বুধবার, ১৬ নভেম্বর, ২০২২ ০০:০০ টা

কারচুপি করলে কঠোর ব্যবস্থা

নিজস্ব প্রতিবেদক

কারচুপি করলে কঠোর ব্যবস্থা

ভোট গ্রহণে কারচুপি করলে প্রার্থীর এজেন্টদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়ার হুঁশিয়ারি দিয়েছেন নির্বাচন কমিশনার (ইসি) মো. আলমগীর। এদিকে ইভিএমে ভোট নেওয়ার সুবিধা হলো ভোটার ছাড়া কেউ এসে ভোট দিয়ে যাওয়ার সুযোগ নেই। আর ব্যালটে ১০ শতাংশ ভোটার এলে শতভাগ ভোট দেওয়ার সম্ভব বলেও মন্তব্য করেছেন এই নির্বাচন কমিশনার। গতকাল নির্বাচন ভবনে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এসব কথা বলেন। এই নির্বাচন কমিশনার বলেন, ভোট কেন্দ্রে প্রার্থীর এজেন্টরা কারচুপিতে সহায়তা করলে বা কারচুপি করলে তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে। তাই বলে এজেন্টদের কেন্দ্রের বাইরে রাখা যাবে না। এটা কোনো দলই মানবে না। মশারির ভিতরে মশা ঢুকলে মশারি পুড়িয়ে দিলে তো হবে না। মশা তাড়াতে হবে। তেমনি কোনো এজেন্ট অনিয়মের সঙ্গে জড়িত থাকলে ব্যবস্থা নিতে হবে। তিনি বলেন, অনেকেই বলেন- ইভিএম একটা কারচুপির মেশিন। আমরা দায়িত্ব নেওয়ার পর বিশেষজ্ঞদের সঙ্গে আলোচনা করেছি। অতীতের নির্বাচনের যে অভিজ্ঞতা, তাতে দেখেছি ইভিএমে কারচুপির কোনো সুযোগ নেই। আমরা তো কারিগরি দিক থেকে এক্সপার্ট নই, যারা এক্সপার্ট তারা বলেছেন। দলগুলোকেও ডেকেছিলাম তাদের কারিগরি টিম এনে পরীক্ষা করে দেখার জন্য। তিনি বলেন, ইভিএম নিয়ে প্রথমেই যেটা বলা হয় যে, প্রোগ্রামিং করে ফল পাল্টে দেওয়া যায়। তাত্ত্বিক দিক দিয়ে যারা বলেন তারা হয়তো ঠিকই বলেন। কিন্তু বাস্তবতার দিক দিয়ে এটা মোটেই ঠিক নয়। আমাদের ইভিএমটা ভিন্ন ধরনের। অনেকেই বলেন, ভারতের ইভিএমের মতো। আসলে ভারতের সঙ্গে এটার তুলনা করা যায় না। ভারতের ইভিএম ভোটার আইডেন্টিফিকেশন ম্যানুয়ালি হয়। আমাদের ইভিএমে আইডেন্টিফাই করা হয় স্বয়ংক্রিয়ভাবে। যেহেতু আমাদের ভোটার ডাটাবেজ আছে ছবিসহ এবং ফিঙারপ্রিন্টসহ। কাজেই ভোটারদের সব তথ্য যাচাই হয় মেশিনের মাধ্যমে। যেটা ভারতের ইভিএমে করার সুযোগ নেই। তিনি বলেন, ইন্টারনেটের সঙ্গে কোনো সংযোগ নেই আমাদের ইভিএমের। ব্যালট ইউনিটের সঙ্গে যে সংযোগ দেওয়া হয়, এটা কিন্তু কাস্টমাইজ করা। বাজারে কেনা কোনো ক্যাবল, ড্রাইভ কোনো কিছুই এটার মধ্যে ইনসার্ট করতে পারবেন না। কেবল এই ইভিএমের জন্য যে ডিভাইস তৈরি করা হয়েছে, সেটা ছাড়া আর কোনো ডিভাইস যোগ করতে পারবেন না। তিনি আরও বলেন, ইভিএম নিয়ে যে অপপ্রচার আছে, যারা বলেন তারা না জেনে না বুঝে বলেন। তারা চাইলে যে কোনো ইভিএমে চেক করে দেখতে পারেন। বলেন, ইভিএমে ভোট নেওয়ার সুবিধা হলো ভোটের আগে পরে ভোট দেওয়ার সুযোগ নেই অথবা ভোটার ছাড়া কেউ এসে ভোট দিয়ে যাওয়ার সুযোগ নেই। একটা দুর্বলতা আছে, গোপন বুথে যদি ভোটারকে ঢুকতে না দেওয়া হয়, এই সুযোগটা আছে। যদি ১০ শতাংশ ভোটার কেন্দ্রে আসে তবে ১০ শতাংশ ভোটই কাস্ট করতে পারবে। আর ব্যালটে ১০ শতাংশ ভোটার আসলে শতভাগ ভোট দেওয়া সম্ভব।

সর্বশেষ খবর