শুক্রবার, ২৫ নভেম্বর, ২০২২ ০০:০০ টা
কুমিল্লায় বিএনপির সমাবেশ কাল

নগরীর হোটেল ও স্বজনের বাড়িতে নেতা-কর্মীরা

কুমিল্লা প্রতিনিধি

আগামীকাল কুমিল্লায় বিএনপির বিভাগীয় গণসমাবেশ। সমাবেশ উপলক্ষে চাঁদপুর, ব্রাহ্মণবাড়িয়া ও কুমিল্লা সদরের বাইরের উপজেলার লোকজন কুমিল্লা নগরীর আশপাশের এলাকায় উপস্থিত হতে শুরু করেছেন। গতকাল পর্যন্ত বিএনপির অসংখ্য নেতা-কর্মী কুমিল্লায় অবস্থান নিয়েছেন বলে বিএনপি নেতারা জানান। পাশাপাশি জেলা শহরের সবগুলো হোটেলের সিট ২৫ নভেম্বর পর্যন্ত বুকিং হয়ে গেছে। হোটেল-মোটেল ছাড়াও বিভিন্ন নেতার বাসা, আত্মীয়স্বজনদের বাসায় অবস্থান নিয়েছেন নেতা-কর্মীরা।

টাউন হল মাঠে গতকাল বিকালে দেখা যায়, মাঠের পাশের কোনো ভবন খালি নেই। সেখানে ঝুলছে বিভিন্ন জেলা, মহানগর, উপজেলা নেতৃবৃন্দের ব্যানার, ফেস্টুন। মাঠে এসে ঘোরাঘুরি করছেন বিভিন্ন উপজেলার নেতা-কর্মীরা। অনেকে মাঠে পলিথিন বিছিয়ে বিশ্রাম নিচ্ছেন। লাকসামের মনপাল গ্রামের সাদ্দাম হোসেন জানান, পরিবহন ধর্মঘটের আশঙ্কায় আগেই চলে এসেছেন। নগরীর একটা হোটেলে উঠেছেন।

লাকসাম উপজেলা বিএনপির আহ্বায়ক আবদুর রহমান বাদল বলেন, আমাদের অধিকাংশ নেতা-কর্মী আগেই চলে এসেছেন। আমাদের দুই উপজেলা থেকে ১৫ হাজারের বেশি নেতা-কর্মী আসবেন। কুমিল্লা দক্ষিণ জেলা বিএনপির আহ্বায়ক ও গণসমাবেশের প্রধান সমন্বয়ক আমিন-উর-রশিদ ইয়াছিন বলেন, এ সমাবেশ হবে আমজনতার। কারণ, দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতি, সরকারের অনাচারে মানুষ আজ দিশাহারা। মানুষ পরিবর্তন চায়। তাই বিএনপির নেতা-কর্মী ছাড়াও সাধারণ মানুষের উপস্থিতি ব্যাপক থাকবে গণসমাবেশে। আমার ধারণা, সমাবেশে ৪ লক্ষাধিক মানুষের সমাগম হবে। সমাবেশস্থল টাউন হলে শুধু স্টেজ থাকবে। কর্মীরা অবস্থান নেবে কান্দিরপাড় হতে শুরু করে টমছমব্রিজ, শাসনগাছা, চকবাজার ও ফৌজদারী মোড় পর্যন্ত।

পরিবহন ধর্মঘট নেই : ময়মনসিংহ ছাড়া বিএনপির অন্যান্য বিভাগীয় সমাবেশগুলোতে পরিবহন ধর্মঘটের ডাক দেওয়া হলেও গতকাল বিকাল পর্যন্ত কুমিল্লায় পরিবহন ধর্মঘটের ডাক দেয়নি মালিক ও শ্রমিকদের কোনো পক্ষ। সূত্র বলছে, ভৌগোলিক অবস্থানের কারণে কুমিল্লায় কোনো পরিবহন ধর্মঘট কাজে আসবে না। জেলার রেললাইন ঢাকা-চট্টগ্রাম, চট্টগ্রাম-সিলেট, ময়মনসিংহ-চট্টগ্রাম, নোয়াখালী-ঢাকা ও চাঁদপুর-চট্টগ্রামের সঙ্গে সংযুক্ত। এ ছাড়া দেশের লাইফলাইন খ্যাত ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের ১০৫ কিলোমিটার কুমিল্লার ওপর দিয়ে। তাই কুমিল্লায় পরিবহন ধর্মঘট ডাকা হলে দেশের অর্থনীতির ওপর বিরাট আঘাত আসতে পারে। সে কারণে কুমিল্লায় ধর্মঘট ডাকার বিষয়ে ঐকমত্যে পৌঁছাতে পারেনি মালিক-শ্রমিকরা। গতকাল বিকালে দি মোটরস অ্যাসোসিয়েশন কুমিল্লার সভাপতি জামিল আহমেদ খন্দকার বলেন, ধর্মঘটের ব্যাপারে পরিবহন সংশ্লিষ্ট কোনো পক্ষই এখন পর্যন্ত সিদ্ধান্ত নেননি। ধর্মঘট না হওয়ার সম্ভাবনা বেশি।

কুমিল্লা দক্ষিণ জেলা বিএনপির আহ্বায়ক আমিন-উর-রশিদ ইয়াছিন বলেন, আমরা শুনে আসছি পরিবহন ধর্মঘট হবে না। এমন হলে আমাদের কর্মীরা সমাবেশের দিনই আসতে পারতেন। কিন্তু এই সরকারকে বিশ্বাস করা যায় না। তারা মুখে একটা বলে, অন্তরে অন্যটা ধারণ করে। সমাবেশের আগে তারা বাস চলাচল সীমিত করে দিতে পারে, বিভিন্ন মাধ্যমে আমরা এমন তথ্য পাচ্ছি।

সর্বশেষ খবর