যত দিন যাচ্ছে অন্তর্বর্তী সরকারের পক্ষে প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের ঘোষিত ‘ইতিহাসসেরা সুন্দর নির্বাচন উপহার’ পাওয়ার আশার পাশাপাশি বিএনপির মুখে ‘অবিলম্বে নির্বাচিত সরকারের হাতে ক্ষমতা’ হস্তান্তরের দাবি শোনা যাচ্ছে।
ড. ইউনূসের নেতৃত্বাধীন অন্তর্বর্তী সরকারকে বিএনপি ‘অসাংবিধানিক’ সরকার বলতেও দ্বিধা করে না; দলটি বর্তমান রাষ্ট্রপতিকে দায়িত্বে বহাল রাখার পক্ষেও ওকালতি করে। তারা নির্বাচনের আগে কোনো ধরনের সংস্কার মানতেও অস্বীকার করে।
এখন আওয়ামী লীগের অনুপস্থিতিতে প্রায় প্রতিদ্বন্দ্বিতাবিহীন একটি নির্বাচনের মাধ্যমে ক্ষমতায় আসীন হওয়ার এমন মোক্ষম সুযোগ হাতছাড়া করতে বিএনপি কিছুতেই রাজি নয়। ২০০৬ সালের পর থেকে হিসাব করলে ১৯ বছর ধরে বিএনপি ক্ষমতার বাইরে। দীর্ঘ ১৬ বছর আওয়ামী শাসনের দাপটে তারা ক্ষমতার আশপাশে ভিড়তে পারেনি। এখন ক্ষমতায় যাওয়ার সুবর্ণ সুযোগ এসেছে তাদের সামনে।
নির্বাচনের আগেই বিএনপি ও তাদের অঙ্গসংগঠনগুলো মাঠপর্যায়ের নেতা-কর্মীরা ধরেই নিয়েছেন যে বিএনপি ইতোমধ্যে ক্ষমতায় এবং অন্তর্বর্তী সরকার একটি অসিলামাত্র। গত বছরের ৫ আগস্টের পর বিএনপি ও অঙ্গসংগঠনগুলোর লোকজন আওয়ামী লীগের পরিত্যক্ত চাঁদাবাজির সাম্রাজ্যগুলোর নিয়ন্ত্রণ গ্রহণ করছে এবং নিয়ন্ত্রণকে বাধামুক্ত রাখতে নিজেরাই সংঘাতে লিপ্ত হয়ে অনেক খুন-জখম করেছে। এমন ঘটনাও ঘটে চলেছে যে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা কোনো কোনো ক্ষেত্রে প্রয়োজনীয় আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করলে তারা তাদের দলের দণ্ডিত চাঁদাবাজদের থানা থেকে ছিনিয়ে নিয়েছে, থানা ভাঙচুর করেছে, পুলিশ সদস্যদের পর্যন্ত মারধর করেছে।
সম্প্রতি একটি জাতীয় দৈনিকে প্রকাশিত এক রিপোর্ট অনুযায়ী, গত বছরের ৫ আগস্ট থেকে এ পর্যন্ত সারা দেশে দখল, চাঁদাবাজি ও সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগে প্রায় সাড়ে চার হাজার নেতা-কর্মীর বিরুদ্ধে সাংগঠনিক ব্যবস্থা গ্রহণ করার কথা স্বীকার করেছে বিএনপি। কিন্তু তাতে কি চাঁদাবাজি ও দখল বাণিজ্য বন্ধ হয়েছে? বিএনপি এবং এর অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনগুলোর নেতা-কর্মীদের পরিবর্তে অন্য কোনো দলের লোকজন এসব করছে? আওয়ামী লীগের চাঁদাবাজ ও দখলদাররা তো ফিরে আসেনি। কিছুসংখ্যক ব্যক্তির বিরুদ্ধে সাংগঠনিক ব্যবস্থা গ্রহণ করলেও এখনো বিএনপিই তাদের দীর্ঘ ১৬ বছরের ক্ষুধার জ্বালা আকণ্ঠ নিবারণ করছে। অবিলম্বে ক্ষমতা হাতে পেলে অবৈধ কর্মকাণ্ডগুলো অন্তত রাজনৈতিক বৈধতা লাভ করবে।
অতএব নির্বাচন অনুষ্ঠানে বিএনপির তাড়া অন্যান্য দলের চেয়ে অনেক বেশি। যুগের পর যুগ জেলা-উপজেলায় পূর্ণাঙ্গ কমিটি নেই, কমিটি গঠন নিয়েও নিজেদের মধ্যে দ্বন্দ্ব-সংঘাত আছে। উচ্চমূল্যে কমিটির পদ কেনাবেচার অভিযোগ আছে, এ ধরনের একটি পরিস্থিতিতে জাতীয় নির্বাচন আগে হোক, পরে হোক; নির্বাচিতদের কাছ থেকে কি আশা করা যেতে পারে?
নির্বাচনই যদি দেশের সমৃদ্ধি উন্নতি এবং জনগণের ভাগ্যোন্নয়নের একমাত্র সূচক হতো, তাহলে স্বাধীনতার পর গত ৫৪ বছর দেশ শাসনকারী নির্বাচিত সরকারগুলো, যথাক্রমে আওয়ামী লীগ ও বিএনপি সরকারের হাতে বাংলাদেশ এত দিনে উন্নয়নের মগডাল স্পর্শ করত। ‘সুষ্ঠু, ..অবাধ ও নিরপেক্ষ’ নির্বাচন যদি ‘ছেলের হাতের মোয়া’ হতো, তাহলে প্রতিটি নির্বাচন অনুষ্ঠানের পর পরাজিত পক্ষ ভোট কারচুপির অভিযোগ করত না।
অভিযোগ ওঠে, কারণ প্রতিটি নির্বাচনে কোনো না কোনো কারচুপি, ভোট জালিয়াতি, ভোট কেন্দ্র দখলের ঘটনা ঘটে। ভোটের ফলাফল ঘোষিত হওয়ার পর জাতীয় সংসদে সংখ্যাগরিষ্ঠ আসন লাভকারী দল ছাড়া প্রতিটি দল নির্বাচনে গুরুতর অনিয়ম ঘটার বিরুদ্ধে রাস্তায় নামে, পুনর্নির্বাচন দাবি করে। এটাই বাংলাদেশে গ্রহণযোগ্য রীতিতে পরিণত হয়েছে। প্রতিবার নির্বাচনের পর নির্বাচন কমিশন অতীতের যে কোনো সময়ের চেয়ে ‘সুষ্ঠু নির্বাচন’ অনুষ্ঠিত হয়েছে বলে দাবি করতেও কুণ্ঠাবোধ করে না। এমনকি ২০১৪ সালের বিরোধী দলের অংশগ্রহণবিহীন, ২০১৮ সালের নিশিরাতের ভোটের ও ২০২৪ সালের নির্বাচনও বিরোধী দলের অংশগ্রহণশূন্য ব্যক্তিকেন্দ্রিক নির্বাচন দেশের নির্বাচনব্যবস্থাকে প্রহসনে পরিণত করেছে।
অতএব ড. মুহাম্মদ ইউনূসের ‘ইতিহাসসেরা সুন্দর নির্বাচন’ অনুষ্ঠান দুরাশায় পরিণত হতে বাধ্য। নির্বাচন কেমন হবে, তা নিয়ে বিএনপির মাথাব্যথা নেই। যথাশিগগিরই নির্বাচন অনুষ্ঠান করিয়ে নেওয়াই তাদের প্রধান ও একমাত্র ইস্যু। এখন দেশে যে হত্যা, নৈরাজ্য, হানাহানি ও আইনহীন পরিস্থিতি বিরাজ করছে, সেগুলো যে বহুলাংশে বিএনপির স্থানীয় লোকজনের দ্বারাই সংঘটিত হচ্ছে, তা প্রতিদিনের গণমাধ্যমে প্রচারিত ও প্রকাশিত খবর থেকে স্পষ্ট। বিএনপি ছাড়া আর কোনো দলের এতটা শক্তি ও সাহস নেই। জনগণ আবারও আওয়ামী লীগ শাসনামলের মতো ভীতির সংস্কৃতির মধ্যে আটকা পড়েছে।
জুলাই অভ্যুত্থানের পর দেশের দ্বিতীয় প্রধান রাজনৈতিক শক্তি হিসেবে আবির্ভূত হয়েছে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী। দেশের ইতিহাসে আওয়ামী দুঃশাসনে জামায়াতে ইসলামীর নেতা-কর্মীদের মতো নিপীড়ন ও যাতনা আর কোনো দলকে সহ্য করতে হয়নি। ২০০৯ থেকে ২০২৪-এর জুন পর্যন্ত দীর্ঘ সাড়ে ১৫ বছর পর্যন্ত আওয়ামী লীগ এবং তাদের প্রশাসন জামায়াত ছাড়া আর কোনো দলকে তাদের প্রতিপক্ষ হিসেবে দেখেনি। সাজানো বিচারে জামায়াতের শীর্ষ নেতাদের ফাঁসিতে ঝোলানো হয়েছে, আমৃত্যু কারাবাসের সাজা দেওয়া হয়েছে। সারা দেশে জামায়াতের অফিসগুলো বন্ধ করে দেওয়া হয়েছিল। জামায়াতের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট প্রায় সব ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান দখল করে নেওয়া হয়েছিল। নারীসহ দলটির হাজার হাজার নেতা-কর্মীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছিল। হত্যা ও গুম করার ঘটনা তো ছিলই। জামায়াতের কোনো পর্যায়ের নেতা-কর্মী বছরের পর বছর বাড়িতে রাত কাটাতে পারেননি, প্রকাশ্যে বের হতে পারেননি। তাদের সব নাগরিক অধিকার হরণ করা হয়েছিল এবং সবশেষে জামায়াতকে নিষিদ্ধ ঘোষণা করে স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেলতে চেয়েছিলেন ফ্যাসিস্ট শেখ হাসিনা ও তার সরকার। কিন্তু অন্তিমদশায় পৌঁছে গিয়েছিলেন খোদ শেখ হাসিনা এবং তার ফ্যাসিবাদী আওয়ামী লীগ। ধ্বংসের ভস্ম থেকে রূপকথার ফিনিক্স পাখির মতো জেগে উঠে জুলাই আন্দোলনে শেখ হাসিনার পতনে জোরালো ভূমিকা পালন করে জামায়াত।
জামায়াতে ইসলামী দেশের অন্য ইসলামী দলগুলোর চেয়ে অগ্রসর নির্বাচনমুখী দল। ১৯৭৯ থেকে ২০০১ সাল পর্যন্ত জাতীয় সংসদে তাদের প্রতিনিধিত্ব ছিল। অন্তর্বর্তী সরকারের অধীনে অনুষ্ঠেয় নির্বাচনে অংশগ্রহণের উদ্দেশ্যে তারা এমনকি বিএনপির চেয়ে আগে তাদের সম্ভাব্য প্রার্থীদের তালিকা ঘোষণা করতে শুরু করে। তারা সংসদের ৩০০ আসনেই দলীয় প্রার্থী মনোনয়ন দেবে বলেও ঘোষণা দেয়। জামায়াতের একটি বড় সমস্যা হলো, ইতিহাসের বাঁকে বাঁকে তারা বড় ধরনের ভুল করে বসে। ১৯৮৬ সালে জেনারেল এরশাদের অধীনে নির্বাচনে অংশ নিয়ে তারা এরশাদের স্বৈরশাসনের বৈধতার স্বীকৃতি দান করে। জামায়াতের তৎকালীন আমির অধ্যাপক গোলাম আযমের নাগরিকত্ব পুনর্বহাল করার অলিখিত শর্তে জামায়াত ১৯৯১ সালে বিএনপিকে সরকার গঠনে সমর্থন দেয়। বিএনপি তাদের প্রতিশ্রুতি ভঙ্গ করে গোলাম আযমকে গ্রেপ্তার করে কারাগারে প্রেরণ করলে জামায়াত বিএনপির প্রতি ক্ষুব্ধ হয়।
বিএনপিকে শিক্ষা দেওয়ার উদ্দেশে ১৯৯৬ সালের নির্বাচনে সংসদের ৩০০ আসনে প্রার্থী দিয়ে ১৯৭৫ সালের পর দীর্ঘ ২১ বছর পর্যন্ত ক্ষমতার বাইরে থাকা আওয়ামী লীগকে ক্ষমতায় যাওয়ার সুযোগ করে দেয়। জামায়াতের এ সিদ্ধান্ত ছিল ‘নিজের নাক কেটে পরের যাত্রা ভঙ্গ’ করার মতো। একজন ব্যক্তির নাগরিকত্ব পুনর্বহাল না করার জেদ বিএনপির ওপর ঝেড়ে জামায়াত প্রমাণ করতে চেয়েছিল যে জামায়াত ইচ্ছা করলে কাউকে ক্ষমতায় বসাতেও পারে, ক্ষমতা থেকে নামাতেও পারে। কিন্তু গভীর রাজনৈতিক বিশ্লেষণে জামায়াত বিএনপির সঙ্গে ঐক্যে ফাটল ধরিয়ে দেশের ক্ষতি করেছিল এবং নিজেদের সর্বনাশের বিষবৃক্ষ রোপণ করেছিল।
’৯৬-এ গঠিত আওয়ামী লীগ সরকারের দমনপীড়নে জামায়াত বিলম্বে হলেও তাদের ভুল উপলব্ধি করতে সক্ষম হয় এবং ২০০১ সালের নির্বাচনে জামায়াত লেজ গুটিয়ে আবারও বিএনপির সঙ্গে রাজনৈতিক জোট গঠন করে। এখনো অনেকের মনে প্রশ্ন যে ১৯৯৬-এর সংসদ নির্বাচনে ৩০০ আসনে প্রার্থী দেওয়ার তামাশা করার কী প্রয়োজন ছিল জামায়াতের। দলের শক্তি-সামর্থ্য এবং জনসমর্থন সম্পর্কে স্বচ্ছ ধারণা না থাকলেই কোনো দল সব আসনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার ধৃষ্টতা দেখাতে পারে। ওই নির্বাচনে ৭টি আসনে জামায়াত প্রার্থীদের প্রাপ্ত ভোটসংখ্যা ৪৮০ থেকে ৯৯৪-এর মধ্যে ছিল। ২৫টি আসনে প্রাপ্ত ভোটসংখ্যা ছিল ১০০০ থেকে ২০০০-এর মধ্যে।
বিএনপিকে শিক্ষা দিতে গিয়ে জামায়াত এমন উচিত শিক্ষা পেয়েছিল যে ২০০১-২০০৬ মেয়াদে বিএনপির সঙ্গে জোটবদ্ধ থাকাকালে জামায়াতের শীর্ষ নেতারা, বিশেষ করে যে দুজন জাঁদরেল নেতা মন্ত্রিপরিষদের শোভা বর্ধন করেছিলেন, তারা যে কোনো মূল্যে বিএনপির সঙ্গে ঐক্যবদ্ধ থাকার ঘোষণা দিয়েছিলেন। কিন্তু তারা সরকারের অংশীদার হিসেবে থাকা সত্ত্বেও বিএনপিকে পরবর্তী নির্বাচনে বিজয় নিশ্চিত করার উদ্দেশ্যে জাল ভোট বানানো থেকে অথবা নির্বাচনকালীন কেয়ারটেকার সরকারপ্রধান হিসেবে তাদের অনুগত প্রধান বিচারপতির চাকরির বয়স ৬৫ থেকে ৬৭ বছরে উন্নীত করা থেকে বিরত রাখার মতো সাহস করে উঠতে পারেননি। মন্ত্রী হিসেবে তারা সততার চরম পরাকাষ্ঠা দেখালেও বিএনপির অপকর্মে শরিক থাকার দায় থেকে মুক্ত হতে পারেন না।
সম্ভবত জামায়াত আরও একবার রাজনৈতিক ভুল করতে যাচ্ছে। জুলাই অভ্যুত্থানের পর বিএনপি-জামায়াতের পুরোনো মৈত্রীতে ফাটল ধরেছে। কারণ বিএনপির বিশ্বাস ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন হবে বিএনপির জন্য সবচেয়ে সহজ নির্বাচন এবং তারা অনায়াসে নির্বাচনে জয়ী হয়ে সরকার গঠন করবে। তাদের বিশ্লেষণ অনুযায়ী জামায়াত বড়জোর স্বল্পসংখ্যক আসনে জিতে সংসদে দুর্বল একটি বিরোধী দল হতে পারবে। বিএনপি জাতীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমেদ সুস্পষ্টভাবে বলেছেন, জামায়াতকে নিয়ে তাদের নির্বাচনি জোট গঠনের কোনো সম্ভাবনা নেই। অতীতে কৌশলগত কারণে তারা জামায়াতের সঙ্গে জোট করলেও এবার তাদের সঙ্গে জোট গঠনের প্রয়োজন অনুভব করছে না বিএনপি। জামায়াত নিশ্চয়ই বিএনপির এ মনোভাব আগেই উপলব্ধি করেছে এবং সেজন্য ৩০০ আসনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার সিদ্ধান্ত নিয়ে নির্বাচনি প্রস্তুতি গ্রহণ করছে।
পাশাপাশি আশঙ্কাও করছে যে বিএনপির সৃষ্ট অরাজক পরিস্থিতির কারণে নির্বাচন সুষ্ঠু হবে না। নির্বাচনের জন্য জামায়াত লেভেল প্লেয়িং ফিল্ডের অনুপস্থিতির কথা বলছে। এ ছাড়া রয়েছে সংস্কার, সংখ্যানুপাতিক প্রতিনিধিত্ব নিয়ে বিএনপির সঙ্গে জামায়াতসহ অধিকাংশ দলের মতানৈক্য, যা সহজে সমাধানযোগ্য বলে আপাতদৃষ্টিতে মনে হয় না। অতএব সব মিলিয়ে পরিস্থিতি ঘোলাটে হতে শুরু করেছে। সবকিছু সত্ত্বেও দেশবাসী অপেক্ষা করছে যে সুষ্ঠু, অবাধ ও সবার কাছে গ্রহণযোগ্য নির্বাচন অনুষ্ঠান যাতে দুরাশায় পরিণত না হয়।
লেখক : যুক্তরাষ্ট্রপ্রবাসী সিনিয়র সাংবাদিক