যাত্রাবাড়ী থেকে বরপাগামী সেই লেগুনা যাত্রীদের পরিচয় খুঁজছেন গোয়েন্দারা। বুয়েট ছাত্র ফারদিন নূর পরশ ছাড়া ওই লেগুনা থেকে অন্যরা কে কোথায় নেমেছিলেন, তাদের পেশা কী- এসব জানার চেষ্টা করছেন তারা। তাদের ধারণা, এ বিষয়গুলো সম্পর্কে জানা গেলে অনেক ‘ক্লু’ পাওয়া যাবে। তাদের আরও প্রশ্ন, মাত্র ছয়জন যাত্রী নিয়ে কেন লেগুনাটি ছেড়ে গিয়েছিল? গত ৫ নভেম্বর রাত ২টা ১৩ মিনিটে যাত্রাবাড়ী মোড় থেকে ঢাকা-সিলেট মহাসড়কের ওপর দিয়ে বরপা থেকে যাচ্ছিল লেগুনাটি। ফারদিন নূর পরশও ছিলেন সেই লেগুনার যাত্রী। মাত্র ছয়জন যাত্রী নিয়েই লেগুনাটি ছেড়ে যায়। সুলতানা কামাল ব্রিজ পার হয়ে বিশ্বরোড মোড়ে নামেন চারজন। বাকি দুজনকে নিয়ে বরপা চলে যান লেগুনা চালক স্বপন। এ প্রতিবেদককে বিষয়টি নিশ্চিত করে যাত্রাবাড়ী লেগুনা চালক সমিতির একটি সূত্র। সূত্র বলছে, যাত্রাবাড়ী থেকে বরপা পর্যন্ত লেগুনায় প্রতি যাত্রীর ভাড়া দিনে ৩০ টাকা। তবে রাতে নেওয়া হয় ৫০ টাকা। চালক স্বপনের সেই লেগুনার পরের সিরিয়ালেই ছিল চালক জনির লেগুনা। জনি স্বপনকে যাত্রী ম্যানেজ করে দেওয়ার কাজটি করেছিলেন। তবে স্বপনের লেগুনাটি যাত্রী ভরপুর হওয়ার আগেই কেন ছেড়ে দিয়েছিল- তা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। গতকাল বিকালে তদন্তের অগ্রগতি নিয়ে কথা হয় ডিবির মতিঝিল বিভাগের উপকমিশনার রাজীব আল মাসুদের সঙ্গে। তিনি বলেন, আসলে আমরা আমাদের সর্বোচ্চ প্রচেষ্টা অব্যাহত রেখেছি। লেগুনাটি কোথায় কোথায় থেমেছিল, যাত্রীরা কে কোথায় নেমেছিল তা বের করাও আমাদের ব্যস্ততার একটি অংশ। ওই লেগুনার অন্য যাত্রীদের পরিচয় নিশ্চিত হওয়ার জন্য কাজ করছেন তদন্ত-সংশ্লিষ্টরা।
গতকাল র্যাবের আইন ও গণমাধ্যম শাখার পরিচালক কমান্ডার খন্দকার আল মঈন বাংলাদেশ প্রতিদিনকে বলেন, বুয়েটের এই মেধাবী ছাত্রের এমন প্রয়াণ কখনো কাম্য নয়। র্যাব শুরু থেকেই বিষয়টি নিয়ে কাজ করছে। ফারদিনকে চনপাড়া পর্যন্ত কে কীভাবে এবং কেন নিয়ে গিয়েছিল তা নিয়েই আমরা ব্যস্ত সময় পার করছি। তদন্ত-সংশ্লিষ্ট একটি সূত্র বলছে, ওডমরা মিরপাড়া মোড়ের ‘ডেমরা বিরিয়ানি হাউস’-এর সামনে থেকে ফারদিনকে রিসিভ করে নিয়ে গিয়েছিলেন রায়হান। চনপাড়ায় মৃত্যুর আগ পর্যন্ত রায়হানের হেফাজতেই ছিলেন ফারদিন।