শুক্রবার, ১৭ ফেব্রুয়ারি, ২০২৩ ০০:০০ টা

কুমিল্লা চ্যাম্পিয়ন

মেজবাহ্-উল-হক

কুমিল্লা চ্যাম্পিয়ন

বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগ-বিপিএলে আবারও চ্যাম্পিয়ন কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্স। গতকাল ফাইনালে সিলেট স্ট্রাইকার্সকে ৭ উইকেটে হারিয়ে চতুর্থবারের মতো শিরোপা জিতল ফ্র্যাঞ্চাইজি দলটি। পারলেন না বিপিএলের সবচেয়ে সফল অধিনায়ক মাশরাফি বিন মর্তুজা। সিলেটকে প্রথমবারের মতো ফাইনালে তুললেও জেতাতে পারেননি নড়াইল এক্সপ্রেস।

কালকের এই ফাইনাল ছিল ক্ষুরধার দুই ক্রিকেট মস্তিষ্কের লড়াই। একদিকে সিলেটের ক্যাপ্টেন মাশরাফি, আরেকদিকে কুমিল্লার কোচ মোহাম্মদ সালাউদ্দিন। শেষ পর্যন্ত কোচের কাছে পরাজিত হলো ক্যাপ্টেনের ম্যাজিক। গতকাল ফাইনালে প্রথমে ব্যাট করে ৭ উইকেট হারিয়ে ১৭৫ রান করে সিলেট। ৪৮ বলে অপরাজিত ৭৪ রানের ইনিংস খেলেন মুশফিকুর রহিম। ৪৫ বলে ৬৪ রান করেন সিলেটের ওপেনার নাজমুল হোসেন শান্ত। তবে শান্ত ও মুশফিকের ক্যারিশম্যাটিক ইনিংস দুটি যেন ম্লান হয়ে যায় কুমিল্লার দুই তারকা জনসন চার্লসের ৭৯ এবং লিটন দাসের ৫৫ রানের কাছে। ১৭৬ রানের জয়ের লক্ষ্যে ব্যাট করতে নেমে ৪ বল আগেই জিতে যায় কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্স। মজার বিষয় হচ্ছে, গতকাল কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্সের শুরুই হয়েছিল ভুল বোঝাবুঝি দিয়ে। প্রথম ওভারেই দুই দুটি বাই চার। পাওয়ার প্লেতে একটি সহজ ফিল্ডিং মিস করেন সুনীল নারাইন। তারপরও পাওয়ার প্লেতে সিলেট ততটা সুবিধা করতে পারেনি। ৪২ রান করলেও দুটি উইকেট হারাতে হয়। তবে সিলেটের চেয়ে পাওয়ার প্লে বেশি কাজে লাগিয়েছে কুমিল্লা। পাওয়ার প্লেতে দুই উইকেট হারালেও তারা ৪৯ রান করে। লিটনের সঙ্গে ওপেন করতে নেমে শুরুতেই বাইশগজে ঝড় তুলতে চেয়েছিলেন সুনীল নারাইন। দৃষ্টিনন্দন একটি চার এবং বিশাল একটি ছক্কাও হাঁকান। কিন্তু এরপরই ক্যারিবীয় তারকাকে ড্রেসিংরুমের পথ ধরিয়ে দেন সিলেটের বোলার রুবেল হোসেন। ক্যাপ্টেন ইমরুল উইকেটে গিয়ে থিতু হতেই পারেননি। ফাইনালের চাপ নিতে না পেরে ২ রানেই ক্যাচ তুলে দিয়ে বিদায়। তবে ছিলেন নির্ভরতার প্রতীক লিটন দাস। খেলেন ৫৫ রানের ক্যারিশম্যাটিক ইনিংস। সাত চারের সঙ্গে একটি ছক্কা। চার্লসের সঙ্গে তার ৫৭ বলে ৭০ রানের জুটিটাও ছিল দারুণ। যদিও চার্লস ব্যক্তিগত ৮ রানে একবার জীবন পেয়েছেন। লিন্ডের বলে ডিপ স্কয়ার লেগে সহজ ক্যাচ নিতে পারেননি ফিল্ডার রুবেল। শেষ দিকে সেই রুবেলের ওপর দিয়েই যেন স্ট্রিম রোলার চালান। তার এক ওভারে ২৩ রান নেন। গতকাল ব্যাটিংয়ে সিলেটের শুরুটা ছিল দুর্দান্ত। কুমিল্লার ক্যারিবিয়ান বোলার আন্দ্রে রাসেলের প্রথম ওভার থেকেই আসে ১৭ রান। কিন্তু দ্বিতীয় ওভারে তানভীর এসে দারুণ এক ডেলিভারিতে তৌহিদ হৃদয়কে সরাসরি বোল্ড করেন। পুরো টুর্নামেন্টে অসাধারণ ব্যাটিং করার পরও ফাইনালে এসে রানের খাতাই খুলতে পারলেন না। এ ম্যাচেও ওয়ানডাউনে নামেন মাশরাফি। পাওয়ার প্লেতে ব্যাট হাতে ঝড় তুলতে বাইশগজে এসেছিলেন সিলেট ক্যাপ্টেন। রাসেলের বলে সহজ ক্যাচ তুলে দেন। কাল ক্যাপ্টেন্সি দিয়ে ক্যারিশম্যাটিক কিছু করে দেখাতে পারেননি মাশরাফি। কুমিল্লার কোচ সালাউদ্দিনের ক্যারিশম্যাটিক কৌশলের কাছে হার মানতে বাধ্য হন।

এই রকম আরও টপিক

সর্বশেষ খবর