কুমিল্লা সিটি করপোরেশনের (কুসিক) ১৭ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর সৈয়দ মোহাম্মদ সোহেল ও তার সহযোগী হরিপদ সাহাকে গুলি করে খুনের ঘটনায় করা মামলার প্রধান আসামি শাহ আলম (২৮) পুলিশের সঙ্গে ‘বন্দুকযুদ্ধে’ নিহত হয়েছেন। বুধবার দিবাগত রাত দেড়টার দিকে কুমিল্লা সদর উপজেলার চানপুরের গোমতী নদীর বেড়িবাঁধ এলাকায় জেলা গোয়েন্দা (ডিবি) ও থানা পুলিশের সঙ্গে এ বন্দুকযুদ্ধ ঘটে। শাহ আলম নগরীর ১৬ নম্বর ওয়ার্ডের সুজানগর পূর্বপাড়ার জানু মিয়ার ছেলে। এ সময় পুলিশ তার হাতে থাকা ৭.৬৫ মডেলের একটি পিস্তল উদ্ধার করে।

বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন কুমিল্লা জেলা গোয়েন্দা (ডিবি) পুলিশের উপপরিদর্শক  (এসআই) পরিমল দাস। তিনি বলেন, বুধবার গভীর রাতে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে চানপুরের গোমতী নদীর বেড়িবাঁধ এলাকায় অস্ত্রধারী সন্ত্রাসীদের ধরতে জেলা ডিবি ও কোতোয়ালি থানা পুলিশের একাধিক দল বিশেষ অভিযান পরিচালনা করে। টের পেয়ে সন্ত্রাসীরা পুলিশকে লক্ষ্য করে এলোপাতাড়ি গুলি ছুড়তে থাকলে পুলিশও আত্মরক্ষায় পাল্টা গুলি ছোড়ে। উভয় পক্ষের মধ্যে গোলাগুলির একপর্যায়ে কয়েকজন দুষ্কৃতকারী পালিয়ে যায়। গুলিবর্ষণ শেষে ঘটনাস্থল থেকে একজনকে গুলিবিদ্ধ অবস্থায় পড়ে থাকতে দেখা যায়। স্থানীয়রা তাকে শাহ আলম বলে শনাক্ত করেন। চিকিৎসার জন্য কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হলে চিকিৎসক শাহ আলমকে মৃত ঘোষণা করেন। বন্দুকযুদ্ধে পুলিশের দুই সদস্যও আহত হন।

উল্লেখ্য, ২২ নভেম্বর নগরীর পাথুরিয়াপাড়া থ্রি স্টার এন্টারপ্রাইজে সন্ত্রাসীদের গুলিতে নিহত হন কাউন্সিলর সোহেল ও হরিপদ সাহা। এ ছাড়া ওই ঘটনায় আরও পাঁচজন গুলিবিদ্ধ হন। ২৩ নভেম্বর রাতে কাউন্সিলর সোহেলের ছোট ভাই সৈয়দ মো. রুমন বাদী হয়ে ১১ জনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাতনামা আরও ১০ জনের বিরুদ্ধে হত্যা মামলা দায়ের করেন। কাউন্সিলর হত্যার ঘটনায় ইমরান খন্দকার নামে আরও একজনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। গতকাল তাকে আদালতের মাধ্যমে জেল হাজতে পাঠানো হয়। বুধবার রাতে তাকে সদর উপজেলার আলেখার চর বিশ্বরোড এলাকা থেকে গ্রেফতার করা হয়। ইমরান সুজানগরের আবুল বাশারের ছেলে। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন কুমিল্লার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) সোহান সরকার।