শুক্রবার, ১০ ফেব্রুয়ারি, ২০২৩ ০০:০০ টা

রেলে গতি তিন পথে

গাজীপুর, কুমিল্লা, ব্রাহ্মণবাড়িয়া ও পাবনা প্রতিনিধি

রেলে গতি তিন পথে

ঢাকা-চট্টগ্রাম রেলপথের ব্রাহ্মণবাড়িয়ার কসবা থেকে মন্দবাগ ও কুমিল্লার শশীদল থেকে রাজাপুর পর্যন্ত ডাবল লাইনে ৩২ কিলোমিটার রেলপথ, ঢাকা-টঙ্গী সেকশনে তৃতীয় ও চতুর্থ ডুয়েলগেজ লাইন, টঙ্গী-জয়দেবপুর সেকশনে ১১ কিলোমিটার ডাবল লাইনে ট্রেন চলাচল এবং পাবনার ঈশ্বরদী উপজেলার রূপপুর রেলস্টেশন, নবনির্মিত ও সংস্কার করা ২৬ দশমিক ৫০ কিলোমিটার রেললাইন উদ্বোধন করা হয়েছে। ফলে এই তিন পথে রেলে বাড়বে সেবার মান, বাঁচবে সময়।

গাজীপুর থেকে ট্রেনে যাওয়ার এক নতুন দিগন্তের সূচনা হয়েছে গতকাল। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দুপুরে গণভবন থেকে ভার্চুয়ালি টঙ্গী-জয়দেবপুর সেকশনের ডুয়েল গেজ ডাবল লাইন নির্মাণ প্রকল্পের উদ্বোধন করেন। দুপুর ১টায় বাঁশি বাজিয়ে সবুজ পতাকা নেড়ে একই সঙ্গে তিনটি ট্রেনের যাত্রা শুরুর সংকেত দেন তিনি। এরপর জয়দেবপুর রেলওয়ে জংশন স্টেশন এলাকার নবনির্মিত এ ডাবল লাইন ধরে একটি বিশেষ ট্রেনে চড়ে জয়দেবপুর-টঙ্গী রেলপথের ১১ কিলোমিটার ডাবল লাইন দিয়ে ঢাকার উদ্দেশে যাত্রা করেন প্রথম যাত্রী রেলমন্ত্রী। এ সময় তার সঙ্গে রেলসচিব, রেলের ডিজি ও এডিজি প্রমুখ কর্মকর্তা ছিলেন।

দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে যাওয়া-আসায় সবচেয়ে বেশি ব্যবহৃত হয় ঢাকা-টঙ্গী ও টঙ্গী-জয়দেবপুর সেকশন। কিন্তু এই দুই সেকশনের মধ্যে ঢাকা-টঙ্গী সেকশনে দুটি ডুয়েলগেজ লাইন ও একটি ডুয়েলগেজ ডাবল লাইন এবং টঙ্গী-জয়দেবপুর সেকশনে একটি ডুয়েলগেজ লাইন চালু রয়েছে। এ কারণে টঙ্গী-জয়দেবপুর সেকশনে চাহিদা থাকার পরও বেশিসংখ্যক ট্রেন পরিচালনা করা যাচ্ছিল না। তাই ঢাকা থেকে আরও ট্রেন চলাচল বাড়ানো, ভ্রমণের সময় সাশ্রয়, যাত্রীসেবার মান বাড়ানোর লক্ষ্যে ২০১২ সালের নভেম্বরে ঢাকা-টঙ্গী সেকশনে তৃতীয় ও চতুর্থ ডুয়েলগেজ ডাবল লাইন নির্মাণের উদ্যোগ নেওয়া হয়। ভারতীয় ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান এফ কন কল্পতরু এ ডাবল লাইনের কার্যক্রম বাস্তবায়ন করে।

জয়দেবপুর জংশনের সিনিয়র স্টেশন মাস্টার রেজাউল ইসলাম জানান, সিঙ্গেল লাইন থাকার কারণে এতদিন অনেক সময় অন্য আন্তঃনগর এক্সপ্রেস ট্রেনের চলাচলের জন্য জয়দেবপুর এবং ধীরাশ্রম স্টেশনে ট্রেন দাঁড়িয়ে থাকতে হতো। এখন আর কোনো ট্রেনকে অন্য ট্রেনের চলাচল স্বাভাবিক রাখার জন্য অপেক্ষা করতে হবে না। ঢাকা-টঙ্গী সেকশনে তৃতীয় ও চতুর্থ ডুয়েলগেজ লাইনের প্রকল্প পরিচালক নাজনিন আরা কেয়া বলেন, টঙ্গী-জয়দেবপুর সেকশনে ডাবল লাইন ট্রেন চালুর ফলে প্রায় সব ট্রেনের যাত্রা সময় গড়ে ১৫-২০ মিনিট সাশ্রয় হবে।

ডাবল লাইনে ট্রেন চলাচল উদ্বোধন উপলক্ষে জয়দেবপুর রেল জংশনের পশ্চিম পাশে খোলা জায়গায় সামিয়ানা টাঙিয়ে অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন রেলপথ মন্ত্রী মো. নুরুল ইসলাম সুজন এমপি। বক্তব্য রাখেন ভারতের ভারপ্রাপ্ত হাইকমিশনার বিনয় জর্জ, রেলপথ মন্ত্রণালয়ের সচিব হুমায়ুন কবীর। এ সময় গাজীপুর প্রান্তে মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রী আ. ক. ম. মোজাম্মেল হক এমপি, যুব ও ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী জাহিদ আহসান রাসেল এমপি, ইকবাল হোসেন সবুজ এমপি, গাজীপুর মেট্রোপলিটন পুলিশের (জিএমপি) কমিশনার মোল্যা নজরুল ইসলাম, গাজীপুরের জেলা প্রশাসক আনিসুর রহমান, পুলিশ সুপার কাজী শফিকুল আলম, গাজীপুর সিটি করপোরেশনের ভারপ্রাপ্ত মেয়র আসাদুর রহমান কিরণসহ সরকারের বিভিন্ন দফতরের পদস্থ কর্মকর্তা এবং রেলওয়ে বিভাগের কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন। এদিকে ১৫ কিলোমিটার ডাবল লাইন ও কুমিল্লা বুড়িচং উপজেলার রাজাপুর রেল স্টেশন, ব্রাহ্মণপাড়ার শশীদল রেল স্টেশন ও ব্রাহ্মণবাড়িয়ার কসবা উপজেলার মন্দবাগ নতুন রেল স্টেশন পেয়ে খুশি কুমিল্লা ও ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার মানুষ। রেল সংশ্লিষ্টদের মতে, এতে সময় বাঁচবে। সঙ্গে যাত্রীসেবার মান বাড়বে। সূত্র জানায়, মোট তিনটি অংশে ভাগ করে লাকসাম থেকে আখাউড়া ডাবল লাইনের কাজটি শুরু করা হয়। এর মধ্যে গত বছর কুমিল্লা থেকে লাকসাম অংশের ২৮ কিলোমিটার চালু করা হয়। বাকি দুই ভাগ হলো কুমিল্লা থেকে কসবা ও কসবা থেকে আখাউড়া। কুমিল্লা থেকে কসবা অংশটির কাজ প্রায় শেষ। শুধু সালদা নদী ব্রিজের কাজ শেষ না হওয়ায় ওই অংশটি পুরোপুরি উদ্বোধন করা সম্ভব হয়নি। কুমিল্লা রেলওয়ে স্টেশন সূত্রে জানা যায়, ট্রেনের একমুখী শিডিউলের কারণে একই সময়ে অনেকগুলো ট্রেন কুমিল্লা স্টেশনের কাছাকাছি অবস্থান করত। একটি ট্রেনকে ক্রসিং দিতে গেলে আরেকটি ট্রেন আটকে থাকতে হয় ৪০ থেকে ৪৫ মিনিটের মতো। এখন ডাবল লাইন হওয়ায় সময় সাশ্রয় হবে। কুমিল্লা থেকে ব্রাহ্মণবাড়িয়াগামী যাত্রী সমীর চক্রবর্তী বলেন, ট্রেনের গতি ও সেবা বাড়াতে ডুয়েলগেজ ডাবল লাইন ও নতুন তিনটি রেল স্টেশন উদ্বোধন করা হয়েছে। এ জন্য প্রধানমন্ত্রীকে ধন্যবাদ জানাই। বাকি কাজ দ্রুত শেষ করার দাবি জানাচ্ছি। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে গতকাল এ প্রকল্পগুলো উদ্বোধনের সময় ব্রাহ্মণপাড়ার শশীদল রেল স্টেশনে উপস্থিত ছিলেন কুমিল্লা-৫ আসনের সংসদ সদস্য বীর মুক্তিযোদ্ধা অ্যাডভোকেট আবুল হাসেম খান, বিভাগীয় কমিশনার (এনডিসি) ড. মো. আমিনুর রহমান, কুমিল্লা জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ শামীম আলম, জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মফিজুর রহমান বাবলু, কুমিল্লার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. কামরান হোসেন, ব্রাহ্মণপাড়া উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান আলহাজ আবু জাহের, ব্রাহ্মণপাড়া ইউএনও সোহেল রানা, উপজেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা আলহাজ জাহাঙ্গীর খান চৌধুরীসহ রেল বিভাগ, উপজেলার বিভিন্ন দফতরের কর্মকর্তা-কর্মচারী ও সব ইউনিয়নের চোয়ারম্যান প্রমুখ।

ব্রাহ্মণপাড়া উপজেলার ইউএনও সোহেল রানা বলেন, ডাবল লাইন ও নতুন রেল স্টেশন পেয়ে খুশি এলাকার মানুষ। এতে ট্রেনের গতি বাড়বে। সঙ্গে যাত্রীসেবার মান বৃদ্ধি পাবে বলে আশা করছি। রেলওয়ে কুমিল্লার ঊর্ধ্বতন উপ-সহকারী প্রকৌশলী (পথ) লিয়াকত আলী মজুমদার জানান, আজ ১৫ কিলোমিটার উদ্বোধন করা হয়। দৈর্ঘ্য কম হলেও এর গুরুত্ব অনেক। ট্রেন ক্রসিং করানো ও শিডিউল বিপর্যয় কমাতে দারুণ ভূমিকা রাখবে সাত কিলোমিটারের এই রেলপথ অংশটি। এ ছাড়া নতুন রেল স্টেশনে যাত্রীসেবার মান বাড়বে।

অপরদিকে পাবনার রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্রের ভারী মালামাল পরিবহনে নবনির্মিত রেলপথ ও রেল স্টেশনের উদ্বোধনের পর একটি মালগাড়ি রূপপুর স্টেশন থেকে ঈশ্বরদীর উদ্দেশে ছেড়ে যায়। প্রকল্পের আওতায় ৩৩৫ কোটি টাকা ব্যয়ে রূপপুর নতুন রেলস্টেশন, ঈশ্বরদী বাইপাস স্টেশন থেকে রূপপুর প্লান্ট পর্যন্ত সাইডিং ও লুপ লাইনসহ ২৬.৫২ কিলোমিটার দীর্ঘ ডুয়েলগেজ রেললাইন স্থাপন করা হয়েছে। শত বছরের ঐতিহ্যের বিভাগীয় রেলের শহর পাকশীর রূপপুরে চলছে পরমাণু বিদ্যুৎ উৎপাদনের বিশাল কর্মযজ্ঞ। বিদ্যুৎ কেন্দ্র নির্মাণের চূড়ান্ত ধাপে রাশিয়া থেকে সমুদ্রপথে আনা ভারী যন্ত্রাংশ পরিবহনে সড়ক ও নৌপথের পাশাপাশি এবার যুক্ত হচ্ছে রেলপথ। বন্দর থেকে সরাসরি প্রকল্প এলাকায় মালামাল পরিবহনের জন্য তৈরি হয়েছে ২৬ কিলোমিটার নতুন রেলপথসহ অত্যাধুনিক রেলস্টেশন নির্মাণকাজ। রূপপুরের মালামাল ছাড়াও মোংলা ও চট্টগ্রাম বন্দর থেকে সরাসরি পণ্য পরিবহনে এই রেলপথে বড় অংকের রাজস্ব আয়ের আশাবাদ কর্তৃপক্ষের। পশ্চিমাঞ্চলীয় বিভাগীয় রেলওয়ে সূত্র জানায়, পাবনার ঈশ্বরদী থেকে রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র রেল সংযোগ প্রকল্পের আওতায় ২০১৮ সালের ১ এপ্রিল থেকে ২০২২ সালের ৩০ জুন পর্যন্ত কর্মযজ্ঞ চলে এ প্রকল্পে। ভারতের জিপিটি ও বাংলাদেশের এসইএল ও সিসিএল অংশীদারিত্বের ভিত্তিতে (জয়েন্ট ভেঞ্চার) ৩৩৬ কোটি টাকা ব্যয়ে ঈশ্বরদী বাইপাস টেক অব পয়েন্ট থেকে পাকশীর রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র পর্যন্ত ২৬ দশমিক ৫২ কিলোমিটার ব্রডগেজ-মিটারগেজ (ডুয়েলগেজ) রেললাইন নির্মাণ করা হয়েছে। এ ছাড়া ১৩টি লেবেল ক্রসিং গেট, একটি ‘বি’ শ্রেণির সুদৃশ্য স্টেশন ভবন, একটি প্ল্যাটফরম, সাতটি বক্স কালভার্ট নির্মাণ করা হয়েছে। ঈশ্বরদী জংশন রেলওয়ে স্টেশনের দুই পাশজুড়ে লুপলাইন সংস্কার করা হয়েছে, প্ল্যাটফরম উঁচু করার কারণে এখন একসঙ্গে ১৮টি ট্রেন এসে দাঁড়াতে পারবে ঈশ্বরদী রেলওয়ে জংশন স্টেশনে। পশ্চিমাঞ্চলীয় বিভাগীয় রেলওয়ের সহকারী নির্বাহী প্রকৌশলী শিপন আলী বলেন, প্রকল্পের আওতায় ঈশ্বরদী জংশনে পুরনো রিলে-ইন্টারলকিং পদ্ধতিকে বাদ দিয়ে কম্পিউটারাইজড পদ্ধতি চালু হয়েছে। ফলে সুইচ কেবিন থেকে বাটন চাপলে ট্রেন আসা-যাওয়ার রেললাইনটি ক্লিয়ার হবে সহজে, কোনো ট্রেনকে আউটারে এসে লাইন ক্লিয়ারের জন্য অপেক্ষা করতে হবে না। এ রেলরুটে মালপত্র আসা-যাওয়ার জন্য ট্রেনের যে লোকোমোটিভ ইঞ্জিন আসবে তা পরীক্ষার জন্য ঈশ্বরদী লোকোমোটিভ কারখানায় ডকপিট নির্মিত হয়েছে। যার মাধ্যমে একই সময়ে একটি মিটারগেজ ট্রেনের ইঞ্জিন, নয়টি ব্রডগেজ ইঞ্জিন পরীক্ষা করা যাবে। কেবল বিদ্যুৎ কেন্দ্রের মালামালই নয়, পণ্য পরিবহনে রূপপুর স্টেশনের সুবিধা পাবেন ঈশ্বরদী ইপিজেডসহ এ অঞ্চলের আমদানি-রপ্তানিকারক ও ব্যবসায়ীরাও। এতে বাণিজ্যিক সম্ভাবনার পাশাপাশি আয় বাড়বে রেল বিভাগেরও।

পশ্চিমাঞ্চল রেলওয়ের প্রধান প্রকৌশলী মো. আসাদুল হক জানান, ইতোমধ্যে ঈশ্বরদী ইপিজেড রেলের সঙ্গে যোগাযোগ করেছে। তাদের শিল্প-প্রতিষ্ঠানের মালামাল পণ্যবাহী ট্রেনের মাধ্যমে আনতে চান। আগে ঈশ্বরদী থেকে মোংলা বন্দর ব্রডগেজ লাইন ছিল। এ প্রকল্পের আওতায় মিটারগেজ-ব্রডগেজ সংযোগ হয়েছে। পণ্যবাহী ট্রেনে মোংলা বন্দর থেকে ব্রডগেজ ট্রেন চলে আসতে পারবে। চটগ্রাম বন্দর থেকে মিটারগেজ ট্রেন আসতে পারবে।

পশ্চিমাঞ্চল রেলওয়ের মহাব্যবস্থাপক (জিএম) অসীম কুমার তালুকদার জানান, ভারত থেকে বিভিন্ন পণ্যবাহী কোচ বাংলাদেশে আসে, এখন পণ্যবাহী ট্রেনের পুরো আনলোডিং হয় সিরাজগঞ্জের উল্লাপাড়া রেলওয়ে স্টেশনে। আমাদের (পশ্চিমাঞ্চল রেলওয়ে) আনলোডিং সেন্টার নেই। পশ্চিমাঞ্চল রেলওয়ের আওতায় পাকশী বিভাগীয় রেলওয়ের ঈশ্বরদীর রূপপুর স্টেশন চালু হওয়ার পর সরাসরি ভারত থেকে পণ্যবাহী ট্রেনের মালামাল আনলোড করা বেশ সহজ হবে।

জিএম অসীম কুমার তালুকদার আরও জানান, ভারত থেকে পণ্যবাহী ওয়াগনগুলো রূপপুরে আসার জন্য চাহিদা আছে। জায়গা পর্যাপ্ত রয়েছে, সেসব পণ্য যদি রূপপুরে আনলোড করতে পারি, এ অঞ্চল ব্যবসা-বাণিজ্যে সমৃদ্ধ হবে, মানুষের কর্মসংস্থান বাড়বে, পশ্চিমাঞ্চল রেলওয়ের রাজস্ব আয়ও বাড়বে।

ঢাকা ভিন্ন রেল যোগাযোগের সাক্ষী হবে : প্রধানমন্ত্রী

এই রকম আরও টপিক

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর