শুক্রবার, ৪ নভেম্বর, ২০২২ ০০:০০ টা

ডিসি অফিসে পাঁচ সাংবাদিককে আটকে হেনস্তার অভিযোগ

ঝিনাইদহ প্রতিনিধি

ঝিনাইদহ জেলা প্রশাসকের (ডিসির) কার্যালয়ে সোমবার পাঁচ সাংবাদিককে আটকে রেখে হেনস্তা করার পর মুচলেকা নিয়ে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে। ভুক্তভোগীরা বিচার চেয়ে বুধবার খুলনা বিভাগীয় কমিশনারের কাছে লিখিত অভিযোগ করেছেন। জানা গেছে ঝিনাইদহ সদর উপজেলার মধুহাটি ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আলতাফ হোসেনের বিরুদ্ধে তার এলাকার লোকজন ডিসি অফিসে একটি অভিযোগ দেন। সোমবার আরডিসি আনিসুল ইসলামের দফতরে ওই অভিযোগের তদন্ত চলছিল। এ সময় চেয়ারম্যানের সমর্থক ও প্রতিপক্ষের লোকজন মারামারিতে জড়িয়ে পড়েন। একই সময়ে ডিসি অফিসের নিচে একটি মানববন্ধনও চলছিল। তৃতীয় তলায় চিৎকার শুনে সেখানে যান সাংবাদিক আলী হাসান, বাহারুল ইসলাম, মেহেদী হাসান, সম্রাট হোসেন ও আশরাফুল ইসলাম। তারা সেখানে গিয়ে মুঠোফোনে মারামারির ভিডিও ধারণ করেন। ভিডিও ধারণ করতে দেখে ক্ষেপে যান সিনিয়র সহকারী কমিশনার পার্থ প্রতিম শীল। তিনি ছুটে এসে তাদের হাত থেকে মুঠোফোনগুলো ছিনিয়ে নেন। এরপর সেখানে আসেন জেলা প্রশাসকের দফতরের প্রশাসনিক কর্মকর্তা সালমা সেলিম, রাজীবুল ইসলাম খান ও মো. শরিফুল হক। তারা একে একে সবার হাতে থাকা মুঠোফোন ছিনিয়ে নিয়ে ভিডিওগুলো মুছে ফেলেন। এরপর তারা সাংবাদিকদের অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক সেলিম রেজার কক্ষে নিয়ে যান। তবে তিনি তখন কক্ষে ছিলেন না। সেখানে তারা নানাভাবে তাদের মানসিক নির্যাতন করেন। একপর্যায়ে এ ঘটনায় কোনো সংবাদ লিখবেন না মর্মে মুচলেকা নেওয়ার পর তাদের ছেড়ে দেওয়া হয়। সাংবাদিক আলী হাসান জানান, গত তিন দিন তার মানসিক কষ্টে কেটেছে। কাউকে কিছু বলতে পারেননি তিনি। প্রশাসনের কর্মকর্তারা লিখে নিয়েছেন এই বিষয়ে কিছু করতে পারবেন না। শেষ পর্যন্ত সিদ্ধান্ত নিয়েছেন ঘটনার বিচার চাওয়ার। এ জন্য খুলনা বিভাগীয় কমিশনারের কাছে অভিযোগ করেছেন তারা। আরেক সাংবাদিক বাহারুল ইসলাম জানান, ‘পার্থ প্রতিম শীল আমাদের সঙ্গে যে বিরূপ আচরণ করেছেন, তা অকল্পনীয়। এ বিষয়ে সিনিয়র সহকারী কমিশনার পার্থ প্রতিম শীল জানান, এ রকম ঘটনা তার জানা নেই। জেলা প্রশাসক মনিরা বেগম জানান, আমি ঘটনার সময় ছুটিতে ছিলাম। পরে বিষয়টি জেনেছি। তবে বিষয়টি নিয়ে তদন্ত করে দেখব।

সর্বশেষ খবর