টানা দুই দিন দেশের সর্বনিম্ন তাপামাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে চুয়াডাঙ্গায়। এদিকে দেশের উত্তরাঞ্চলেও তীব্র শীত অনুভূত হচ্ছে। ঘন কুয়াশায় ঢাকা থাকছে প্রকৃতি। আমাদের নিজস্ব প্রতিবেদক ও প্রতিনিধিদের পাঠানো খবর- চুয়াডাঙ্গা : টানা দুই দিন দেশের সর্বনিম্ন তাপামাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে চুয়াডাঙ্গায়। গতকাল সকাল ৯টায় জেলার তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয় ৯ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস। আগের দিন বৃহস্পতিবার তাপমাত্রা ছিল ১১ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস। তাপামাত্রা কমে আসায় চুয়াডাঙ্গায় তীব্র শীত অনুভূত হচ্ছে। চুয়াডাঙ্গা আবহাওয়া অফিসের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা রকিবুল হাসান বলেন, উত্তরের হিমেল হাওয়ার প্রভাবে চুয়াডাঙ্গা ও আশপাশ অঞ্চলে বেশি শীত অনুভূত হচ্ছে। সকালের দিকে সূর্যের দেখা মিলছে দেরিতে। ফলে ভোগান্তিতে পড়ছেন এ অঞ্চলের নিম্নআয়ের মানুষ। তিনি বলেন, আগামী দু-এক দিনের মধ্যে আকাশ মেঘলা হতে পারে। সেক্ষেত্রে তাপমাত্রা কিছুটা বৃদ্ধি পাবে।
ঈশ্বরদীতে এ বছরের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা : গতকাল পৌষের প্রথম দিনে ঈশ্বরদীতে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ১০ দশমিক ০২ ডিগ্রি সেলসিয়াস, যা এ বছর শীত মৌসুমের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা। আগের দিন বৃহস্পতিবার ঈশ্বরদীর সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ১২ দশমিক ০৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস। ঈশ্বরদী আবহাওয়া অফিসের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা হেলাল উদ্দিন জানান, এক দিনের ব্যবধানে ঈশ্বরদীতে তাপমাত্রা কমেছে ২ দশমিক ০৬ ডিগ্রি। এদিকে ঈশ্বরদীতে উত্তরের হিমেল বাতাস বইতে শুরু করেছে। তাপমাত্রা কমার সঙ্গে সঙ্গে শীতের তীব্রতা বেড়েছে। শীতের তীব্রতার কারণে সর্দি-কাশি ও ঠান্ডাজনিত রোগের প্রকোপও বেড়েছে। এ ছাড়া প্রতিদিন ঘন কুয়াশার কারণে দিনের বেলায়ও হেডলাইট জ্বালিয়ে চলাচল করছে যানবাহন। ঈশ্বরদী আবহাওয়া অফিসের তাপমাত্রা পর্যবেক্ষক নাজমুল হক রঞ্জন গণমাধ্যমকে জানান, ঈশ্বরদীসহ উত্তরাঞ্চলে মৃদু শৈত্যপ্রবাহ বিরাজ করছে। চলতি মাসে তাপমাত্রা আরও কমবে এবং এ মাসের শেষের দিকে শৈত্যপ্রবাহের মাত্রা আরও বাড়বে।
রংপুর : ঘন কুয়াশার চাদরে ঢাকা পড়েছে রংপুর নগর। সেই সঙ্গে বইছে উত্তরের হিমেল হাওয়া। এতে করে বিপাকে পড়েছেন দিনমজুররা। জবুথবু হয়ে তাদের অনেকেই কাজ করছেন আবাদি জমিতে। রংপুরে কয়েক দিন ধরেই ঘন কুয়াশা নামছে। রাত হলেই টিপ টিপ বৃষ্টির মতো শিশির ঝরতে শুরু করছে। সকাল পর্যন্ত এর রেশ থাকছে। গতকাল ভোর থেকেও এমন কুয়াশাবৃষ্টি দেখা গেছে। সরকারি ছুটির দিন হওয়ায় সকালে চাকরিজীবী মানুষ ও ছাত্রছাত্রীদের ঘরের বাইরে বের হতে দেখা যায়নি। এদিকে ঘন কুয়াশার কারণে অনেক বেলা পর্যন্ত যানবাহনকে হেডলাইট জ্বালিয়ে চলতে হচ্ছে। মহাসড়কে দূরপাল্লার বাস-ট্রাকগুলো ধীরগতিতে চলাচল করছে। রংপুর আবহাওয়া অফিসের কর্মকর্তা রেজাউল করিম জানান, রংপুরে বৃহস্পতিবার রাতে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয় ১৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস। কয়েক দিন ধরে এ এলাকায় উত্তরের হিমালয়ের ঠান্ডা বাতাস পাওয়া যাচ্ছে। এ কারণে বেশি শীত অনুভূত হচ্ছে। ঘন কুয়শা আরও কয়েক দিন অব্যাহত থাকবে।