সোমবার, ৩১ অক্টোবর, ২০২২ ০০:০০ টা

নিবন্ধন চায় ৮০ দল

আছে নাগরিক ঐক্য ও গণঅধিকার পরিষদ

নিজস্ব প্রতিবেদক

আগামী দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে অংশ নিতে নির্বাচন কমিশনে নিবন্ধনের জন্য আবেদন করেছে ৮০টি রাজনৈতিক দল। গতকাল নির্বাচন কমিশনে নিবন্ধন আবেদনের শেষ দিন ছিল। নিবন্ধনের        জন্য হরেক নামের রাজনৈতিক দল আবেদন করেছে। এর মধ্যে সাম্প্রতিক সময়ে আলোচনায় থাকা নাগরিক ঐক্য, গণ অধিকার পরিষদও নিবন্ধনের জন্য আবেদন করেছে।

ইসির কর্মকর্তারা বলছেন, ২০১৮ সালেও নাম সর্বস্ব ৭৬টি দল নিবন্ধনের জন্য আবেদন করেছিল। এবারও অদ্ভুত-হাস্যকর নামে অনেক দল ইসির নিবন্ধন পেতে আবেদন করেছে। গতকাল আবেদন দাখিলের শেষ দিন ছিল। তারা বলছেন, এবারের নতুন ৮০ দলের মধ্যে অদ্ভুত-হাস্যকর নামগুলো হচ্ছে- নাকফুল বাংলাদেশ, আম জনতা পার্টি, মুসকিল লীগ, ইত্যাদি পার্টি, বেকার সমাজ, বৈরাবরী পার্টি, বাংলাদেশ বিদেশ প্রত্যাগত প্রবাসী ও ননপ্রবাসী কল্যাণ দল, সর্বজনীন দল, গজোসহ বিভিন্ন নামের ইসির নিবন্ধন চেয়েছে তারা। এ বিষয়ে গতকাল নির্বাচন কমিশনার মো. আলমগীর সাংবাদিকদের বলেন, আমরা অফিসারদের দিয়ে কয়েকটা কমিটি করে দেব। সেখানে আমাদের সংবিধান ও আরপিওসহ যে সব বিষয় আছে তার আলোকে দলগুলো যেসব তথ্য ও ডকুমেন্ট দিয়েছে তা কমিটি পরীক্ষা করে দেখবে। এবং আইনি যেসব শর্ত আছে, সেসব শর্ত পূরণ করল কি না সেগুলো দেখতে হবে। তিনি জানান, কোনো শর্ত যদি অপূর্ণ থাকে তাহলে তাকে নিবন্ধন দেওয়ার সুযোগ নেই। সব শর্তই পূরণ করতে হবে। হয়তো আজ কমিশন সচিবালয় ফাইল তুলবে। এরপর তারা যাচাই-বাছাই করে দেখবে। তারপর আমাদের কাছে দেবে আমরা যদি কাগজপত্র দেখে মনে করি আরও যাচাই করতে হবে তাহলে তা করা হবে। আর যদি ১০০ ভাগ শর্ত পূরণ হয় নিবন্ধন পাবে। সব দলের জন্য সেই একই শর্ত। এ নির্বাচন কমিশনার জানান, যারা নিবন্ধন পাবে তাদের জানিয়ে দেওয়া হবে, আর যারা পাবে না তাদের জানিয়ে দেওয়া হবে কোন শর্ত পূরণ না করার জন্য তাদের নিবন্ধন দেওয়া হলো না।

নিবন্ধন আগ্রহী দলগুলো হলো- নৈতিক সমাজ, বাংলাদেশ মুক্তিযোদ্ধা লীগ, বাংলাদেশ ন্যাশনাল রিপাবলিকান পার্টি, মুসকিল লীগ, নতুন বাংলা, বঙ্গবন্ধু দুস্থ ও প্রতিবন্ধী উন্নয়ন পরিষদ, বাংলাদেশ গণতান্ত্রিক মুক্তি আন্দোলন (বিজিএমএ), বাংলাদেশ কৃষক শ্রমিক পার্টি (কেএসপি), বাংলাদেশ ইত্যাদি পার্টি, প্রগতিশীল গণতান্ত্রিক জোট (পিডিএ), বাংলাদেশ রিপাবলিকান পার্টি (বিআরপি), বৈরাবরী পার্টি, বাংলাদেশ বিদেশ প্রত্যাগত প্রবাসী ও ননপ্রবাসী কল্যাণ দল, বাংলাদেশ জনমত পার্টি, বাংলাদেশ জাস্টিস অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট পার্টি, বাংলাদেশ আম জনতা পার্টি, বাংলাদেশ ডেমোক্রেসি মুভমেন্ট (বিডিএম), বাংলাদেশ তৃণমূল জনতা পার্টি (বাংলাদেশ টিজেপি), আমার বাংলাদেশ পার্টি-এবি পার্টি, সম্মিলিত সংগ্রাম পরিষদ, বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী আন্দোলন-বিএনএম, বাংলাদেশ এলডিপি, বাংলাদেশ জাস্টিস পার্টি, বাংলাদেশ ন্যাশনাল গ্রীন পার্টি, বাংলাদেশ সার্বজনীন দল, বাংলাদেশ ন্যাশনাল ডেমোক্রেটিক লীগ, গণ রাজনৈতিক জোট-গর্জো, বাংলাদেশ ডেভেলপমেন্ট পার্টি, বাংলাদেশ বেকার সমাজ (বাবেস), নতুন ধারা বাংলাদেশ-এনডিবি, বাংলাদেশ হিন্দু লীগ, জমিয়তে উলামায়ে ইসলাম ও নেজামে ইসলাম পার্টি, বাংলাদেশ জাতীয় দল, জাতীয় জনতা পার্র্টি, কৃষক শ্রমিক পার্টি (কেএসপি), বাংলাদেশ তৃণমূল লীগ, বাংলাদেশ ন্যাশনাল ডেমোক্রেটিক পার্টি (বিএলডিপি), ভাসানী অনুসারী পরিষদ, নাকফুল বাংলাদেশ, মুক্ত রাজনৈতিক আন্দোলন, বাংলাদেশ নেজামে ইসলাম পার্টি, বাংলাদেশ তৃণমূল কংগ্রেস, মুক্তিযোদ্ধা কমিউনিজম ডেমোক্রেটিক পার্টি, রাজনৈতিক আন্দোলন, বাংলাদেশ জনতার অধিকার পার্টি, বাংলাদেশ নিউম্যানিস্ট পার্টি-বিএইচপি, বাংলাদেশ ন্যাশনাল ডেমোক্রেটিক পার্টি (বিএনডিপি), জাতীয় স্বাধীনতা পার্টি, যুব সেচ্ছাসেবক লীগ, ন্যাপ (ভাসানী), ন্যাশনাল আওয়ামী পার্টি (ভাসানী ন্যাপ), বাংলাদেশ জাতীয় লীগ (বিজেএল), বাংলাদেশ ইসলামিক গণতান্ত্রিক লীগ, বাংলাদেশ মাইনরিটি পার্টি, বাংলাদেশ জাতীয় বঙ্গ লীগ, বাংলাদেশ আওয়ামী পার্টি, গণ অধিকার পরিষদ, নাগরিক ঐক্য, রাষ্ট্র সংস্কার আন্দোলন, বাংলাদেশ সনাতন পার্টি-বিএসপি, বাংলাদেশ জনতা পার্টি (বিজেপি), জনতার অধিকার পার্টি (পিআরপি), বাংলাদেশ সুপ্রিম পার্টি (বিএসপি), বাংলাদেশ মুক্তিযোদ্ধা লীগ, ইনসানিয়াত বিপ্লব বাংলাদেশ, বাংলাদেশ লেবার পার্টি, সনস্বার্থে বাংলাদেশ, বাংলাদেশ জাতীয় ইনসাফ পার্টি, সাধারণ জনতা পার্টি, ন্যাশনাল ডেমোক্রেটিক পার্টি (এলডিপি), বাংলাদেশ মনবতাবাদী দল, বাংলাদেশ ইউনাইটেড ইসলামিক পার্টি (বিইউআইপি), বাংলাদেশ এনভায়রনমেন্ট গ্রীন পার্টি, বাংলাদেশ গণ আজাদী লীগ, বঙ্গবন্ধু ও জাতীয় চার নেতা কল্যাণ পরিষদ, বাংলাদেশ গণতান্ত্রিক দল (বিডিপি), মুক্তিযোদ্ধা যুব কমান্ড, গণ অধিকার পার্টি (পিআরপি), বাংলাদেশ মাইনারিটি জনতা পার্টি (বিএমজেপি) ও যুব সমাজ পার্টি। সর্বশেষ দল নিবন্ধনের জন্য ২০১৭ সালের ৩০ অক্টোবর গণবিজ্ঞপ্তি জারি করেছিল ইসি। সময় দেওয়া হয়েছিল ওই বছর ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত। এতে নিবন্ধন পেতে আবেদন করেছিল ৭৬টি রাজনৈতিক দল। কে এম নূরুল হুদা কমিশন নানা কারণে সবার আবেদন বাতিল করেছিল। পরে আদালতের আদেশে নিবন্ধন পায় জাতীয়তাবাদী গণতান্ত্রিক আন্দোলন-এনডিএম ও বাংলাদেশ কংগ্রেস।

এই রকম আরও টপিক

সর্বশেষ খবর