মঙ্গলবার, ২ আগস্ট, ২০২২ ০০:০০ টা
গ্রামীণ টেলিকম

অনুসন্ধান শুরু দুদকের, তথ্য চেয়ে চিঠি

নিজস্ব প্রতিবেদক

ড. মুহাম্মদ ইউনূসসহ গ্রামীণ টেলিকমের পরিচালনা পর্ষদের চার সদস্যের বিরুদ্ধে ৩ হাজার কোটি টাকা পাচারের মাধ্যমে আত্মসাতের অভিযোগ অনুসন্ধান শুরু করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। অভিযোগ বিষয়ে অনুসন্ধানপূর্বক প্রতিবেদন দাখিলের জন্য সংস্থাটির উপপরিচালক মো. গুলশান আনোয়ার প্রধানকে দলনেতা এবং সহকারী পরিচালক জেসমিন আক্তার এবং মোহাম্মদ নুর আলম সিদ্দিকীর সমন্বয়ে তিন সদস্য বিশিষ্ট একটি অনুসন্ধান টিম গঠন করা হয়েছে। অভিযোগের সত্যতা যাচাইয়ের জন্য গঠিত দুদক টিম রেকর্ডপত্র যাচাই-বাছাইয়ের পাশাপাশি আরও প্রয়োজনীয় রেকর্ডপত্র চেয়ে গত রবিবার গ্রামীণ টেলিকমের চেয়ারম্যান এবং ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও প্রধান নির্বাহী (সিইও) কর্মকর্তাকে চিঠি দিয়েছে। দুদক সূত্র জানায়, গ্রামীণ টেলিকমের পরিচালনা পর্ষদের সদস্যদের বিরুদ্ধে অভিযোগ, তারা পরস্পর যোগশাজশে ২ হাজার ৯৭৭ কোটি টাকা মানি লন্ডারিংয়ের উদ্দেশে সহযোগী প্রতিষ্ঠানের ব্যাংক হিসাবে স্থানান্তরের মাধ্যমে আত্মাসাৎ করেন। প্রতিষ্ঠানটির বিরুদ্ধে আরও অভিযোগের মধ্যে আছে পর্ষদ সদস্যদের শেয়ার থাকা গ্রামীণফোনের গ্রামীণফোন ওয়ার্কার্স প্রফিট ফান্ড অ্যান্ড ওয়েলফেয়ার ফান্ড-এর অনিয়মের মাধ্যমে শ্রমিক-কর্মচারীদের মধ্যে বণ্টনের জন্য সংরক্ষিত লভ্যাংশের ৫ শতাংশ অর্থ লোপাট, শ্রমিক-কর্মচারীদের পাওনা পরিশোধকালে অবৈধভাবে অ্যাডভোকেট ফি ও অন্যান্য ফির নামে ৬ শতাংশ অর্থ কর্তন এবং শ্রমিক-কর্মচারীদের কল্যাণ তহবিলে বরাদ্দকৃত সুদসহ ৪৫ কোটি ৫২ লাখ ১৩ হাজার ৬৪৩ টাকা বিতরণ না করে আত্মসাৎ করেন তারা। এর আগে ২০১৫ সালে গ্রামীণ টেলিকম শ্রমিক ইউনিয়নের পাঁচ কর্মচারী প্রতিষ্ঠানটির পরিচালনা পর্ষদের বিরুদ্ধে ১ হাজার ৩০০ শ্রমিক ও কর্মচারীর ৭০০ কোটি টাকা দুর্নীতির মাধ্যমে আত্মসাতের অভিযোগ এনে আদালতে মামলা করেন। পরে এই মামলা শুনানি শেষে মহানগর হাকিম ইউসুফ হোসেন এ বিষয়ে তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশ দেন।

দুদকে আসা অভিযোগ থেকে জানা গেছে, সরকারের নির্দেশনা মেনে ২০১০ সালে প্রতিষ্ঠানটির গ্রামীণফোন ওয়ার্কার্স প্রফিট ফান্ড অ্যান্ড ওয়েলফেয়ার ফান্ডে লাভের ৫ শতাংশ শ্রমিক-কর্মচারীদের মধ্যে বণ্টন করার ঘোষণা করা হয়।

২০১৩ সালে গ্রামীণফোনের পরিচালক সভায় তা পাস হলেও শ্রমিকদের লভ্যাংশের ৬৯১ কোটি ৩৮ লাখ ৬৬ হাজার ১৮৩ টাকা আত্মসাৎ করা হয়। কিন্তু শ্রমিক-কর্মচারীরা আজও এর ক্ষতিপূরণ বুঝে পাননি।

সর্বশেষ খবর