মঙ্গলবার, ১৫ নভেম্বর, ২০২২ ০০:০০ টা

হাসপাতালে ঘুরে বেড়ায় গরু ছাগল

♦ বাক্সবন্দি কোটি টাকার যন্ত্রপাতি ♦ একবার নষ্ট হলে আর সারানোর উপায় নেই ♦ বরাদ্দ চেয়ে চিঠি পাঠালেও মেলে না উত্তর ♦ নষ্ট জেনারেটর, টর্চের আলোয় অপারেশন

জয়শ্রী ভাদুড়ী

হাসপাতালে ঘুরে বেড়ায় গরু ছাগল

কুমিল্লার নাঙ্গলকোটের গোহারুয়া ২০ শয্যা সরকারি হাসপাতালের সামনে গরু বিচরণ। পটুয়াখালী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে জেনারেটর নষ্ট দীর্ঘদিন। বিদ্যুৎ গেলে টর্চের আলোয় অপারেশন -বাংলাদেশ প্রতিদিন

কুমিল্লার নাঙ্গলকোট উপজেলার গোহারুয়ায় ১৬ বছর আগে উদ্বোধন করা হয় ২০ শয্যার হাসপাতাল। ৬ কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মাণ করা হলেও চালু হয়নি হাসপাতালটি। এতে নেই চিকিৎসক, নার্স কিংবা প্রহরী। ভুতুড়ে অবস্থায় পড়ে থাকে হাসপাতাল। লতাগুল্ম, আগাছায় ঢেকে গেছে হাসপাতালের ৯টি ছোট-বড় ভবন। নিরাপদে ঘাস খেয়ে বেড়ায় গরু-ছাগলের দল। শুধু এই হাসপাতাল নয়, স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের হিসাবে এমন অবহেলায় পড়ে আছে স্বাস্থ্যসেবার ২৩৩ স্থাপনা। গত আগস্টে এক সভায় স্বাস্থ্যসেবায় অব্যবহৃত এসব স্থাপনার বিষয়ে আলোচনা হয়। সে আলোচনার ভিত্তিতে সেপ্টেম্বরে এসব স্থাপনার তালিকা তৈরি করে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়। এ তালিকায় উঠে আসে অযত্নে পড়ে থাকা ২৩৩ স্থাপনার বিষয়। এর মধ্যে রয়েছে স্বাস্থ্যসেবা বিভাগের ৫৮টি এবং স্বাস্থ্য শিক্ষা বিভাগের ১৭৫টি। এ ব্যাপারে স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রী জাহিদ মালেক বলেন, ‘চিকিৎসাসেবার মান বৃদ্ধি করতে আমরা সারা দেশে ঘুরে বেড়াচ্ছি। যেখানে যে সমস্যা আছে তা সমাধানে কাজ করছি। আমরা চাই হাসপাতালে ডাক্তারদের উপস্থিতি। স্বাস্থ্যসেবা কেন্দ্রে রোগীদের সেবায় ব্যবহৃত যন্ত্রপাতিগুলো যেন সচল থাকে। অনেক সময় আলট্রা-ইকো মেশিনগুলো নষ্ট থাকে, যে কারণে রোগীরা চিকিৎসা নিতে দেশের বাইরে চলে যান।’ গত রবিবার এক অনুষ্ঠানে তিনি বলেন, ‘যেসব সরকারি হাসপাতালে প্রয়োজনীয় যন্ত্রপাতি নেই আমাদের জানালে আমরা দিয়ে দেব। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষকে বলব প্রয়োজনীয় জিনিসের চাহিদাপত্র পাঠাতে। হাসপাতালগুলো সবসময় পরিচ্ছন্ন রাখতে হবে। হাসপাতালের সার্বিক বিষয়ে নিয়মিত প্রতিবেদন পাঠাতে হবে। তাহলে ঘাটতি এবং অগ্রগতি বোঝা যায়।’ কুমিল্লার বিভিন্ন উপজেলার গ্রামাঞ্চলে নির্মিত ২০ শয্যার তিনটি ও ১০ শয্যার একটি হাসপাতাল নানা সংকটে ধুঁকছে। কুমিল্লার ডেপুটি সিভিল সার্জন ডা. নিসর্গ মেরাজ চৌধুরী বলেন, জনবল সংকটের কারণে আমরা গোহারুয়া ও শহীদনগরসহ অন্য হাসপাতালগুলো পুরোপুরি চালু করতে পারছি না। মন্ত্রণালয় জনবল নিয়োগের ব্যবস্থা করলে পূর্ণাঙ্গরূপে চালু করতে পারব। নির্মাণকাজ শেষের দেড় যুগেও চালু হয়নি বগুড়ার আদমদীঘি উপজেলার সান্তাহারের ২০ শয্যা হাসপাতাল। প্রায় সাড়ে ৩ কোটি টাকা ব্যয়ে আদমদীঘি উপজেলার সান্তাহার শহরের রথবাড়ি এলাকায় হাসপাতালটি নির্মিত হয়। ২০০৭ সালের ২৬ ডিসেম্বর তড়িঘড়ি করে হাসপাতালটিকে স্বাস্থ্য বিভাগ অনুমোদন দেয়। কিন্তু তখন নির্মাণকাজ শেষ না করেই ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান ৮২ লাখ টাকার আগাম বিল তুলে লাপাত্তা হয়ে যায়। বন্ধ হয়ে যায় নির্মাণকাজ। ২০২০ সালের শেষে হাসপাতালের অসমাপ্ত কাজের জন্য পুনরায় দরপত্র আহ্বান করে স্বাস্থ্য বিভাগ। চলতি বছরের এপ্রিলে হাসপাতালটির নির্মাণকাজ শেষ হলেও এটি এখনো চালু হয়নি। আদমদীঘি উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. মো. ফজলে রাব্বি জানান, হাসপাতাল চালুর জন্য জনবল, সরঞ্জাম ও আসবাবপত্র প্রয়োজন। এগুলো পুরোপুরি না পাওয়ায় এখনো চালু করা যায়নি। বগুড়া জেলা সিভিল সার্জন ডা. মোহাম্মদ শফিউল আজম বলেন, ‘জনবল এবং প্রয়োজনীয় সামগ্রীর চাহিদাপত্র স্বাস্থ্য অধিদফতরে পাঠানো হয়েছে। এসব মিললেই বহুল প্রতীক্ষিত হাসপাতালটি চালু হবে।’ খুলনার রূপসা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে প্রায় ছয় বছর ধরে এক্স-রে ও আল্ট্রাসনোগ্রাম মেশিন নষ্ট হয়ে পড়ে আছে। বরাদ্দ না থাকায় মেরামতের অভাবে ডেন্টাল চেয়ারসহ বিভিন্ন চিকিৎসা সরঞ্জাম নষ্ট হয়ে গেছে। উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. শেখ সফিকুল ইসলাম বলেন, ‘এক্স-রে, আল্ট্রাসনোগ্রাম মেশিন মেরামতের জন্য কয়েক দফা চিঠি দেওয়া হয়েছে, কিন্তু বরাদ্দ পাওয়া যায়নি।’ কয়রা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আল্ট্রাসনোগ্রাম মেশিনটি ২০১৯ সাল থেকে নষ্ট। দুই বছর ধরে বাক্সবন্দি রয়েছে নতুন এক্স-রে মেশিন। উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. সুদীপ বালা বলেন, ‘জরাজীর্ণ ভবনে নতুন এক্স-রে মেশিনটি স্থাপন করা যায়নি। এটা ফেরত নেওয়ার জন্য চিঠি দেওয়া হয়েছে।’ ফুলতলা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ২০০৬ সালে একটি জেনারেটর দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু স্থাপন না করায় ১৬ বছর ধরে জেনারেটরটি বাক্সবন্দি থেকে নষ্ট হয়েছে। ডুমুরিয়ায় ডিজাইন ও নির্মাণ ত্রুটির কারণে ৩১ শয্যাবিশিষ্ট তিনতলা নতুন ভবন অব্যবহৃত রয়েছে। উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. সুফিয়ান রুস্তম বলেন, ‘জনবলের অভাবে আল্ট্রাসনোগ্রাম মেশিনটি চালু করা যায়নি। এটি ভালো আছে কি না জানি না। নতুন ভবনের আটটি রুমের ছাদ ফুটো করে ওপর তলার বাথরুমের পাইপ নেওয়া হয়েছে। নির্মাণ ত্রুটির কারণে ভবনটি বুঝে নেওয়া হয়নি।’ খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ক্যান্সার ইউনিটের সামনে বাক্সবন্দি পড়ে আছে ১০ কোটি টাকা মূল্যের লিনিয়ার অ্যাকসিলারেটর মেশিন। অবকাঠামো না থাকায় মেশিনটি স্থাপন করা যায়নি। এখানে হার্টের চিকিৎসায় ইকো মেশিন নষ্ট হয়ে আছে। জেলা সিভিল সার্জন ডা. সুজাত আহমেদ জানান, প্রয়োজনীয় চিকিৎসা সরঞ্জাম ও জনবল নিয়োগের জন্য স্বাস্থ্য বিভাগে চিঠি দেওয়া হয়েছে।’

চট্টগ্রামের লোহাগাড়া উপজেলার ২০ শয্যার ট্রমা সেন্টারে তিনতলা ভবন থাকলেও নেই কোনো চিকিৎসা উপকরণ। নিয়োগ দেওয়া হয়নি চিকিৎসক। সড়ক দুর্ঘটনায় আহত রোগীদের তাৎক্ষণিক চিকিৎসায় নির্মিত ট্রমা সেন্টারটি এখন নিজেই ট্রমায় পড়ে আছে। হাটহাজারী উপজেলায় নির্মিত ট্রমা সেন্টারের দুই বছর পার হলেও মেলেনি প্রশাসনিক অনুমোদন। চট্টগ্রামের সিভিল সার্জন ডা. মোহাম্মদ ইলিয়াছ চৌধুরী বলেন, ‘সেন্টার দুটির উন্নয়ন কাজ একটি প্রকল্পের মাধ্যমে শেষ হয়েছে। এখন নিয়োগ প্রক্রিয়া শুরু করেছি।’ হাটহাজারী উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ কর্মকর্তা ডা. রুশ্নি চাকমা বলেন, এখানকার সেন্টারটির প্রশাসনিক অনুমোদনও নেই। কর্তৃপক্ষকে চিঠি দেওয়া হয়েছে, অনুমোদন পেলে সব জটিলতা নিরসন হবে।’ জ্বালানি তেলের বরাদ্দ না থাকায় রাজশাহীর চারঘাট উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের জেনারেটরটি পড়ে আছে ১৮ বছর। জেনারেটরের ব্যাটারিসহ মূল্যবান যন্ত্রাংশ নষ্ট হয়ে যাচ্ছে। পুঠিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে অপারেশন থিয়েটার, এক্স-রে, আল্ট্রা ও ইসিজিসহ বিভিন্ন আধুনিক সরঞ্জাম থাকলেও সেগুলোর ব্যবহার হয় না।

তানোর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে অপারেশনের ব্যবস্থা থাকলেও সেখানে জনবল নেই। ফলে সেখানে অপারেশন হয় না। রাজশাহীর ডেপুটি সিভিল সার্জন ডা. রাজিউল হক বলেন, জনবল ও সরকারি বরাদ্দ না থাকায় হাসপাতালগুলোতে অপারেশন থিয়েটার থাকার পরও সেগুলোতে কার্যক্রম চালানো যাচ্ছে না। তবে জেলার তিনটি হাসপাতালে অপারেশন শুরু হয়েছে।

রংপুরের ছয় উপজেলা পীরগঞ্জ, বদরগঞ্জ, তারাগঞ্জ, কাউনিয়া, গঙ্গাচড়া ও পীরগাছা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের এক্স-রে মেশিনগুলো অকেজো পড়ে রয়েছে। এসব উপজেলার বাসিন্দাদের এক্স-রে করাতে বেসরকারি হাসপাতাল-ক্লিনিকে যেতে হয়। রংপুর জেলা সিভিল সার্জন ডা. শামীম আহমেদ বলেন, নষ্ট এক্স-রে মেশিন ঠিক করা এবং নতুন মেশিন চেয়ে চাহিদাপত্র পাঠানো হয়েছে। ময়মনসিংহের ফুলপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে দুটি এক্স-রে মেশিন বিকল পড়ে রয়েছে। দীর্ঘদিন পড়ে আছে হাসপাতালের একমাত্র আল্ট্রাসনোগ্রাম মেশিনটিও। ডিজেল সংকটের কারণে ২০ বছর ধরে বন্ধ জেনারেটর। বিদ্যুৎ না থাকলে মোমবাতি জ্বালিয়ে অপারেশন থিয়েটারে চলে অস্ত্রোপচার। উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. জায়েদ মাহবুব খান জানান, হাসপাতালে থাকা একমাত্র আল্ট্রাসনোগ্রাম মেশিনটি নষ্ট রয়েছে। এ ছাড়াও উচ্চ ভোল্টেজের বিদ্যুৎ সংযোগ ও রেডিওলজিস্ট না থাকায় এক্স-রে মেশিনগুলো চালানো যাচ্ছে না।

হালুয়াঘাট উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা মুনির আহমেদ জানান, দুই বছর ধরে এক্স-রে, আল্ট্রাসনোগ্রাম মেশিন এবং ওটি লাইট নেই। অটোক্লেভ হাইপ্রেশার বড় মেশিনটি ব্যবহার না হওয়ায় নষ্ট হচ্ছে।’ উদ্বোধনের চার বছর পেরিয়ে গেলেও বরগুনার ২৫০ শয্যার হাসপাতালের নতুন ভবনে শুরু হয়নি চিকিৎসাসেবা। ১০০ শয্যার হাসপাতালকে ২৫০ শয্যায় উন্নত করে ছয়তলার ভবন করা হয়। কিন্তু চালু না হওয়ায় পুরান ভবনে গাদাগাদি করে থাকতে হচ্ছে রোগীদের। বরগুনা জেনারেল হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক ডা. সোহরাব উদ্দীন খান বলেন, ‘চিকিৎসক সংকট দীর্ঘদিনের। কমিউনিটি ক্লিনিকের মেডিকেল অফিসার দিয়ে হাসপাতালে সেবা কার্যক্রম চালিয়ে যেতে হচ্ছে।’ পটুয়াখালী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে বিদ্যুৎ না থাকলে হয় ভুতুড়ে পরিবেশ। দুটি উচ্চ ক্ষমতাসম্পন্ন জেনারেটর থাকলেও তা ব্যবহার হয় না। মির্জাগঞ্জ ৫০ শয্যার উপজেলা হাসপাতালে এক্স-রে মেশিন থাকলেও অপারেটরও নেই। পরীক্ষা-নিরীক্ষার যন্ত্রপাতি থাকলেও নেই প্যাথলজিস্ট। মির্জাগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডাক্তার তেন মং বলেন, ‘এক্স-রে মেশিন প্রতিস্থাপনের জন্য কর্তৃপক্ষের কাছে চিঠি পাঠানো হয়েছে।’ সিত্রাং ঝড়ে বন্ধ হয়ে যায় বিদ্যুৎ। এতেই সীমাহীন কষ্টে পরে চিকিৎসা নিতে আসা গর্ভবতী মা-শিশুরা। টর্চ কিংবা মোবাইলের আলোতে জরুরি অপারেশন করেছেন চিকিৎসকরা। পটুয়াখালী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক ডা. মোহাম্মদ আবদুুল মতিন জানান, ‘২০০৭ সালে ঘূর্ণিঝড় সিডরের পর ঢাকার তেজগাঁও  কেন্দ্রীয় ঔষধাগার থেকে একটি উচ্চ ক্ষমতাসম্পন্ন জেনারেটর দিয়েছে। কিন্তু অর্থ বরাদ্দ না থাকায় আলাদা রুমের অভাবে জেনারেটর স্থাপন করা যায়নি।’

এ ব্যাপারে বাংলাদেশ মেডিকেল অ্যাসোসিয়েশনের সাবেক সভাপতি অধ্যাপক ডা. রশিদ-ই-মাহবুব বলেন, ‘সরকারের পরিকল্পনার অভাব, অদক্ষতা ও সক্ষমতা না থাকার কারণে এভাবে অযত্নে পড়ে আছে হাসপাতালগুলো। ভবন নির্মাণ হলেও হাসপাতাল চালু না হওয়ায় ব্যাহত হচ্ছে চিকিৎসা পরিষেবা।’ বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক এই উপ-উপাচার্য আরও বলেন, ‘এ দায়িত্ব সরকারকে নিতে হবে। সরকারি হাসপাতালে সেবা না পাওয়ায় মানুষ বেসরকারি ক্লিনিকে যাচ্ছে। এতে মানুষের স্বাস্থ্যসেবা খরচ আরও বাড়ছে।’ 

[প্রতিবেদন তৈরিতে সহযোগিতা করেছেন আমাদের প্রতিবেদক- আবদুর রহমান টুলু, বগুড়া; রেজা মুজাম্মেল, চট্টগ্রাম; সামছুজ্জামান শাহীন, খুলনা; কাজী শাহেদ, রাজশাহী; মহিউদ্দিন মোল্লা, কুমিল্লা, নজরুল মৃধা, রংপুর; সৈয়দ নোমান, ময়মনসিংহ, মো. হাসানুর রহমান, বরগুনা, সঞ্জয় কুমার দাস, পটুয়াখালী]।

সর্বশেষ খবর