শুক্রবার, ১৬ সেপ্টেম্বর, ২০২২ ০০:০০ টা

মানবিক সহায়তা দিয়ে অপরাধ নির্মূলে র‌্যাব : স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী

নিজস্ব প্রতিবেদক, কক্সবাজার থেকে

স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান বলেছেন, অপরাধে জড়িয়ে পড়ার আগেই যুবক-যুবতীদের নতুন জীবনের পথ দেখিয়েছে র‌্যাব। অতীতে জঙ্গি ও জলদস্যুদের আত্মসমর্পণ করিয়ে তাদের পুনর্বাসন করিয়ে অনন্য মানবিক দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছিল এই বিশেষায়িত বাহিনী। গতকাল কক্সবাজার লং বিচ হোটেলে আয়োজিত ‘নবজাগরণ : অপরাধকে   না বলুন’ শীর্ষক কর্মশালার সমাপনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। অনুষ্ঠানে কক্সবাজারের সব সংসদ সদস্য, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্তা বিভাগের সিনিয়র সচিব আখতার হোসেন, পুলিশ মহাপরিদর্শক (আইজিপি) ড. বেনজীর আহমেদ, র‌্যাবের মহাপরিচালক (ডিজি) চৌধুরী আবদুল্লাহ আল মামুন, অতিরিক্ত মহাপরিচালক কর্নেল কামরুল ইসলাম, চট্টগ্রাম রেঞ্জের ডিআইজি আনোয়ার হোসেনসহ ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন। অপরাধে জড়ানোর ঝুঁকি রয়েছে এমন ৩৬ জনকে কক্সবাজারের বিভিন্ন এলাকা থেকে নির্বাচন করে প্রশিক্ষণ দিয়ে কর্মমুখী প্রশিক্ষণ শেষে তাদের হাতে সনদ ও সেলাই মেশিন তুলে দেওয়া হয়। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘যাদের প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়েছে, তারা কেউ অপরাধী নয়। তবে অপরাধে জড়ানোর আশঙ্কা ছিল। তাদের কক্সবাজারের দারিদ্র্য ও কর্মসংস্থান কম এমন সব এলাকা থেকে বাছাই করা হয়েছে।’ র‌্যাবের ডিজি চৌধুরী মামুন বলেন, ‘সারা দেশে যে মামলা হয় এর ৪০ শতাংশ মাদকের মামলা। আমরা প্রতি বছর অনেক মাদক উদ্ধার করি। কিন্তু মাদক কারবারিরা তাদের পাচারের ধরন পরিবর্তন করে। আমরাও অভিযানের ধরন পরিবর্তন করি।’ তিনি বলেন, ‘মাদক প্রতিরোধে আমরা কিছু গঠনমূলক, সৃজনশীল ও গবেষণামূলক কাজ করেছি। যেসব জলদস্যু আত্মসমর্পণ করেছে, তাদের আমরা খোঁজখবর নিচ্ছি, যোগাযোগ রাখছি। যারা যে কাজ করতে চায়, সেই কাজ করার সুযোগ করে দিয়েছি।’ আইজিপি বেনজীর আহমেদ বলেন, ‘র‌্যাব আইনশৃঙ্খলা ঠিক রাখতে ও নিয়ন্ত্রণ করার পাশাপাশি অপরাধ প্রতিরোধের কাজ করে। র‌্যাব এটা নিয়মিত করে যাচ্ছে।’ কক্সবাজারের পুলিশ সুপার (এসপি) মাহফুজুল ইসলাম বলেন, ‘এ ধরনের প্রশিক্ষণের মাধ্যমে প্রশিক্ষণার্থীদের মধ্যে গ্রোমিং হয়েছে, তাদের মধ্যে সহিষ্ণুতা বেড়েছে। এতে অপরাধ কমে আসবে।’ কক্সবাজারের মেয়র মজিবুর রহমান বলেন, ‘কক্সবাজারে ইয়াবার ছড়াছড়ি। সবাইকে র‌্যাব ও পুলিশ হতে হবে। কেবল পুলিশ এটা পারবে না। সেলাই, ড্রাইভিং, সার্ফিং, গৃহব্যবস্থাপন বা হাউস কিপিং, ট্যুরিস্ট গাইড ও ফটোগ্রাফি এই ছয় বিষয়ে প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়েছে ৩৬ জনকে। এদের মধ্যে ২৫ জন পুরুষ ও ১১ জন নারী।

সর্বশেষ খবর