আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক, সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, বিএনপি স্বেচ্ছায় আগামী নির্বাচনে অংশগ্রহণ করতে না চাইলে তাতে আওয়ামী লীগ জোর করবে না। বিএনপি অসুস্থ হয়ে অচিরেই হাসপাতালে যাবে। নির্বাচনে না গেলে আইসিইউতে যাবে।
গতকাল কেরানীগঞ্জের ঘাটারচরে ঢাকা জেলা আওয়ামী লীগ আয়োজিত শান্তি সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। সভায় সভাপতিত্ব করেন জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি বেনজীর আহমদ। সভায় বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন আওয়ামী লীগ সভাপতিমন্ডলীর সদস্য অ্যাডভোকেট কামরুল ইসলাম, প্রধানমন্ত্রীর বেসরকারি শিল্প ও বিনিয়োগ বিষয়ক উপদেষ্টা সালমান এফ রহমান, বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ, দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী এনামুর রহমান, আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মির্জা আজম, দফতর সম্পাদক ব্যারিস্টার বিপ্লব বড়ুয়া, ঢাকা-১৩ আসনের এমপি সাদেক খান, কেরানীগঞ্জ উপজেলা চেয়ারম্যান শাহীন আহমেদ, দোহার উপজেলা চেয়ারম্যান আলমগীর হোসেন, ধামরাই পৌরসভার মেয়র গোলাম কবীর, কেরানীগঞ্জ মডেল থানা আওয়ামী লীগের সভাপতি ইউসুফ আলী চৌধুরী সেলিম প্রমুখ। নির্বাচনে বিএনপির আসা-না আসা প্রসঙ্গে কথা বলতে গিয়ে ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘নির্বাচনে আপনারা না এলে আমরা জোর করে আনতে যাব না। তবে নির্বাচন করতে দেবেন না- এমন খবর আছে। কীভাবে হতে দেবেন না, কত ধানে কত চাল আমরা দেখিয়ে দেব।’
বিএনপি সরকারের বিরুদ্ধে জোট ভাঙার চেষ্টার যে অভিযোগ এনেছেন সে প্রসঙ্গে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, ‘ফখরুল সাহেব, আপনাদের দল বা জোট কোনোটাই ভাঙব না আমরা। আপনাদের জোট তাসের ঘরের মতো আপনারাই ভেঙে দেবেন। এই জোট বাংলাদেশে টিকবে না, টিকতে পারে না।’ বিএনপির আন্দোলন এখন খরার কবলে মন্তব্য করে তিনি বলেন, ‘মির্জা ফখরুল সাহেব আবার লাফাতে শুরু করেছেন। জনগণ নাই, ঢাল-তলোয়ার নাই, নিধিরাম সরদার! আন্দোলন চলে না। নির্বাচনে আসবেন না ভালো কথা। সংবিধান আছে; নির্বাচন সংবিধান অনুযায়ী হবে। ২০১৪ সালে আপনারা আসেননি, বয়কট করেছেন, নির্বাচন কি হয়নি? হয়েছে। কী দিয়ে নির্বাচন প্রতিরোধ করবেন। আগুনসন্ত্রাস? যে হাতে আগুন নিয়ে আসবেন সেই হাত আমরা পুড়িয়ে দেব। ভোটকেন্দ্র ভাঙতে আসবেন? হাত ভেঙে দেব।’
ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘ওদের মতিগতি খারাপ। এ জন্য উল্টাপাল্টা কথা বলতে শুরু করেছে। তাদের আন্দোলনের গতি যত কমছে অভিযোগ তত বাড়ছে। পাবলিক নাই, নেতা-কর্মীও কমছে। যাদের ফখরুল সাহেব ক্ষমতার স্বপ্ন দেখিয়েছেন, যে স্বপ্ন দেখে হাঁড়ি-পাতিল-কম্বল নিয়ে সভা-সমাবেশস্থলে সাত দিন আগে থেকে হাজির। কেউ লাল কার্ড, কেউ হলুদ কার্ড দেখায়। কেউ বলে ১০ তারিখে দেশ চলবে খালেদা জিয়ার কথায়। কেউ বলে ১১ তারিখে এয়ারপোর্টে ছুটে যেতে; সেদিন নাকি বিদেশে পালিয়ে যাওয়া তারেক রহমান ফিরে আসবেন। এই দলও ক্ষমতা ফিরে পেতে যায়! এ দেশে হারানো ক্ষমতা ফিরে যাওয়া কঠিন।’
