মঙ্গলবার, ১৯ জুলাই, ২০২২ ০০:০০ টা

জ্বালানি নিয়ে সতর্কতায় সরকার

এলাকাভিত্তিক লোডশেডিং আজ থেকে, ডিজেলচালিত বিদ্যুৎ কেন্দ্র বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত, রাত ৮টার পর দোকান-মার্কেট চলবে না, সপ্তাহে এক দিন বন্ধ পেট্রোল পাম্প

নিজস্ব প্রতিবেদক

জ্বালানি নিয়ে সতর্কতায় সরকার

আজ থেকে আগামী এক সপ্তাহের জন্য দিনে ২৪ ঘণ্টায় এক ঘণ্টা করে এলাকাভিত্তিক লোডশেডিং করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। এরপরও যদি পরিস্থিতি সামাল দেওয়া না যায় সেক্ষেত্রে লোডশেডিংয়ের সময় আরও এক ঘণ্টা বাড়ানো হতে পারে। বিদ্যুৎ সাশ্রয়ের জন্য ডিজেলভিত্তিক বিদ্যুৎ কেন্দ্রগুলো আপাতত বন্ধ রাখা হবে। ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানগুলোতে নামাজ ও প্রার্থনার সময় ছাড়া শীতাতপ যন্ত্র ব্যবহার না করার জন্য আহ্বান জানানো হয়েছে। এ ছাড়া রাত ৮টার পর শপিং মলসহ  দোকানপাট বন্ধ রাখতে বলা হয়েছে। সপ্তাহে এক দিন দেশের পেট্রোল পাম্পগুলো বন্ধের সিদ্ধান্ত বাস্তবায়নে বাংলাদেশ পেট্রোলিয়াম করপোরেশন (বিপিসি)-এর সঙ্গে পেট্রোল পাম্প মালিকরা বৈঠকে বসতে যাচ্ছেন। এ ছাড়া সরকারি-বেসরকারি অফিসের সময়সূচি কমানো এবং অফিসের বৈঠক ভার্চুয়ালি করার বিষয়েও চিন্তাভাবনা করা হচ্ছে। বিদ্যুৎ ও জ্বালানি তেলের খরচ কমানোর জন্য বেশ সতর্ক অবস্থায় রয়েছে সরকার। আর এই অবস্থায় গতকাল বিদ্যুৎ ও জ্বালানি পরিস্থিতি নিয়ে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত সরকারের উচ্চপর্যায়ের বৈঠক থেকে এসব সিদ্ধান্ত আসে। একই বিষয়ে বিকালে সচিবালয়ে সাংবাদিকদের বিস্তারিত জানান বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজসম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ।

প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের মুখ্য সচিব ড. আহমদ কায়কাউসের সভাপতিত্বে এই বৈঠকে অংশ নেন প্রধানমন্ত্রীর বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজসম্পদ বিষয়ক উপদেষ্টা ড. তৌফিক-ই-ইলাহী চৌধুরী, বিদ্যুৎ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদসহ সরকারের উচ্চপর্যায়ের কর্মকর্তারা।

ডিজেলে বিদ্যুৎ উৎপাদন নয় : ডিজেলের দাম ‘আকাশচুম্বী’ হয়ে যাওয়ায় আপাতত দেশের ডিজেলভিত্তিক বিদ্যুৎ কেন্দ্রগুলোতে বিদ্যুৎ উৎপাদন স্থগিত রাখা হবে। বৈঠকে প্রধানমন্ত্রীর উপদেষ্টা তৌফিক-ই-ইলাহী চৌধুরী বলেন, দেশে ডিজেলচালিত বিদ্যুৎ কেন্দ্রগুলোতে বিদ্যুৎ উৎপাদন স্থগিত করা হয়েছে। এর ফলে এক থেকে দেড় হাজার মেগাওয়াট বিদ্যুতের ঘাটতি হবে। দিনে এক থেকে দেড় ঘণ্টা, কোথাও কোথাও দুই ঘণ্টা লোডশেডিং হবে। বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন এমন এক কর্মকর্তা জানান, তেলভিত্তিক বিদ্যুৎ কেন্দ্রগুলোর মধ্যে ডিজেলচালিতগুলো বন্ধ রাখা হলেও ফার্নেস অয়েলচালিত কেন্দ্রগুলো প্রয়োজনে চালু রাখা হবে।

রাত ৮টার পর দোকানপাট বন্ধ : বিদ্যুৎ সাশ্রয়ে রাত ৮টার পর দোকানপাট, শপিং মল বন্ধ রাখার আগের যে সিদ্ধান্ত রয়েছে, তা বাস্তবায়নে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলেও জানানো হয়। ফলে আজ মঙ্গলবার থেকে রাত ৮টার পর সারা দেশে বিদ্যুৎ সমস্যা সমাধানের জন্য শপিং মল, মার্কেট, বিপণিবিতান ও কাঁচা বাজার বন্ধ রাখার নির্দেশ দিয়েছে সরকার। প্রধানমন্ত্রীর জ্বালানি উপদেষ্টা তৌফিক-ই-ইলাহী চৌধুরী বলেন, বাংলাদেশ শ্রম আইন, ২০০৬-এর ১১৪ ধারার বিধান অনুযায়ী সারা দেশে রাত ৮টার পর শপিং মল, মার্কেট, বিপণিবিতান ও কাঁচা বাজারসহ কোনো ধরনের দোকান খোলা রাখা যাবে না। বিদ্যুৎ প্রতিমন্ত্রী বলেন, রাত ৮টার পর দোকানপাট, মার্কেট, শপিং মল খোলা থাকলে বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে দেওয়া হবে। তিনি বলেন, রাত ৮টা থেকে দোকানপাট, শপিং মল, আলোকসজ্জা- সব বন্ধ থাকবে। বিশেষ করে বিদ্যুৎ বিভাগকে বলা হয়েছে, তারা খুব কঠিনভাবে এ বিষয়টি পর্যবেক্ষণ করবেন। যদি কেউ অমান্য করেন তাদের বিদ্যুতের লাইন বিচ্ছিন্ন করে দেওয়া হবে।

এলাকাভিত্তিক লোডশেডিং যেভাবে : বর্তমানে সারা দেশে এক থেকে দেড় হাজার মেগাওয়াট বিদ্যুতের ঘাটতি রয়েছে। আর এই ঘাটতি অঞ্চলভিত্তিক ভাগ করে নেওয়ার সিদ্ধান্ত এসেছে। এতে দিনে এক থেকে দেড় ঘণ্টা, কোনো কোনো জায়গায় দুই ঘণ্টাও লোডশেডিং হতে পারে। বিদ্যুৎ প্রতিমন্ত্রী জানান, তেলের মূল্য প্রচণ্ড বৃদ্ধি পাওয়ায় তেলভিত্তিক বিদ্যুৎ কেন্দ্রগুলোও আমরা বন্ধ রেখেছি। আমরা ১৯ জুলাই মঙ্গলবার থেকে এক ঘণ্টা করে এলাকাভিত্তিক লোডশেডিং শুরু করতে চাচ্ছি, তবে সব এলাকায় লোডশেডিং একসঙ্গে হবে না। চেষ্টা করছি দিনের বেলা সর্বোচ্চ পরিমাণ বিদ্যুৎ সরবরাহ করার জন্য। পিক আওয়ারে হয়তো আমরা এক ঘণ্টা করে লোডশেডিং দেব। এই পরিস্থিতি আমরা আগামী এক সপ্তাহ পর্যবেক্ষণ করব। আমরা আগে থেকেই গ্রাহকদের এলাকাভিত্তিক লোডশেডিংয়ের বিষয়টি জানিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করব। যদি দেখি যে এক ঘণ্টা লোডশেডিং পর্যাপ্ত নয় তখন হয়তো আরও এক ঘণ্টা অর্থাৎ দুই ঘণ্টা লোডশেডিং থাকবে। বিদ্যুৎ বিতরণকারী সংস্থা ঢাকা পাওয়ার ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানি লিমিটেড-ডিপিডিসি তার আওতাভুক্ত এলাকাগুলোতে দিনে এক ঘণ্টা করে লোডশেডিং করার সিদ্ধান্ত জানিয়েছে। কোন কোন এলাকায় কখন লোডশেডিং হবে, সেটি অনলাইনে দেবে সংস্থাটি। ডিপিডিসির ব্যবস্থাপনা পরিচালক বিকাশ দেওয়ান বলেন, মঙ্গলবার (আজ) থেকে চালু হবে সূচি অনুযায়ী লোডশেডিং। প্রতিদিন এক ঘণ্টা করে লোডশেডিং রাখা হয়েছে সূচিতে। ফলে সারা দিনে যে  কোনো এক ঘণ্টা বিদ্যুৎহীন থাকবে গ্রাহকরা। গ্রাহকরা এ তথ্য কীভাবে পাবেন, জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘শিগগিরই পত্রিকায় বিজ্ঞপ্তি দিয়ে ওয়েবসাইট ও লিংক প্রকাশ করা হবে।

বাংলাদেশ বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ড (পিডিবি)-এর জনসংযোগ শাখার পরিচালক সাইফুল হাসান চৌধুরী জানান, তারাও একটি তালিকা প্রস্তুতের চেষ্টা করছেন। সোমবার না হলেও মঙ্গলবার কোনো এক সময়ে সেটা পিডিবির ওয়েবসাইটে প্রকাশ করা হবে। আর দেশের সবচেয়ে বড় বিতরণ কোম্পানি পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি তালিকা প্রকাশের পরিবর্তে মাইকিং, লিফলেট বিতরণের দিকে বেশি জোর দিচ্ছে বলে জানা যায়।

পেট্রোল পাম্প বন্ধে পাম্প মালিকদের সঙ্গে বৈঠক : জ্বালানি সাশ্রয়ে সপ্তাহে এক দিন পেট্রোল পাম্প বন্ধ রাখার পরিকল্পনা করা হয়েছে। এ জন্য বিপিসি কর্তৃপক্ষ পেট্রোল পাম্প মালিকদের সঙ্গে বৈঠকে বসতে যাচ্ছে বলে জানিয়েছেন বিদ্যুৎ প্রতিমন্ত্রী।

অফিস সময় কমানোর বিষয়ে সিদ্ধান্ত শিগগিরই : বিদ্যুৎ সাশ্রয়ে অফিসের সময় কমানো হবে নাকি বাসা থেকে করা হবে এ বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত দ্রুতই নিতে যাচ্ছে সরকার। এ বিষয়ে নসরুল হামিদ সাংবাদিকদের বলেন, সরকারি-বেসরকারি অফিসের সময়ও এক থেকে দুই ঘণ্টা কমিয়ে আনা যায় কি না, সে বিষয়টিও পর্যালোচনা করা হচ্ছে। তবে এখনো চূড়ান্ত হয়নি। অফিসের বৈঠক অনলাইনে করার বিষয়েও সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।

ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান-অফিসে এসি ব্যবহার সাশ্রয়ী হতে হবে : দোকানপাট শপিং মল, অফিস ও বাসগৃহে ব্যবহৃত  এসিগুলো ২৪ ডিগ্রি সেলসিয়াসের ওপরে রাখার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। এ ব্যাপারে বিদ্যুৎ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ সাংবাদিকদের বলেন, আমি মনে করি ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানগুলোতে (মসজিদ, মন্দির, গির্জা) প্রচুর পরিমাণ এসি ব্যবহার করা হচ্ছে। সেখানে বিদ্যুৎ ব্যবহারে সাশ্রয়ী হওয়া দরকার। তারা যেন সাশ্রয়ীভাবে বিদ্যুৎ ব্যবহার করে। শুধু নামাজের সময় বা প্রার্থনার সময় এসি ব্যবহার করতে আমি অনুরোধ করছি। সেখানে যেন সময়মত এসি ব্যবহার করা হয়। যত্রতত্রভাবে সরকারি অফিসগুলোও যাতে এসি ব্যবহার না করে তার ব্যাপারেও নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।

গতকাল প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে সভা শেষে এক সংবাদ সম্মেলনে প্রধানমন্ত্রীর বিদ্যুৎ জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ বিষয়ক উপদেষ্টা তৌফিক-ই-ইলাহী চৌধুরী বলেন, এই সিদ্ধান্ত সাময়িক। আশা করছি বিশ্ব পরিস্থিতির উত্তরণ হলে আগের অবস্থানে ফিরে আসব। জ্বালানি তেলের লোকসান কমাতে এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। ধৈর্য ধরে যদি আমরা এটাকে সহ্য করে সবাই মিলে অতিক্রম করি, ভবিষ্যতে আবার সুদিন আসবে। তিনি বলেন, আমরা আজকে যা আলোচনা করেছি, তার উল্লেখযোগ্য দিক হলো, আমরা আমাদের বিদ্যুৎ উৎপাদন কমিয়ে, যাতে আমাদের খরচ কম হয়, যেটা সহনশীল হয়, সেই পর্যায়ে নিয়ে আসা এবং ডিজেলে আমরা বিদ্যুৎ উৎপাদন আপাতত স্থগিত করলাম। তাতে অনেক টাকা সাশ্রয় হবে। পৃথিবীর অনেক উন্নত রাষ্ট্র, যাদের অনেক টাকা পয়সা আছে, তারাও লোডশেডিংয়ে যাচ্ছে। ব্রিটেনে হচ্ছে, অস্ট্রেলিয়ায় হচ্ছে, জাপানে হচ্ছে। কোনো কোনো দেশে বরাদ্দ থাকা সত্ত্বেও, ব্যাংকে অর্থ থাকা সত্ত্বেও সংবরণ করছে। আজকের আলোচনার একটা মুখ্য বিষয় হচ্ছে যে আমরা আমাদের বিদ্যুৎ উৎপাদনকে কমিয়ে আনব, যাতে আমাদের খরচ কম হয়। তিনি জানান, কীভাবে বিদ্যুতের ব্যবহার কমানো যায় বৈঠকে তা নিয়ে বিশদ আলোচনা হয়েছে। রাত ৮টার মধ্যে দোকানপাট বন্ধ করা, অফিসে কর্মঘণ্টা কমিয়ে আনা, প্রয়োজনে বাসা থেকে ভার্চুয়ালি অফিস করা, সরকারি গাড়িতে বেশি লোক পরিবহন করাসহ অন্য বিষয়গুলো নিয়ে আলোচনা হয়েছে। দোকানপাট শপিং মল বন্ধ থাকবে, এসিগুলো যেগুলো চলে, সেটা ২৪ ডিগ্রি সেলসিয়াসের ওপরে হবে। কেউ যদি এসব আদেশ অমান্য করে, তাদের বিরুদ্ধে আমরা কঠোর হতে বাধ্য হব। আমরা হয়তো কারপুলিং শুরু করব যাতে দুই-তিনজন মিলে এক গাড়িতে আসতে পারি অফিসে। সরকারি সভাগুলো কমিয়ে বিদ্যুৎ ও জ্বালানি সাশ্রয় করব, সভাগুলো অনলাইনে করার চেষ্টা করব।

সচিবালয়ে গতকাল বিকালে বর্তমান পরিস্থিতি নিয়ে অনুষ্ঠিত সংবাদ সম্মেলনে বিদ্যুৎ প্রতিমন্ত্রী সাংবাদিকদের বলেন, জ্বালানি-বিদ্যুৎ খাতে স্বল্পতা, মূল্যবৃদ্ধি এই বিষয়গুলো ব্যাপকভাবে দেখা দিয়েছে। ইউক্রেন-রাশিয়া যুদ্ধের কারণে বিশ্বের বেশ কিছু জায়গায় বিশেষ করে ইউরোপে তীব্র জ্বালানি সংকট দেখা দিয়েছে। আমরা স্থানীয়ভাবে ২৩০০ এমএমসিএফ গ্যাস ব্যবহার করতাম। ২০১৮-১৯ পর্যন্ত ২৭০০ এমএমসিএফ গ্যাস পেতাম। সেটা কমে ২৩০০ তে নেমেছে। ড্রিলিং করার কারণে কিছু কিছু গ্যাসক্ষেত্র থেকে গ্যাস পাচ্ছি কিন্তু এটি খুবই সামান্য। ৮০০ এমএমসিএফ গ্যাস আমাদের আমদানি করতে হতো। এর মধ্যে ৫০০ এমএমসিএফ গ্যাস দীর্ঘমেয়াদে আমদানি করি। এ জন্য কাতার ও ওমানের সঙ্গে আমাদের ১৫ বছরের চুক্তি করা আছে। বাকি ৪০০ থেকে ৪৫০ এমএমসিএফ গ্যাস স্পট মার্কেট থেকে নিতাম। এখন স্পট মার্কেটে গ্যাস ৩৬ থেকে ৪০ ডলারে ওঠানামা করছে। এ জন্য স্পট মার্কেট থেকে গ্যাস নেওয়া বন্ধ। এই মূল্যে স্পট মার্কেট থেকে গ্যাস কিনতে হলে যে ভর্তুকি সরকারকে দিতে হবে তা অসম্ভব। এ জন্য এখন আমাদের গ্যাসভিত্তিক যে বিদ্যুৎ কেন্দ্র আছে সেখানে রেশনিং করতে হবে। আমরা বিভিন্ন খাতে কীভাবে বিদ্যুৎ সাশ্রয় করা যায় তার চেষ্টা করছি। ইউরোপের বিভিন্ন দেশেও জ্বালানি সাশ্রয় করার জন্য বিভিন্ন উদ্যোগ নিয়েছে। এখন এক ধরনের ক্রাইসিস পিরিয়ড যাচ্ছে। এ জন্য আমাদের বিদ্যুৎ ব্যবহারে সাশ্রয়ী হতে হবে। বিশেষ করে যানবাহনে ব্যবহারের ক্ষেত্রে জ্বালানি কম ব্যবহার করা উচিত। এতে তেল আমদানির পরিমাণ কমবে। আমাদের সরকারি যে বৈঠকগুলো হয় সেগুলো অনলাইন করে ফেললে এতে যানবাহনে অনেক জ্বালানি সাশ্রয় হবে। বর্তমান পরিস্থিতি খুবই সাময়িক ব্যাপার। বিশ্বের কোনো না কোনো দেশ এই পরিস্থিতির মুখোমুখি হচ্ছে এটি আমাদের বুঝতে হবে। ডিজেল দিয়ে যে বিদ্যুৎ উৎপাদন করছি তার মূল্য দাঁড়ায় ৩৫ টাকায়। আর সরকার তা বিক্রি করছে ৫ টাকায়। এই পরিমাণ ভর্তুকি সরকারের পক্ষ থেকে দেওয়া অসম্ভব। সরকারি যানবাহন, বিশেষ করে সিঙ্গেল কার যাতে কম ব্যবহার করা হয়। যত বেশি বৈঠক আমরা অনলাইনে করতে পারব তত বিদ্যুৎ সাশ্রয় হবে। শিল্প-কারখানায় আমরা সর্বোচ্চ গুরুত্ব  দেব। সেখানে যাতে বিদ্যুৎ বন্ধ না হয় সেই চেষ্টা করা হচ্ছে।

সর্বশেষ খবর