ওয়ানডে সিরিজেও এমন সমীকরণ তৈরি হয়েছিল। প্রথম ম্যাচ হেরেছিল। এরপর দ্বিতীয় ম্যাচ জিতে সিরিজে সমতা আনে। যদিও শেষ পর্যন্ত সিরিজটি হেরে যান মিরাজরা। এখন টি-২০ সিরিজ খেলছেন টাইগাররা। লিটন দাসের নেতৃত্বে পাল্লেকেলেতে প্রথম টি-২০ হেরে যায় বাজে ব্যাটিংয়ে। ডাম্বুলার রাঙগিরি স্টেডিয়ামে আজ টি-২০ সিরিজের দ্বিতীয় ম্যাচ খেলবে লিটন বাহিনী। ম্যাচটি টাইগারদের সিরিজের ফেরার ম্যাচ। যদি জিতে যায়, তাহলে ওয়ানডে সিরিজের মতো টি-২০ সিরিজে ফিরবে। না হলে এক ম্যাচ আগেই ২০ ওভারের ম্যাচের সিরিজ হেরে যাবেন লিটনরা। সে অর্থে আজকের ম্যাচটি মহাগুরুত্বপূর্ণ টাইগারদের জন্য। ডাম্বুলার রাঙগিরি স্টেডিয়াম অপরিচিত নয় বাংলাদেশের ক্রিকেটারদের কাছে। এ ভেন্যুতে ওয়ানডে খেলার অভিজ্ঞতা রয়েছে টাইগারদের। জয়ের স্বাদও রয়েছে। এখানে ৫টি ওয়ানডে খেলেছে, ১টি জিতেছে এবং হেরেছে ৩টি। একটি ভেসে গেছে বৃষ্টিতে। এই প্রথম টি-২০ ম্যাচ খেলবে টাইগাররা। এখানে ৮টি টি-২০ ম্যাচ হয়েছে এবং সবগুলোই ২০২৪ সালে। আজ মাঠে নামার আগে ফের আলোচনায় লিটন বাহিনীর ব্যাটিং বিভাগ। সিরিজে শুধুমাত্র গল টেস্টে ভালো ব্যাটিং করেছেন ব্যাটাররা। এরপর কলম্বো টেস্টে ব্যাটিং ছিল যাচ্ছেতাই। ওয়ানডে সিরিজে একটি ম্যাচ জিতলেও পুরো ৫০ ওভার ব্যাটিং করতে ব্যর্থ হন টাইগাররা। ব্যাটারদের অধারাবাহিক ব্যাটিং পারফরম্যান্সের জন্য কাঠগড়ায় দাঁড়াতে হচ্ছে টাইগারদের সহকারী কোচ ও ব্যাটিং কোচের দায়িত্ব থাকা মোহাম্মদ সালাউদ্দিন। গত নভেম্বরে দায়িত্ব নেওয়ার পর রাওয়ালপিন্ডিতে শুধু ৫০ ওভার পুরো ব্যাটিং করেন টাইগার ব্যাটাররা। ওয়ানডের অধারাবাহিকতা প্রথম টি-২০ ম্যাচেও দেখা গেছে। যদিও ২০ ওভারে ১৫৪ রানে করেছিল লিটন বাহিনী। কিন্তু সাবলীল ছিল না ব্যাটিং। ৩৫ মাস পর টি-২০ ক্রিকেটে ফিরেও বড় ইনিংস খেলতে ব্যর্থ হন নাঈম শেখ। ২৯ বলে ৩২ রানের অপরাজিত ইনিংস খেলেন। পারভেজ হোসেন ইমন সর্বোচ্চ ৩৮ রান করেন। কিন্তু কোনো ব্যাটারই কুশল মেন্ডিসের (৭৩) মতো ইনিংসগুলোকে টেনে নিয়ে যেতে পারেননি। এ আক্ষেপটাই করেছেন ম্যাচ হারের পর টাইগারদের স্পিন কোচ পাকিস্তানের লিজেন্ডারি লেগ স্পিনার মুশতাক আহমেদ, ‘কোনো ব্যাটার যখন ৩০-৪০ রানের ইনিংস খেলছেন, তারা সেটাকে ৭০-৮০ রানে নিয়ে যেতে পারছেন না। ক্রিকেটারদের কুশল মেন্ডিসের মতো দায়িত্ব নিয়ে লম্বা ইনিংস খেলতে হবে।’