ব্রিটিশ-বাংলাদেশি টিউলিপ সিদ্দিক এমপি বলেছেন, নারী নিরাপত্তা নিয়ে ব্রিটিশ সরকারের আরও কাজ করা উচিত। সরকার নারীদের নিরাপত্তা দিতে ব্যর্থ হয়েছে।

ব্রিটিশ বাংলাদেশি স্কুল শিক্ষিকা সাবিনা নেছার হত্যার রায়ের পর গত রবিবার বাংলাদেশ প্রতিদিনকে দেওয়া এক প্রতিক্রিয়ায় তিনি এ কথা বলেন। সাবিনা নেছার হত্যার দায়ে হত্যাকারী কোচি স্লামাজকে কমপক্ষে ৩৬ বছরের জেল দেওয়া হয়।

টিউলিপ সিদ্দিক আরও বলেন, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী প্রীতি প্যাটেলের টুইটারের পর সাবিনা নেছার বোন যে প্রতিক্রিয়া দেখিয়েছে, সেটা যথার্থ। সরকার বা প্রীতি প্যাটেল কিছুই করেনি। দিন দিন নারীর প্রতি সহিংসতা বাড়ছেই। সরকারের উচিত নারীদের রক্ষা করা। তিনি বলেন, রাস্তায় বের হওয়া নিয়ে নারীদের যেভাবে ভয় তৈরি হয়েছে, সেটা ভাঙতে হবে। আমি কি নিজের মেয়েকে বলব, তুমি রাস্তায় বের হইও না, রাস্তা তোমার জন্য নিরাপদ নয়? এটা কি সঠিক হবে?

১০ এপ্রিল বিবিসি রেডিওতে সাক্ষাৎকারে ব্রিটিশ সরকারের ওপর প্রচণ্ড ক্ষোভ প্রকাশ করেন নিহত ব্রিটিশ বাংলাদেশি স্কুল শিক্ষিকা সাবিনা নেছার বোন জেবিনা ইয়াসমীন। তিনি বলেন, সরকারের কাছ থেকে তাদের পরিবার কোনো ধরনের সহায়তা পাননি। এমনকি জেবিনা বলেন, ব্রিটিশ মিডিয়াতেও শুরুতে সাবিনা নেছার সংবাদ গুরুত্ব পায়নি, যেভাবে গুরুত্ব পেয়েছে সারাহ এভারড হত্যার সংবাদ। সাবিনা নেছা কেবল তার জাতিগত পরিচয়ের কারণে এমন বৈষম্যের শিকার হয়েছে। জেবিনা বলেন, তিনি মনে করেন, সাবিনা নেছার পরিবার যদি সাদা ব্রিটিশ হতো তাহলে অন্যভাবে তাদেরকে মূল্যায়ন করা হতো। বিবিসি রেডিওতে ইন্টারভিউতে তিনি আরও বলেন, প্রীতি প্যাটেল তাদের পরিবারের পাশে দাঁড়াননি। কিন্তু ঠিকই তার বোনের হত্যার রায়ের পর তিনি রাজনৈতিক ফায়দা নেওয়ার চেষ্টা করছেন।

ব্রিটিশ স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী প্রীতি প্যাটেল সাবিনা নেছার হত্যার রায়ের পর সন্তোষ প্রকাশ করে একটি টুইট করেন। সেখানে তিনি নারী নিরাপত্তা নিয়ে কাজ করছেন বলে লিখেন। জেবিনা সেই টুইটের জবাবে প্রচণ্ড ক্ষোভ প্রকাশ করেন।