বৃহস্পতিবার, ২ জুন, ২০২২ ০০:০০ টা

জিজ্ঞাসাবাদে তলব সোনিয়া-রাহুলকে

কলকাতা প্রতিনিধি

জিজ্ঞাসাবাদে তলব সোনিয়া-রাহুলকে

‘ন্যাশনাল হেরাল্ড’ পত্রিকা মামলায় ভারতের কংগ্রেস দলের অন্তর্বর্তীকালীন সভাপতি সোনিয়া গান্ধী ও তাঁর ছেলে সংসদ সদস্য রাহুল গান্ধীকে নোটিস পাঠিয়েছে দেশটির কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা ‘এনফোর্সমেন্ট ডাইরেক্টরেট’ (ইডি)। জিজ্ঞাসাবাদের জন্য রাহুল গান্ধীকে ২ জুন ও সোনিয়াকে ৮ জুন ডাকা হয়েছে। গতকাল দিল্লিতে সংবাদ সম্মেলনে এ কথা জানিয়েছেন কংগ্রেস নেতা অভিষেক মনু সিংভি ও রণদীপ সুরজেওয়ালা। দলের সিনিয়র নেতা অভিষেক মনু সিংভি জানান, ৮ জুন নির্ধারিত দিনেই সোনিয়া গান্ধী জিজ্ঞাসাবাদের জন্য দিল্লিতে ইডির সদর দফতরে মুখোমুখি হবেন। তবে রাহুল গান্ধী যেহেতু বিদেশে রয়েছেন এবং দেশে ফিরে এলে তিনিও তদন্তকারীদের মুখোমুখি হবেন। সে ক্ষেত্রে ২ জুন তিনি ইডি কর্মকর্তাদের সামনে হাজিরা দিতে পারবেন না। এ ব্যাপারে রাহুল নিজেই ইডির কাছে চিঠি পাঠিয়ে হাজিরার জন্য ৫ জুনের পর যে কোনো দিন নির্দিষ্ট করার আবেদন জানিয়েছেন। এদিন বিজেপিকে নিশানা করে রণদীপ সুরজেওয়ালা বলেন, ‘ন্যাশনাল হেরাল্ড ১৯৪২ সালের একটি সংবাদপত্র। সে সময় তৎকালীন ব্রিটিশ সরকার তা দমনের কাজ করেছিল, আর এখন মোদি সরকার ঠিক সেই কাজ করছে এবং ইডিকে ব্যবহার করে এ কাজ করছে। মোদি সরকারের জানা উচিত, মিথ্যা ও সাজানো অভিযোগ দিয়ে তারা কোনোভাবেই এই কাপুরুষোচিত ষড়যন্ত্রে সফল হতে পারবে না।’ ইডিসূত্রে খবর, ‘প্রিভেনশন অব মানি লন্ডারিং অ্যাক্ট’ বা আর্থিক তছরুপের মামলায় সোনিয়া ও রাহুলের বয়ান রেকর্ড করা হবে। উল্লেখ্য, সোনিয়া, রাহুল গান্ধীসহ ছয় কংগ্রেস নেতার বিরুদ্ধে ‘ন্যাশনাল হেরাল্ড’ পত্রিকার কয়েক কোটি রুপির সম্পত্তি অবৈধভাবে দখল চেষ্টার অভিযোগ এনেছিলেন বিজেপি নেতা সুব্রামনিয়াম স্বামী। ২০১৩ সালে সোনিয়া ও রাহুলের বিরুদ্ধে আদালতে মামলাও করেছিলেন তিনি।

সে অভিযোগের ভিত্তিতে ২০১৫ সালের ২৬ জুন দিল্লির পাতিয়ালা হাউস আদালতের তরফে সমনও পাঠানো হয় সোনিয়া ও রাহুল গান্ধীকে। ভারতের স্বাধীনতা সংগ্রাম চলাকালে কংগ্রেস নেতা জওহরলাল নেহরুর উদ্যোগে ১৯৩৮ সালের ৯ সেপ্টেম্বর ‘ন্যাশনাল হেরাল্ড’ পত্রিকাটি প্রকাশিত হয়। কিন্তু প্রবল অর্থাভাবে চার ও সাতের দশকে এই ইংরেজি পত্রিকাটির প্রকাশনা সাময়িকভাবে কয়েকবার থমকে থাকলেও ২০০৮ সালের ১ এপ্রিল তা চিরতরে বন্ধ হয়ে যায়। আদালতে বিজেপি নেতা সুব্রামনিয়াম স্বামীর অভিযোগ ছিল, পত্রিকাটিকে উজ্জীবিত করার নামে ২০০৮ সালে প্রকাশক অ্যাসোসিয়েটেড জার্নালস লিমিটেডকে (এজিএল)- কংগ্রেসের দলীয় তহবিল থেকে ৯০.২৫ কোটি রুপি ঋণ দেওয়া হয়। এ ঋণ পুরোপুরি সুদমুক্ত ছিল। ২০১০ সালে ইয়ং ইন্ডিয়া লিমিটেড (ওয়াইআইএল) নামে একটি সংস্থা মাত্র ৫০ লাখ রুপিতে ওই পত্রিকাটি কিনে নেয়। স্বামীর অভিযোগ ছিল, এজিএল এবং ওয়াইআইএল দুই সংস্থারই মালিক আসলে কংগ্রেস নেতারা। দুটি সংস্থার শেয়ারই নাকি সোনিয়া, রাহুলসহ গান্ধী পরিবারের সদস্যদের নামে। তবে কংগ্রেসের বরাবরের দাবি, এ অভিযোগের কোনো সত্যতা নেই।

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর