বৃহস্পতিবার, ২০ জানুয়ারি, ২০২২ ০০:০০ টা

মোমেন-মিলার বৈঠকে গুরুত্ব মানবাধিকার ও আইনের শাসনে

বাংলাদেশ ছিল কর্মজীবনের সেরা সময় : মার্কিন রাষ্ট্রদূত

নিজস্ব প্রতিবেদক

বাংলাদেশে নিযুক্ত বিদায়ী মার্কিন রাষ্ট্রদূত আর্ল আর মিলার পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আবদুল মোমেনের সঙ্গে বিদায়ী বৈঠক করেছেন। বৈঠকে তারা দুই বন্ধুত্বপূর্ণ দেশের মধ্যে বিদ্যমান চমৎকার দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ককে আরও বাড়ানোর ওপর জোর দেন। গুরুত্ব পায় মানবাধিকার ও আইনের শাসনের মতো ইস্যু। বৈঠকে মিলার বাংলাদেশে তার কর্মজীবনকে সেরা সময় হিসেবে উল্লেখ করেন।

গতকাল রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন পদ্মায় অনুষ্ঠিত বৈঠকে ড. মোমেন যুক্তরাষ্ট্রের রাষ্ট্রদূতকে তার মেয়াদে বাংলাদেশে সক্রিয় কাজের জন্য ধন্যবাদ জানান। তিনি যুক্তরাষ্ট্র থেকে বাংলাদেশ যে ভ্যাকসিন সহায়তা পেয়েছে তার কথা বিশেষভাবে উল্লেখ করেন। বাংলাদেশ এখন পর্যন্ত কোভ্যাক্স প্রোগ্রামের অধীনে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র থেকে কভিড-১৯ ভ্যাকসিনের ২৮ মিলিয়ন ডোজ পেয়েছে এবং অদূর ভবিষ্যতে আরও ভ্যাকসিন পাবে। বৈঠকে জলবায়ু পরিবর্তন ইস্যুতে দুই দেশের ঘনিষ্ঠ সম্পৃক্ততার প্রশংসা করেন মোমেন। ২০২১ সালের এপ্রিল মাসে মার্কিন প্রেসিডেন্টের বিশেষ দূত জন কেরির বাংলাদেশ সফরের কথা আনন্দের সঙ্গে স্মরণ করেন। উভয় পক্ষই আশা প্রকাশ করেন, আগামী মাসে ধারাবাহিক সংলাপ এবং সফর হবে। বাংলাদেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী মার্কিন রাষ্ট্রদূতকে ২০২১ সালের ফেব্রুয়ারিতে ওয়াশিংটন ডিসি সফরের সুবিধার্থে ধন্যবাদ জানান। পররাষ্ট্রমন্ত্রী মোমেন এ বিষয়ে ইউএসএআইডি প্রশাসক অধ্যাপক সামান্থা পাওয়ারকে একটি চিঠি দেন, যার তিনি ইতিবাচক সাড়া দেন। ফলস্বরূপ, অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগ, অর্থ মন্ত্রণালয় এবং বাংলাদেশ সরকারের অন্যান্য প্রাসঙ্গিক মন্ত্রণালয়গুলো বাংলাদেশের দক্ষিণাঞ্চলে উপকূলীয় বেড়িবাঁধকে শক্তিশালী করার জন্য সম্ভাব্য প্রকল্পগুলো চিহ্নিত করার জন্য ইউএসএআইডির সঙ্গে একটি যৌথ সম্ভাব্যতা সমীক্ষা শুরু করা প্রক্রিয়াধীন। ড. মোমেন রাষ্ট্রদূত মিলারকে চলমান ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনের পাশাপাশি নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশন নির্বাচনের বিষয়েও ব্রিফ করেন, নির্বাচনের অবাধ ও সুষ্ঠু প্রকৃতির ওপর জোর দেন। তিনি বলেন, আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বিদেশি পর্যবেক্ষকদের জন্য বাংলাদেশ উন্মুক্ত থাকবে। সরকার ও জনগণের কাছ থেকে উষ্ণ আতিথেয়তার কারণে বাংলাদেশে তার কর্মজীবনের সেরা সময় উল্লেখ করে মার্কিন রাষ্ট্রদূত পররাষ্ট্রমন্ত্রী এবং পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়কে সব ধরনের সহযোগিতা ও সমর্থনের জন্য ধন্যবাদ জানান। মিলার বলেন, যুক্তরাষ্ট্র নিয়মিত সংলাপের মাধ্যমে মানবাধিকার সংক্রান্ত বিষয়ে বাংলাদেশের সঙ্গে ঘনিষ্ঠভাবে জড়িত থাকতে ইচ্ছুক।

সর্বশেষ খবর