বুধবার, ১৯ জানুয়ারি, ২০২২ ০০:০০ টা
নির্বাচন কমিশন গঠনে আইন নিয়ে যত কথা

সব অংশীজনের মতামত নিন : ইফতেখারুজ্জামান

নিজস্ব প্রতিবেদক

সব অংশীজনের মতামত নিন : ইফতেখারুজ্জামান

ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ (টিআইবি)-এর নির্বাহী পরিচালক ড. ইফতেখারুজ্জামান বলেছেন, নির্বাচন কমিশন আইনের মতো জনগুরুত্বপূর্ণ একটি আইন পাসের আগে পূর্ণাঙ্গ যাচাই-বাছাইসহ নাগরিক সমাজ তথা সব অংশীজনের মতামতের ভিত্তিতে খুঁটিনাটি বিশ্লেষণ করা প্রয়োজন। অন্যথায় আইনটি পাস হলেও এর গ্রহণযোগ্যতা প্রশ্নবিদ্ধ হবে। একই সঙ্গে আইনটির কার্যকারিতা নিয়েও নিশ্চিন্ত হওয়া যাবে না। এ জন্য আইনটির খসড়া অবিলম্বে সবার জন্য উন্মুক্ত করতে হবে। গতকাল টিআইবির পক্ষ থেকে পাঠানো এক বিবৃতিতে এ দাবি করেন তিনি।

ড. ইফতেখারুজ্জামান বলেন, স্বাধীন, নিরপেক্ষ ও নির্দলীয় নির্বাচন কমিশন গঠনের লক্ষ্যে প্রায় এক মাস রাষ্ট্রপতির সঙ্গে নিবন্ধিত বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের আলোচনার শেষ দিনে মন্ত্রিসভায় নির্বাচন কমিশন আইনের খসড়া অনুমোদন আশাব্যঞ্জক। সাংবিধানিক অঙ্গীকার ও আপামর জনগণের দীর্ঘদিনের প্রত্যাশার প্রতিফলন ঘটিয়ে আইনটি প্রণয়নে আকস্মিকভাবে সরকার যে পদক্ষেপ নিয়েছে তা ইতিবাচক। নির্বাচন কমিশন গঠনের লক্ষ্যে নিবন্ধিত বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের সঙ্গে রাষ্ট্রপতির আলোচনা শুরু হওয়ার অনেক আগে থেকেই নাগরিক সমাজ নির্বাচন কমিশন আইন প্রণয়নের তাগিদ দেয়। এরই ধারাবাহিকতায় আলোচনায় অংশ নেওয়া অধিকাংশ রাজনৈতিক দলও কমিশন গঠনে আইন প্রণয়নের দাবি জানায়। আলোচনায় অংশ নেওয়ার আগ মুহূর্তে আওয়ামী লীগ নেতৃত্বাধীন সরকার নির্বাচন কমিশন আইনের খসড়া মন্ত্রিসভায় অনুমোদন করে। গণমাধ্যম সূত্রে জানা যায়, বরাবরের মতো সার্চ কমিটির মাধ্যমেই নির্বাচন কমিশন গঠনের প্রস্তাব করা হয়েছে আইনটিতে; যা আন্তর্জাতিক অভিজ্ঞতার সঙ্গেও সামঞ্জস্যপূর্ণ। কিন্তু সার্চ কমিটির জন্য কিছু সাধারণ মানদন্ড নির্ধারণ করার বাইরে খসড়া আইনে কী আছে তার বিস্তারিত এখনো সংশ্লিষ্ট অংশীজন ও নাগরিক সমাজের অজানা। নিরপেক্ষ ও কার্যকর আইন প্রণয়নে অবিলম্বে আইনটির খসড়া উন্মুক্ত করে সংশ্লিষ্ট অংশীজনসহ নাগরিক সমাজের মতামত নিতে হবে। অন্যথায় দেশের আপামর জনগণের বহুল প্রত্যাশিত স্বাধীন, নিরপেক্ষ ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচন কমিশন গঠনের সম্ভাবনা আবারও নস্যাৎ হবে।

সর্বশেষ খবর