা ঘটে। পরে আহতদের উদ্ধার করে সদর হাসপাতালসহ বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। এদের মধ্যে অবস্থার অবনতি হলে ৫ জনকে ঢাকায় প্রেরণ করা হয়।

শেরপুরের নকলা উপজেলার ইউপি নির্র্বাচনে গতকাল দুপুরে নির্বাচনী পর্যবেক্ষণ করার জন্য জেলার বিভিন্ন প্রিন্ট ও ইলেক্ট্রনিক্স মিডিয়ার সাংবাদিকরা গৌরদ্বার ইউনিয়নের ৯নং পাইস্কা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ভোট কেন্দ্রে প্রবেশ করেন। এ সময় আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীদের নৌকা প্রতীকে সিল মারার দৃশ্য ভিডিও করেন নিউজ টোয়েন্টিফোরের জেলা প্রতিনিধি জুবাইদুল ইসলাম। এতে ক্ষুব্ধ হয়ে স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতা নকলা পৌরসভার মেয়র হাফিজুর রহমান লিটন সাংবা?দিক জুবাইদুল ইসলামের ওপর চড়াও হন। ওই ঘটনার প্রতিবাদে এবং পৌর মেয়র লিটনের শাস্তির দাবিতে সাংবাদিকরা ওই কেন্দ্রের পাশে ঢাকা-শেরপুর মহাসড়ক অবরোধ করে রাখেন। পরে জেলা নির্বাচন কর্মকর্তাসহ প্রশাসন ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর কর্মকর্তারা সাংবাদিকদের প্রতি সহমর্মিতা প্রকাশ এবং পৌর মেয়র কীভাবে ওই কেন্দ্রে গেলেন সেটি খতিয়ে দেখাসহ ঘটনার বিষয়ে সুরাহার আশ্বাস দিলে এক ঘণ্টা পর অবরোধ প্রত্যাহার করে নেওয়া হয়। লক্ষ্মীপুরের রায়পুর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে ছয় সাংবাদিককে লাঞ্ছিত করার অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ সময় তিনি এক সাংবাদিকের মুঠোফোন ছিনিয়ে নিয়ে ভেঙে ফেলেন। টাঙ্গাইলের মধুপুর উপজেলার গোলাবা?ড়ি ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) নির্বাচনে প্রকাশ্যে সিল দেওয়ার অভিযোগ তুলে ভোট বর্জন করেছেন আনারস প্রতী?কের স্বতন্ত্র চেয়ারম্যান প্রার্থী মো. মজিবর রহমান।

মানিকগঞ্জ সদর উপজেলার বেতিলা-মিতরা ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) ভোট গ্রহণ চলাকালে জোর করে কেন্দ্রে ঢুকে জাল ভোট দেওয়ার চেষ্টা করায় পরিস্থিতি উত্তপ্ত হয়ে ওঠে। পরে আধা ঘণ্টা ভোট গ্রহণ স্থগিত রাখা হয়। জামালপুরের দুই উপজেলার ১৫টি ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) নির্বাচনে গতকাল ভোট গ্রহণ হয়। তবে বেলা গড়ানোর সঙ্গে সঙ্গে বিভিন্ন কেন্দ্রে নৌকার সিল মারা ও ব্যালট ছিনতাই নিয়ে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে গুলি ছুড়েছে পুলিশ। একটি কেন্দ্রে ভোট গ্রহণ স্থগিত করা হয়েছে।

আওয়ামী লীগ ও বিদ্রোহীদের জয়জয়কার : বিচ্ছিন্ন কিছু ঘটনার মধ্য দিয়ে তৃতীয় ধাপে দেশের ১ হাজার ইউনিয়ন পরিষদে (ইউপি) ভোট গ্রহণ শেষ হয়েছে। এই ধাপে ৩৩টি ইউপিতে ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিন (ইভিএম) এবং বাকিগুলোতে ব্যালট পেপারের মাধ্যমে ভোট গ্রহণ করা হয়েছে। রাত দেড়টায় এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত বেসরকারি ফলাফলে আওয়ামী লীগ মনোনীত নৌকা প্রতীকের প্রার্থীরা বেশি বিজয়ী হয়েছেন। তবে বিদ্রোহীরাও অনেক ইউপিতে নৌকার পরাজয় ঘটিয়েছেন। রাজশাহীর ১৩টি ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) নির্বাচনে ১০টিতেই চেয়ারম্যান পদে আওয়ামী লীগ প্রার্থীরা জয়লাভ করেছেন। বাকি তিনটিতে স্বতন্ত্র প্রার্থীরা জয় পেয়েছেন। এর মধ্যে আওয়ামী লীগের দুজন বিদ্রোহী ও একজন জামায়াতের প্রার্থী রয়েছেন।

জয়পুরহাটের কালাই উপজেলার ৫টি ইউনিয়নে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছে। এই ৫ ইউনিয়নে ৪ জন আওয়ামী লীগ প্রার্থী বেসরকারিভাবে বিজয়ী হয়েছেন। এর আগে আরেক ইউনিয়নের আওয়ামী লীগ মনোনীত চেয়ারম্যান প্রার্থী বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হন। মানিকগঞ্জ সদর উপজেলার ১০টি ইউনিয়ন পরিষদের মধ্যে জাগীর ও গড়পাড়া ইউনিয়নে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছেন আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী মো. জাকির হোসেন ও আফসার উদ্দিন সরকার। অন্য ৮টি ইউনিয়নের মধ্যে দুটিতে চেয়ারম্যান পদে আওয়ামী লীগের দুই বিদ্রোহী প্রার্থী এবং ৬টি ইউনিয়নে আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থীরা বেসরকারিভাবে নির্বাচিত হয়েছেন। কুষ্টিয়ার দৌলতপুরে নৌকা প্রতীকের ভরাডুবি হয়েছে। উপজেলার ১৪টি ইউনিয়নে মাত্র ৪টিতে জয় পেয়েছেন আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থীরা। বাকি ১০টিতে স্বতন্ত্র ও বিদ্রোহী প্রার্থীরা জয়ী হয়েছেন। ফরিদপুরের ভাঙ্গা ও চরভদ্রাসন উপজেলার ১৫টি ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে মাত্র ১টিতে নৌকা বিজয়ী হয়েছে। বাকিগুলোতে বিদ্রোহীরা বিজয়ী হয়েছেন। ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নবীনগরে ১৩টি ইউনিয়নের মধ্যে ৮টিতেই স্বতন্ত্র চেয়ারম্যান প্রার্থীরা বিজয়ী হয়েছেন। বাকি ৫টিতে বিজয়ী হয়েছেন আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থীরা। আর বাঞ্ছারামপুরের তিন ইউনিয়নের মধ্যে ৩টিতেই চেয়ারম্যান পদে আওয়ামী লীগের প্রার্থীরা বিজয়ী হয়েছেন। পাবনার ৩ উপজেলায় ২৭টি ইউনিয়ন পরিষদের নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে আওয়ামী লীগের ১৯ জন ও ৭ জন স্বতন্ত্র প্রার্থীকে বেসরকারিভাবে বিজয়ী ঘোষণা করা হয়েছে। নওগাঁ জেলার দুই উপজেলার ২২টি ইউনিয়নে নৌকা প্রতীকে আটজন এবং স্বতন্ত্র প্রার্থী ১৪ জন বেসরকারিভাবে নির্বাচিত হয়েছেন। খুলনার রূপসা ও তেরখাদা উপজেলার ৭টি ইউনিয়নের চেয়ারম্যান পদে মধ্যে ৫টিতে আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী এবং দুটিতে আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী বিজয়ী হয়েছেন। ঠাকুরগাঁওয়ে বালিয়াডাঙ্গী উপজেলার আটটি ইউনিয়নের সাতটিতে নৌকা ও একটিতে স্বতন্ত্র প্রার্থী বিজয়ী হয়েছেন। রংপুরের তিন উপজেলায় তৃতীয় ধাপের ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগ সমর্থিতদের ভরাডুবি হয়েছে। এবার ১৩ ইউনিয়নের সাতটিতে বিদ্রোহী, চারটিতে নৌকা, একটিতে মশাল এবং একটিতে স্বতন্ত্র প্রার্থী নির্বাচিত হয়েছেন। রাজবাড়ীর বালিয়াকান্দি ও কালুখালী উপজেলার ১৪টি ইউনিয়নের মধ্যে ৯টিতেই চেয়ারম্যান পদে আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী বিজয়ী হয়েছেন। বাকি পাঁচটিতে আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী ও স্বতন্ত্র প্রার্থী বিজয়ী হয়েছেন।

সর্বশেষ খবর