রবিবার, ৬ নভেম্বর, ২০২২ ০০:০০ টা
মধ্যবর্তী নির্বাচন

রিপাবলিকানরা কংগ্রেসে দখল পেলে ইমপিচ বাইডেন!

লাবলু আনসার, যুক্তরাষ্ট্র

রিপাবলিকানরা কংগ্রেসে দখল পেলে ইমপিচ বাইডেন!

৮ নভেম্বরের নির্বাচনে ডেমোক্র্যাটরা কংগ্রেসের উভয় কক্ষের সংখ্যাগরিষ্ঠতা অটুট রাখতে সক্ষম না হলে প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনকে অপসারণ (ইমপিচ) করা হবে। এমন আশঙ্কার কথা বাইডেন নিজেই প্রকাশ করেছেন বৃহস্পতিবার ক্যালিফোর্নিয়ায় একটি নির্বাচনী সমাবেশে। বাইডেন বলেছেন, ‘আমি এরই মধ্যে অবহিত হয়েছি যে, যদি তারা (রিপাবলিকান) ইউএস সিনেট ও প্রতিনিধি পরিষদে সংখ্যাগরিষ্ঠতা অর্জনে সক্ষম হয় তাহলে আমাকে ইমপিচ করা হবে। তবে আমি জানি না কিংবা বুঝতে পারছি না কী কারণে ওরা আমাকে ইমপিচ করবে।’ ক্যালিফোর্নিয়ার কংগ্রেসনাল ডিস্ট্রিক্ট-৪৯-এ ডেমোক্র্যাটিক পার্টির প্রার্থী মাইক লেভিনের পুনর্নির্বাচনের এ সমাবেশ হয় সান দিয়েগো সিটিতে। বাইডেনের এমন বক্তব্যের সময় সমাবেশের সবাই হাস্যরসে মেতে ওঠেন, অর্থাৎ কেউই এমন আশঙ্কা আমলে নিতে চাননি। তবে বাইডেন আরও উচ্চৈঃস্বরে উল্লেখ করেন, ‘আমি মজা করছি না। তামাশাও নয়।’ বাইডেন বলেন, ‘সাম্প্রতিক সময়ে তারা বলেছেন আমাদের থেমে যাওয়া উচিত। জয়ী না হওয়া পর্যন্ত আমরা যাতে ওদের বিরুদ্ধে (ট্রাম্প) কোনো কথা না বলি।’ তবে প্রতিনিধি পরিষদের সংখ্যালঘিষ্ঠ রিপাবলিকান পার্টির নেতা কংগ্রেসম্যান কেভিন ম্যাককার্থি গত মাসে একটি গণমাধ্যমে উল্লেখ করেন, ‘আমি মনে করি শুধু রাজনৈতিক কারণে ইমপিচমেন্টের মতো কঠিন একটি প্রক্রিয়ায় কারোরই যাওয়া উচিত নয়।’ উল্লেখ্য, রিপাবলিকানরা যদি সংখ্যাগরিষ্ঠতা অর্জন করে তবে ম্যাককার্থি হবেন স্পিকার। আরও উল্লেখ্য, ট্রাম্পের কট্টর সমর্থক কংগ্রেসওম্যান মারজোরি টেইলর গত বছর বাইডেনকে ইমপিচের প্রস্তাব উত্থাপন করেছিলেন কিন্তু তারা সংখ্যালঘিষ্ঠ হওয়ায় তা আমলে আসেনি। সিনেটে বাইডেনকে ইমপিচ করতে রিপাবলিকানদের জোরালো সংখ্যাগরিষ্ঠতা অর্জনের প্রয়োজন নেই। প্রতিনিধি পরিষদে সংখ্যাগরিষ্ঠতাই যথেষ্ট। তবে বাইডেনকে শাস্তি প্রদান ও হোয়াইট হাউস থেকে অপসারণ করতে হলে সিনেটের দুই-তৃতীয়াংশের সমর্থন লাগবে। রিপাবলিকানরা মনে করছেন, বাইডেনের ছেলে হান্টার বাইডেনের ব্যবসায় ক্ষমতার অপব্যবহার এবং ২০২০ সালের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে প্রতারণার ব্যাপারগুলো বাইডেনকে অপসারণের হাতিয়ার হতে পারে। এ ছাড়া, আফগানিস্তান থেকে পাততাড়ি গোটানোর ব্যাপারটিও বাইডেনকে ইমপিচের অন্যতম কারণ হবে বলে ভাবছেন রিপাবলিকানরা। এ অবস্থায় মধ্যবর্তী নির্বাচনের ময়দানে উত্তেজনা বিরাজ করছে।

সর্বশেষ খবর