সোমবার, ২৮ মার্চ, ২০২২ ০০:০০ টা
হঠাৎ অবনতি আইনশৃঙ্খলার

লুটপাটের জন্যই তানিয়াকে হত্যা ধারণা পুলিশের

নিজস্ব প্রতিবেদক

রাজধানীর সবুজবাগে বাসায় ঢুকে তানিয়া আফরোজ (২৭) নামে এক গৃহবধূকে গলা কেটে হত্যা করা হয়েছে। শনিবার বিকালে বেগুনবাড়ীর মাস্টার বাড়ির মজিবুরের বাড়ির দ্বিতীয় তলায় খুনের ঘটনা ঘটে। গতকাল এ ঘটনায় ইলেকট্রিক মিস্ত্রি বাপ্পীসহ অজ্ঞাত ২/৩ জনকে আসামি করে সবুজবাগ থানায় মামলা করেন নিহতের স্বামী মো. ময়নুল ইসলাম। লুটপাটের জন্যই এ হত্যাকান্ড বলে ধারণা করছে পুলিশ। গতকাল পর্যন্ত কাউকে শনাক্ত করতে পারেনি পুলিশ। মামলার সূত্রে জানা গেছে, নিহতের স্বামী ময়নুল মুগদা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে মেডিকেল টেকনোলজিস্ট হিসেবে চাকরি করতেন। এ জন্য স্ত্রী তানিয়া, চার বছর বয়সী মেয়ে মোসা. মায়মুনা জাহান ও ১০ মাস বয়সী ছেলে তানভীরুল ইসলামকে নিয়ে বেগুনবাড়ীতে থাকতেন। সম্প্রতি মুগদা হাসপাতাল থেকে ফরিদপুর মেডিকেলে ময়নুলের বদলি হয়। ময়নুলের বাসার এয়ারকন্ডিশন (এসি) মিস্ত্রি বাপ্পীসহ একজন সার্ভিসিং করে। শনিবার বিকালে ফরিদপুরে অবস্থান করা ময়নুলকে ফোন করে তানিয়া জানায়, পূর্বে যারা এসি ঠিক করেছে তারা আবার বাসায় এসেছে। তানিয়ার ফোনে এসি মিস্ত্রি বাপ্পীর সঙ্গেও কথা বলেন ময়নুল। তাদেরকে এসি ঠিক করতে নিষেধ করে ফোন কেটে দেন ময়নুল। বিকালে ময়নুল জানতে পারেন তার ছেলে মুগদা হাসপাতালে ভর্তি। পরে তিনি স্ত্রী তানিয়াকে ফোন দিয়ে তার নম্বর বন্ধ পান। পরে বাসার মালিক মজিবুরকে ফোন দিলে তানিয়াকে খুনের বিষয়টি জানতে পারি। নিহতের স্বামী মো. ময়নুল ইসলাম জানান, আমার স্ত্রী তানিয়ার শরীরের একাধিক স্থানে জখম করা হয়েছে। দুর্বৃত্তরা আমার ছেলে ও মেয়েকে মুখে স্কসটেপ দিয়ে পেঁচিয়ে রেখেছিল। দুর্বৃত্তরা আমার বাসা থেকে স্ত্রী তানিয়ার দুটি মোবাইল সেট, ১৫ হাজার টাকা, ৪ ভরি ওজনের সোনার চেইন, হাতের বালা ও কানের দুল নিয়ে গেছে। গতকাল তানিয়ার বাড়ি রংপুরের পীরগঞ্জে স্থানীয় কবরস্থানে দাফন করা হয়েছে। আমি হত্যাকারীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি চাই। মামলার তদন্ত কর্মকর্তা সবুজবাগ থানার পরিদর্শক (তদন্ত) শেখ আমিনুল বাশার জানান, তানিয়া আফরোজ হত্যায় উল্লেখ করার মতো কোনো অগ্রগতি হয়নি। আমরা অধিক গুরুত্ব দিয়ে মামলার তদন্ত কার্যক্রম এগিয়ে নিচ্ছি। আশা করছি, দ্রুতই আসামি শনাক্ত করা সম্ভব হবে। মামলার তদন্ত সংশ্লিষ্টরা বলছেন, লুটপাটের উদ্দেশ্যেই তানিয়াকে হত্যা করা হতে পারে। আসামি গ্রেফতার হলে হত্যার নেপথ্যের কারণ জানা যাবে।

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর