চট্টগ্রাম নগরের বাকলিয়া থানাধীন নুরনগর হাউজিং সোসাইটির একটি ভবনের ফ্ল্যাট থেকে দেশি-বিদেশি জাল নোট উদ্ধার করা হয়েছে। গতকাল সন্ধ্যায় র্যাব-৭-এর একটি টিম অভিযান চালিয়ে এসব নোট উদ্ধার করে। এ সময় ঘটনাস্থল থেকে তামজিদ (২০) নামের এক যুবককে গ্রেপ্তার করা হয়। উদ্ধারকৃত জাল নোট বাংলাদেশি ২০ কোটি টাকা সমমূল্যের।
র্যাব সূত্রে জানা যায়, গতকাল সিলেটে র্যাবের একটি দল অভিযান চালিয়ে জাল নোটসহ একজনকে গ্রেপ্তার করে। তার দেওয়া তথ্য অনুযায়ী র্যাব-৭ চট্টগ্রামে এ অভিযান পরিচালনা করে। অভিযানে তামজিদের কাছ থেকে সাতটি মুঠোফোন, সাতটি ক্রেডিট কার্ড, ল্যাপটপ, বিভিন্ন ইলেকট্রনিক ডিভাইসসহ বিপুল পরিমাণ দেশি-বিদেশি মুদ্রা জব্দ করা হয়। প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে, গ্রেপ্তার ব্যক্তি জাল নোট তৈরির চক্রের সদস্য। তাকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য র্যাব হেফাজতে নেওয়া হয়েছে। জাল নোটের বিষয়ে তামজিদ র্যাবকে বলেন, নোটগুলো শুটিংয়ের কাজে ব্যবহারের জন্য ছাপানো হয়েছে। নগরের আন্দরকিল্লার একটি ছাপাখানা থেকে এসব ছাপানো হয়। প্রতি বান্ডেল নোট ৩০ টাকায় ছেপে আমি ৬০০ টাকায় বিক্রি করি। এখানে ভালোই লাভ হয়। যেহেতু এসব নোট ছাপার অনুমতি নেই সেহেতু এগুলোকে জাল টাকা বলা যেতে পারে। র্যাব-৭-এর অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল মো. হাফিজুর রহমান বলেন, সরকার কাউকে কোনো ধরনের টাকা ছাপানোর অনুমতি দেয়নি। আমরা এখানে সত্যিকার জাল টাকার দেশি-বিদেশি নোট পেয়েছি। অনলাইনের মাধ্যমে এ জাল নোটগুলো বিক্রি করা হতো। লেনদেনও অনলাইনেই হতো। ইতোমধ্যে যেখান থেকে নোটগুলো ছাপানো হয়েছে সেখানকার দুজনকে হেফাজতে নিয়েছি। আমরা জিজ্ঞাসাবাদ করে দেখছি আরও কারা এসবের সঙ্গে জড়িত। তদন্ত শেষে আরও বিস্তারিত জানানো হবে।