শনিবার, ২৯ অক্টোবর, ২০২২ ০০:০০ টা

বিএনপি আমলে রিজার্ভ তো শূন্যই ছিল : কাদের

নিজস্ব প্রতিবেদক

আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, বিএনপি আমলে রিজার্ভ তো শূন্যই ছিল। সেখান থেকে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সরকারের আমলে ৪৮ বিলিয়ন ডলার পর্যন্ত আমাদের রিজার্ভ উঠেছিল। আজ বৈশ্বিক সংকটের কারণে রিজার্ভ ৪৮ বিলিয়ন থেকে ৩৬ বিলিয়নে এসে ঠেকেছে। এ সংকট শুধু বাংলাদেশের নয়, দুনিয়ার সব উন্নত দেশ এখন হিমশিম অবস্থায়। তিনি বলেন, বিএনপির সময় রিজার্ভের ভান্ডার ছিল শূন্য, এখন তারা কোন মুখে রিজার্ভ নিয়ে কথা বলে! বর্তমানে যে রিজার্ভ রয়েছে তা দিয়ে আগামী পাঁচ থেকে ছয় মাস সরকার আমদানি করতে পারবে। গতকাল তাঁর বাসভবনে ব্রিফিংকালে তিনি এ কথা বলেন। বিএনপির তিনটি সমাবেশ দেখেই সরকারের কাঁপাকাঁপি শুরু হয়ে গেছে- মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের এমন বক্তব্যের জবাবে ওবায়দুল কাদের বলেন, এখানে সরকারের কাঁপাকাঁপির কী আছে? কোনো কোনো সমাবেশে ১০ লাখের টার্গেট করেও ১ লাখ হয়নি, আবার কোথাও ৫ লাখ টার্গেট করেও ১ লাখের অর্ধেকও হয়নি। এটাই তো বিএনপির সমাবেশের চেহারা। আওয়ামী লীগের ঢাকা মহানগরীতে ওয়ার্ড ও থানার সম্মেলনে কত হাজার লোক হয়েছে তা দেখুন, যা পত্রপত্রিকা ও মিডিয়ায় প্রচারিত হয়েছে।

তিনি বলেন, বিএনপির নেত্রীই তো একসময় বলেছিলেন পাগল আর শিশু ছাড়া কেউই নিরপেক্ষ নয়, তাহলে আপনারা কি পাগল ও শিশু দ্বারা পরিচালিত তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে নির্বাচন চান? ক্ষমতার মোহে অন্ধ বিএনপি নেতারা সেটাই চাইতেই পারেন। সড়ক পরিবহনমন্ত্রী বলেন, এ দেশে সাংবিধানিকভাবে নির্বাচন কমিশন রয়েছে, যার অধীনে যথাসময়ে আগামী নির্বাচন হবে। সরকার শুধু নির্বাচন কমিশনকে সহায়তা দেবে। নির্বাচন কোনো ব্যক্তিবিশেষ বা কোনো দলের খেয়ালখুশিমতো হবে না, পৃথিবীর অন্যান্য গণতান্ত্রিক দেশে যেভাবে হয়, একইভাবে বাংলাদেশেও হবে। মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর পরিবহন ধর্মঘটের জন্য মালিক-শ্রমিকদের প্রতি উপদেশ বর্ষণ করা প্রসঙ্গে সেতুমন্ত্রী বলেন, ২০১৩-১৪ সালে যখন শত শত গাড়ি বিএনপি ভাঙচুর করেছিল, পেট্রোল নিক্ষেপ করে গাড়ি ও পরিবহন শ্রমিকদের পুড়িয়ে মেরেছিল, পরিবহন শ্রমিকদের রিজিকের ওপর হাত দিয়েছিল এবং মালিক-শ্রমিক পরিবারকে নিঃস্ব করেছিল তারা সেটা এখনো ভুলে যাননি। ভুলে যাননি বিএনপির সেই আগুনসন্ত্রাস ও জ্বালাও-পোড়াও রাজনীতি।

ওবায়দুল কাদের বলেন, পরিবহন মালিক-শ্রমিক নির্দিষ্ট কোনো দলের নন, এখানে সব দলেরই লোক আছেন। বিএনপি নেতাদের স্মরণ করে দিয়ে তিনি বলেন, পরিবহন মালিক সংগঠনের সভাপতি আওয়ামী লীগের, সাধারণ সম্পাদক বাসদের, বিএনপির বড় নেতা নেতা শিমুল বিশ্বাসও বাংলাদেশ শ্রমিক ফেডারেশনের সিনিয়র সহসভাপতি। তাকেই জিজ্ঞাসা করুন কেন ধর্মঘট করেছেন? সব দলের সমন্বয়ে মালিক সমিতি, সেখানেও সভাপতি জাতীয় পার্টির, জেনারেল সেক্রেটারি আওয়ামী লীগ সমর্থিত, অন্য সব দলেরই প্রতিনিধিত্ব রয়েছে- বিএনপি নেতাদের তাদের সঙ্গে কথা বলার আহ্বান জানিয়ে ওবায়দুল কাদের বলেন, তাদের জিজ্ঞাসা করুন কেন তারা আপনাদের ভয় পান, কেন ২০১৩-১৪ সালের দুঃসহ স্মৃতি আজও ভুলতে পারেননি, তাদের জিজ্ঞাসা করুন।

সর্বশেষ খবর