বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, ‘এ অবস্থা আর চলবে না। মানুষ ঘুরে দাঁড়িয়েছে। নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে নির্বাচনের ব্যবস্থা না করা পর্যন্ত আমরা ঘরে ফিরে যাব না। বর্তমান সরকারের অধীনে আর কোনো নির্বাচন হতে দেওয়া হবে না। অবিলম্বে জাতীয় সংসদ বিলুপ্ত করে নিরপেক্ষ সরকারের কাছে ক্ষমতা হস্তান্তর করতে হবে। নইলে আন্দোলনের মাধ্যমে জনগণ এ সরকারকে টেনে-হিঁচড়ে ক্ষমতা থেকে নামাবে।’ তিনি বলেন, ‘তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে নির্বাচন দিতে হবে। শেখ হাসিনার অধীনে কোনো নির্বাচন হবে না, হতে দেওয়াও হবে না। নিরপেক্ষ নির্বাচনের পর জাতীয় সরকার গঠন করা হবে। আমরা রাষ্ট্রের মেরামত চাই। দুর্নীতিমুক্ত বাংলাদেশ চাই।’ গতকাল ফরিদপুরের কোমরপুর আবদুল আজিজ ইনস্টিটিউট মাঠে বিএনপির বিভাগীয় সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। ফরিদপুর মহানগর বিএনপির আহ্বায়ক এ এফ এম কাইয়ুম জঙ্গীর সভাপতিত্বে এবং সদস্যসচিব গোলাম মোস্তফা মিরাজ ও এ কে এম কিবরিয়া স্বপনের পরিচালনায় গণসমাবেশে প্রধান বক্তা ছিলেন বিএনপি স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস। এ ছাড়া স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী, ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকু, ভাইস চেয়ারম্যান ব্যারিস্টার শাহজাহান ওমর বীরউত্তম, সমাবেশের প্রধান সমন্বয়ক ও বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান অধ্যাপক ডা. এ জেড এম জাহিদ হোসেন, চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা জহিরুল হক শাহজাদা, বিএনপির যুগ্ম-মহাসচিব অ্যাডভোকেট সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল, মজিবর রহমান সরোয়ার, ব্যারিস্টার মাহবুব উদ্দিন খোকন, ফরিদপুর বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক শামা ওবায়েদ ইসলাম রিংকু, যুবদলের কেন্দ্রীয় সভাপতি সুলতান সালাউদ্দিন টুকু, সাধারণ সম্পাদক এস এম জিলানী, শ্রমিক দলের কেন্দ্রীয় সভাপতি আনোয়ার হোসেন, বিএনপির নির্বাহী সদস্য শাহ মো. আবু জাফর, কৃষক দলের কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক শহিদুল ইসলাম বাবুল, মহিলা দলের যুগ্ম-সম্পাদক হেলেন জেরিন খান ও যুগ্ম-সম্পাদক চৌধুরী নায়াব ইউসুফ,  জেলা বিএনপির আহ্বায়ক অ্যাডভোকেট সৈয়দ মোদাররেস আলী ইছা, সদস্যসচিব এ কে এম কিবরিয়া স্বপন, সাবেক এমপি আলী নেওয়াজ খৈয়মসহ স্থানীয় বিএনপি এবং অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের নেতারা বক্তৃতা করেন। সমাবেশ বেলা ২টায় শুরু হওয়ার কথা থাকলেও সকাল ১০টা থেকেই ফরিদপুরের স্থানীয় ও বিভিন্ন জেলা থেকে আসা নেতারা বক্তব্য দেন। তবে বেলা ১১টার দিকে পবিত্র কোরআন থেকে তিলাওয়াত, গীতা ও ত্রিপিটক পাঠের মাধ্যমে আনুষ্ঠানিকভাবে সমাবেশ শুরু হয়। ২টার দিকে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরসহ কেন্দ্রীয় নেতারা মঞ্চে আসেন। সমাবেশ শুরুর অনেক আগ থেকেই সমাবেশস্থল কোমরপুর আবদুল আজিজ স্কুলমাঠ ছাপিয়ে ঢাকা-খুলনা মহাসড়কের উভয় পাশের ৩ কিলোমিটারের বেশি এলাকা পর্যন্ত লোকারণ্য হয়ে পড়ে। গণসমাবেশ রূপান্তর হয় মহাসমাবেশে। সমাবেশমঞ্চে বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া ও ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের জন্য পৃথক দুটি খালি চেয়ার রাখা ছিল। দুই দিন আগে থেকে সড়ক, নৌপথসহ সব যোগাযোগ বন্ধ করে দেওয়াসহ পথে পথে পুলিশ ও ক্ষমতাসীন দলের নেতা-কর্মীরা বিএনপি নেতা-কর্মীদের বাধা দিয়েছেন বলে অভিযোগ করেছে বিএনপি। এর ফলে বিএনপি নেতা-কর্মীরাও বিকল্প পথ অনুসরণ করে সমাবেশস্থলে আসেন। অনেকে তিন-চার দিন আগে থেকেই ফরিদপুর চলে আসেন।
জেলা বিএনপির আহ্বায়ক অ্যাডভোকেট সৈয়দ মোদাররেস আলী ইছা, সদস্যসচিব এ কে এম কিবরিয়া স্বপন, সাবেক এমপি আলী নেওয়াজ খৈয়মসহ স্থানীয় বিএনপি এবং অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের নেতারা বক্তৃতা করেন। সমাবেশ বেলা ২টায় শুরু হওয়ার কথা থাকলেও সকাল ১০টা থেকেই ফরিদপুরের স্থানীয় ও বিভিন্ন জেলা থেকে আসা নেতারা বক্তব্য দেন। তবে বেলা ১১টার দিকে পবিত্র কোরআন থেকে তিলাওয়াত, গীতা ও ত্রিপিটক পাঠের মাধ্যমে আনুষ্ঠানিকভাবে সমাবেশ শুরু হয়। ২টার দিকে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরসহ কেন্দ্রীয় নেতারা মঞ্চে আসেন। সমাবেশ শুরুর অনেক আগ থেকেই সমাবেশস্থল কোমরপুর আবদুল আজিজ স্কুলমাঠ ছাপিয়ে ঢাকা-খুলনা মহাসড়কের উভয় পাশের ৩ কিলোমিটারের বেশি এলাকা পর্যন্ত লোকারণ্য হয়ে পড়ে। গণসমাবেশ রূপান্তর হয় মহাসমাবেশে। সমাবেশমঞ্চে বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া ও ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের জন্য পৃথক দুটি খালি চেয়ার রাখা ছিল। দুই দিন আগে থেকে সড়ক, নৌপথসহ সব যোগাযোগ বন্ধ করে দেওয়াসহ পথে পথে পুলিশ ও ক্ষমতাসীন দলের নেতা-কর্মীরা বিএনপি নেতা-কর্মীদের বাধা দিয়েছেন বলে অভিযোগ করেছে বিএনপি। এর ফলে বিএনপি নেতা-কর্মীরাও বিকল্প পথ অনুসরণ করে সমাবেশস্থলে আসেন। অনেকে তিন-চার দিন আগে থেকেই ফরিদপুর চলে আসেন।
সমাবেশে বর্তমান সরকার আমলে গত এক যুগে ১০ লাখ কোটি টাকা পাচার হয়ে গেছে বলে অভিযোগ করেন বিএনপি মহাসচিব। তিনি বলেন, দেশের সম্পদ লুট করে তারা বিদেশে পাচার করছে। সরকার কোথায় চুরি করেনি! মেগা প্রজেক্ট থেকে শুরু করে বেকার ভাতা, বয়স্ক ভাতা, বিধবা ভাতা পর্যন্ত চুরি করেছে। গণতান্ত্রিক বাংলাদেশ গঠনে রাজপথের সংগ্রামকে আরও জোরদার করার আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, সমস্ত মানুষকে জেগে উঠতে হবে। ৩৫ লাখ মামলা প্রত্যাহার করতে হবে। এ সময় তিনি ‘এক দফা এক দাবি, শেখ হাসিনা কবে যাবি’ স্লোগান দেন। মির্জা ফখরুল বলেন, ‘দেশের মানুষ এখন আর আওয়ামী লীগকে ক্ষমতায় দেখতে চায় না। আওয়ামী লীগের ইতিহাস দুর্ভিক্ষ আর লুটপাটের। তাদের স্লোগান হচ্ছে- আমার ভোট আমি দেব, তোমার ভোটও আমি দেব। আমরা পরিষ্কার করে বলতে চাই, আপনারা সংবিধানের দোহাই দেন। সংবিধান অনুযায়ী নির্বাচন হবে। সংবিধানের দোহাই দিয়ে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে নির্বাচন বন্ধ করা যাবে না। তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনেই নির্বাচন দিতে হবে।’
মির্জা ফখরুল বলেন, ‘আমাদের ভোটের অধিকার ফিরিয়ে আনতে হবে। আওয়ামী লীগ রিজার্ভের টাকা গিলে খেয়েছে। তারা এমন কোনো খাত বাকি রাখেনি, যেখান থেকে লুটপাট না করেছে। আমরা এমন বাংলাদেশ দেখতে চাইনি। আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেন, আওয়ামী লীগ নাকি গণতন্ত্র রক্ষা করেছে। এ যেন ভূতের মুখে রাম নাম। আওয়ামী লীগ দেশের আলেম-ওলামাদের কারাবন্দি ও হয়রানি করছে। তাদের নামে মিথ্যা মামলা দিয়ে জেলে ঢোকাচ্ছে। আমাদের গণতন্ত্রের মা দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়াকে মিথ্যা মামলা দিয়ে চার বছর ধরে জেলে রেখেছে। জোর করে খুন করে, গুম করে ক্ষমতায় থাকা যাবে না।’ মির্জা ফখরুল বলেন, ‘আওয়ামী লীগ যে অগ্নিসন্ত্রাসের কথা বলে, তার হোতা আওয়ামী লীগ। এক-এগারো আনার জন্য তারা অগ্নিসন্ত্রাস করেছে। আমরা তত্ত্বাবধায়ক সরকারের দাবি মেনে সরকার থেকে পদত্যাগ করেছিলাম। নির্বাচনে আমরা হার মেনে নিয়েছি। আজ তত্ত্বাবধায়ক দেওয়া হচ্ছে না। সময় হয়েছে নতুন করে স্বাধীনতা নিয়ে আসার। দেশের ১৮ কোটি মানুষের ভবিষ্যৎ নির্ভর করছে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের ওপর। অনেক ক্ষতি করেছেন আপনারা। কোনো সহনশীলতা নেই। আওয়ামী লীগ মনে করে দেশটা তাদের বাপের সম্পত্তি, পৈতৃক সম্পত্তি।’ তিনি বলেন, ‘তরুণ-যুবকদের কঠিন ইস্পাতের মতো দাঁড়াতে হবে। আওয়ামী লীগ সরকার রাজনীতি-অর্থনীতিসহ সবকিছু ধ্বংস করে দিয়েছে। রাষ্ট্রযন্ত্র ব্যবহার করে আওয়ামী লীগ বন্দুকের জোরে ক্ষমতায় আছে।’ প্রধান বক্তা হিসেবে বিএনপি স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস বলেন, ‘ক্ষমতাসীন দল এতটাই ভয় পেয়েছে যে, তারা আকাশপথ, স্থলপথ ও জলপথ বন্ধ রেখেছে। ইন্টারনেট বন্ধ করে দিয়েছে। যানবাহনের ধর্মঘট ডেকেছে। তারা জোরপূর্বক দোকানপাটও বন্ধ করে দিয়েছে। তাতে কোনো লাভ হয় নাই। আপনারা মনে করেছেন সারা জীবন ক্ষমতায় থাকবেন? পারবেন না। নমরুদ পারেনি, ফেরাউন পারেনি, আপনারাও পারবেন না। ভোটের অধিকার ফিরিয়ে আনতে আমাদের সংগ্রাম চলছে, চলবে।’ আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী বলেন, ‘আগামী দিনের আন্দোলনে ফরিদপুরবাসীর ভূমিকা কী হতে পারে এর ধারণা আপনারা আজকে দিয়েছেন। আগামীতে নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে নির্বাচন হবে। এ নির্বাচনে ফরিদপুরে ফলাফল কী হতে পারে সে ইঙ্গিত আপনারা দিয়েছেন।’ তিনি বলেন, ‘আমাদের প্রতিপক্ষ আওয়ামী লীগ সমাবেশ বানচাল করতে নানা ষড়যন্ত্র করেছে। কিন্তু এ মহাসমাবেশ ঠেকাতে পারে নাই। দেশের মানুষ বানের পানির মতো মহাসমাবেশে এসেছেন। বিএনপি নেতা-কর্মীরা অনেক কষ্ট স্বীকার করে তিন দিন ধরে রাস্তায় ঘুমিয়েছেন, চিঁড়া-মুড়ি খেয়েছেন, এর পরও তারা মাঠ ছেড়ে যাননি।’ ব্যারিস্টার শাহজাহান ওমর বীরউত্তম বলেন, ‘আওয়ামী লীগ চোরের দল, আওয়ামী লীগ ভোটচোর। এ সরকারের নেতারা লুটপাট, খুন-ধর্ষণ থেকে শুরু করে এহেন কাজ নেই যা করেনি। তাই এ ভোটচোরের দলকে আন্দোলনের মাধ্যমেই ক্ষমতা থেকে নামানো হবে।’
পথে পথে বাধা : সমাবেশে আসার পথে শহরের বিভিন্ন স্থানে বাধা দেওয়ার অভিযোগ করেছেন বিএনপি নেতারা। তারা বলেন, শহরের আলীপুর গোরস্তান মোড়, ভাঙ্গা রাস্তার মোড়, রাজবাড়ী রাস্তার মোড়, কানাইপুর, নূরু মিয়া বাইপাস সড়কে পুলিশ নেতা-কর্মীদের আসতে বাধা প্রদান করে। অনেকেই মিছিল নিয়ে সমাবেশস্থলে আসতে পারেননি। যারা দলীয় প্রতীক ও জাতীয় পতাকায় বাঁধা লাঠি নিয়ে এসেছেন, তাদের লাঠি রেখে দেয় পুলিশ। বিএনপি নেতারা অভিযোগ করে বলেন, পথে পথে আওয়ামী লীগ, যুবলীগ ও ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীরা বাধা প্রদান করেন।
পরিবহন বন্ধ থাকায় চরম ভোগান্তি : সমাবেশ কেন্দ্র করে দুই দিনের পরিবহন ধর্মঘট চলায় সাধারণ মানুষ ও বিএনপি নেতা-কর্মীরা চরম দুর্ভোগের মধ্যে পড়েন। শুক্রবার জেলা থেকে ছোট কিছু যানবাহন চলাচল করলেও গতকাল ভোর থেকে সব ধরনের যান চলাচল বন্ধ ছিল। ফলে চরম ভোগান্তির মধ্যে পড়তে হয়েছে তাদের। ভোরে বাসস্ট্যান্ডে এসে বাস না পেয়ে হতাশ হয়ে বাড়ি ফিরে যান ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী আমিনুল ইসলাম। তিনি বলেন, ‘ঢাকায় যাব কিন্তু গাড়ি বন্ধ থাকায় যেতে পারছি না। মোটরসাইকেলে যেতে হবে ঝুঁকি নিয়ে।’ যান চলাচল বন্ধ থাকায় দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে আসা বিএনপি নেতা-কর্মীরা রাজবাড়ীর গোয়ালন্দ মোড়, ফরিদপুরের ভাঙ্গা, নগরকান্দার জয়বাংলা মোড়, মধুখালীর মাঝকান্দি এলাকায় নামতে বাধ্য হন। অনেকেই এ সময় কয়েক কিলোমিটার পথ হেঁটে সমাবেশস্থলে যোগ দেন। কেউ কেউ দু-তিন গুণ ভাড়া বেশি দিয়ে অটোরিকশা, ভ্যান, নসিমনে করে আসেন।
মোবাইল নেটওয়ার্ক ছিল বন্ধ : গতকাল সকাল থেকে সমাবেশস্থল কোমরপুরে মোবাইল নেটওয়ার্ক বন্ধ থাকায় বিড়ম্বনায় পড়েন সমাবেশে আসা মানুষজন। তারা মোবাইল ফোনে কোনো যোগাযোগ করতে পারেননি স্বজনদের সঙ্গে। একই অবস্থা ছিল ওয়াইফাই নেটওয়ার্কে। ফলে সাংবাদিকরা সমাবেশের খবর পাঠাতে গিয়ে চরম ভোগান্তির মধ্যে পড়েন।
মাদারীপুর থেকে প্রতিনিধি জানিয়েছেন, ফরিদপুরের গণসমাবেশে যোগ দিতে নদীপথে ট্রলারে করে গিয়েছেন বিএনপি নেতা-কর্মীরা। মাদারীপুরের শিবচর থেকে নৌপথে ট্রলারে করে ফরিদপুরে যান তারা। স্থানীয় বিএনপি নেতা-কর্মীদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, যানবাহন না পাওয়া, ধরপাকড় ও হয়রানি এড়াতে নদীপথ বেছে নিয়েছেন তারা। এসব ট্রলারে উপজেলার দত্তপাড়া, পাঁচ্চর, সন্ন্যাসীর চর, বন্দরখোলা, কাঁঠালবাড়ী ও কুতুবপুর ইউনিয়নের সহস্রাধিক নেতা-কর্মী এসেছেন।
শুক্রবার দিবাগত রাত ২টার দিকে শিবচর উপজেলার আড়িয়াল খাঁ নদের তীরবর্তী মাদবরের চর হাটের কাছ থেকে তিনটি ট্রলার ফরিদপুরের উদ্দেশে ছেড়ে যায়। মাদবরের চর ইউনিয়ন ছাত্রদলের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক ইমারাত বেপারী মুঠোফোনে এ তথ্য জানান। মুঠোফোনে তিনি বলেন, ‘শিবচর থেকে কোনো বাস, মাইক্রোবাস ভাড়া পাওয়া যায়নি। পরে আমরা ওই এলাকা থেকে বড় দুটি ট্রলার ভাড়া করি। রাতে স্থানীয় আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীরা বাধা দিলে পরে আমরা পুনরায় ছোট তিনটি ট্রলার ভাড়া করে রওনা হই। কারণ নেতা-কর্মীদের নিয়ে ফরিদপুর পৌঁছানোর আর কোনো পথ ছিল না। তাই বাধ্য হয়ে নৌপথেই ফরিদপুর এসেছি।’
ফরিদপুরের গণসমাবেশে বাধাদানের প্রতিবাদে নয়াপল্টনে বিক্ষোভ মিছিল : ফরিদপুরের গণসমাবেশে যেতে পথে পথে নেতা-কর্মীদের বাধা, হয়রানি, হামলা-মামলার প্রতিবাদে ঢাকায় বিক্ষোভ মিছিল করেছেন স্বেচ্ছাসেবক দলের নেতারা। গতকাল সন্ধ্যায় বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম-মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী আহমেদের নেতৃত্বে রাজধানীর নয়াপল্টন থেকে মিছিলটি শুরু হয়। কাকরাইল হয়ে মিছিলটি আবারও নয়াপল্টনে গিয়ে শেষ হয়। মিছিলে অংশ নেন বিএনপির কেন্দ্রীয় নেতা মীর সরাফত আলী সপু, স্বেচ্ছাসেবক দলের সাধারণ সম্পাদক রাজীব আহসান, সাংগঠনিক সম্পাদক নাজমুল হাসান, ঢাকা মহানগরী দক্ষিণের নেতা শফিউদ্দিন সেন্টু, উত্তরের নেতা মোকাব্বির, আরিফা সুলতানা রুমা, মেহেবুব মাসুম শান্তসহ সহস্রাধিক নেতা-কর্মী। মিছিলের পর সংক্ষিপ্ত বক্তৃতায় রিজভী আহমেদ বলেন, সরকার শেষ সময়ে আবারও গুম-খুন শুরু করেছে। বিভিন্ন স্থান থেকে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্য পরিচয়ে নেতা-কর্মীদের তুলে নেওয়া হচ্ছে। বাড়ি বাড়ি তল্লাশির নামে হয়রানি করা হচ্ছে। মিথ্যা মামলায় গ্রেফতার করে বিএনপি ও অঙ্গসংগঠনের নেতা-কর্মীদের নির্যাতন করা হচ্ছে। তিনি বলেন, আওয়ামী লীগ পুলিশ দিয়ে রাস্তা বন্ধ করে সমাবেশ করে। আর বিএনপির সমাবেশের আগে ও সমাবেশের দিন অঘোষিত ধর্মঘট ডাকে। বিরোধী দলের নেতা-কর্মীদের ওপর হামলা করে। কোনো বাধা বিএনপিকে ঠেকাতে পারবে না। সরকার পতনের আন্দোলন ঠেকানো যাবে না। এ অবৈধ সরকারকে বিদায় করে জনগণের সরকার প্রতিষ্ঠা করা হবে।
 
                         
                                     
                                                     
                                     
                                     
                                     
                                     
                                     
                                     
                                     
                                     
                                         
                                         
                                         
                                         
                                         
                                         
                                         
                                         
                                         
                                         
                                         
                                         
                                         
                                         
                                         
                                         
                                         
                                         
                                         
                                         
                                         
                                         
                                         
                                         
                                         
                                         
                                         
                                         
                                         
                                         
                                         
                                         
                                         
                                         
                                         
                                         
                                         
                                         
                                         
                                         
                                         
                                         
                                         
                                         
                                         
                                         
                                         
                                         
                                         
                                         
                                         
                                         
                                         
                                         
                                         
                                         
                                         
                                         
                                         
                                         
                                         
                                         
                                         
                                         
                                         
                                         
                                         
                                         
                                         
                                         
                                         
                                         
                                         
                                         
                                         
                                         
                                         
                                         
                                        