বুধবার, ১৮ জানুয়ারি, ২০২৩ ০০:০০ টা

ব্যাডমিন্টন খেলা নিয়ে দুই খুন

কক্সবাজার প্রতিনিধি

কক্সবাজার শহরের বাস টার্মিনাল এলাকায় ব্যাডমিন্টন খেলাকে কেন্দ্র করে দুই যুবককে হত্যার ঘটনায় অভিযুক্ত দুজনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। গতকাল ভোরে কক্সবাজার সদরের খুরুশকুল এলাকা থেকে তাদের গ্রেফতার করা হয়। সোমবার দিনগত রাত ১১টার দিকে সদর উপজেলার ঝিলংজা ইউনিয়নের পূর্ব লারপাড়া প্রাথমিক বিদ্যালয় এলাকায় ব্যাডমিন্টন খেলায় কিশোরকে মারধরের ঘটনায় দুই ভাইকে ছুরিকাঘাতে খুন করা হয়। গ্রেফতারকৃতরা হলেন- ঝিলংজা ইউনিয়নের পূর্ব লারপাড়ার আবদুল খলিলের ছেলে জয়নাল আবেদীন (২৮) ও কামাল উদ্দিন (২৫)। তাদের কাছ থেকে খুনে ব্যবহৃত একটি সুইচ গিয়ার চাকু ও লোহার রড উদ্ধার করে পুলিশ। সোমবার রাতে নিহতরা হলেন- কক্সবাজার সদর উপজেলার ঝিলংজা পূর্ব লারপাড়া এলাকার আবদুল হামিদ মনু ড্রাইভারের ছেলে কায়সার হামিদ (২৮) ও নুরুল হুদা জুনু ড্রাইভারের ছেলে শহিদুল ইসলাম ওরফে সাইদুল (৩০)। নিহতরা সম্পর্কে চাচাত ভাই। এ সময় মুফিজ উদ্দিন (২১) নামে একজন আহত হন। তিনি একই এলাকার আবদুস সাত্তারের ছেলে। তাকে জেলা সদর হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে। স্থানীয় সূত্র জানায়, ঝিলংজা প্রাথমিক বিদ্যালয়ের পাশের মাঠে ব্যাডমিন্টন খেলার আয়োজন করে এলাকার কিশোররা। অন্য দিনের মতো সোমবার রাতেও সেখানে খেলছিল একদল কিশোর। সে সময় কায়সার ও সাইদুল গিয়ে কিশোরদের র‌্যাকেট ব্যাট নিয়ে খেলতে চান। তখন ওই এলাকার এক কিশোর তাদের সঙ্গে অশালীন আচরণ করলে কায়সার ও সাইদুল তাকে মারধর করেন। মার খাওয়ার পর ওই কিশোর বাড়ি গিয়ে বিষয়টি জানালে তার বড় ভাই জয়নাল, কামাল ও চাচাত ভাই মিজানসহ অন্যরা ধারালো দা, ছুরি নিয়ে বের হন। পথে কায়সার ও সাইদুলকে পেয়ে তাদের ওপর হামলা চালান। এক পর্যায়ে দুজনকে ছুরিকাঘাত করে পালিয়ে যান তারা। টের পেয়ে স্থানীয়রা তাদের উদ্ধার করে হাসপাতালে নেওয়ার পথে দুজনেরই মৃত্যু হয়। কক্সবাজার সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ রফিকুল ইসলাম বলেন, ঘটনার খবর পেয়ে পুলিশের একটি টিম রাতেই কক্সবাজার সদর হাসপাতালে যায়। অপর কয়েকটি টিম যায় ঘটনাস্থল বাস টার্মিনাল এলাকার পূর্ব লারপাড়ায়। তৎক্ষণাৎই খুনিদের ধরতে অভিযান শুরু করে পুলিশ। কিন্তু গা-ঢাকা দেওয়ায় তাদের কাউকে তখন পাওয়া যায়নি। পরে গোয়েন্দা ও সোর্স লাগিয়ে বিভিন্ন স্থানে অভিযান অব্যাহত রাখা হয়। সেই ধারাবাহিকতায় ভোরেই খুরুশকুল এলাকা থেকে তাদের গ্রেফতার করতে সক্ষম হয় পুলিশ। এর পরই তাদের নিয়ে এলাকায় যায় পুলিশ। হত্যায় ব্যবহৃত ছুরি ও ধারালো অস্ত্র উদ্ধারের পর জব্দ করা হয়েছে।

কক্সবাজার জেলা সদর হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসার (আরএমও) আশিকুর রহমান বলেন, সোমবার রাত পৌনে ১২টার দিকে রক্তাক্ত অবস্থায় তিনজনকে হাসপাতালে আনা হয়। হাসপাতালে আনার আগেই অতিরিক্ত রক্তক্ষরণজনিত কারণে দুজনের মৃত্যু হয়। অপরজন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। তার অবস্থা শঙ্কামুক্ত নয়। মৃতদেহ দুটি ময়নাতদন্তের জন্য হাসপাতাল মর্গে রয়েছে।

 

সর্বশেষ খবর